-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪১. অতঃপর জাদুকরেরা এসে ফির’আউনকে বলল, আমরা যদি বিজয়ী হই আমাদের জন্য পুরস্কার থাকবে তো?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪১) যাদুকরেরা ফিরআউনের নিকট এসে বলল, ‘আমরা যদি বিজয়ী হই, তাহলে আমাদের জন্য পুরস্কার থাকবে তো?’
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪২. ফিরআউন বলল, হ্যাঁ, তখন তো তোমরা অবশ্যই আমার ঘনিষ্ঠদের শামিল হবে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪২) ফিরআউন বলল, ‘হ্যাঁ, তখন তোমরা আমার পারিষদবর্গের শামিল হবে।’
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪৩. মূসা তাদেরকে বললেন, তোমরা যা নিক্ষেপ করার তা নিক্ষেপ কর।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৩) মূসা ওদেরকে বলল, ‘তোমাদের যা নিক্ষেপ করার, তা নিক্ষেপ কর।’ [1]
[1] মূসার পক্ষ হতে যাদুকরদের খেলা দেখানোর আহবান জানানোর মধ্যে এই হিকমত থাকতে পারে যে, প্রথমতঃ তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে যাক, তিনি আল্লাহর পয়গম্বর। এত বিশাল সংখ্যক বিখ্যাত যাদুকরদের জমা হওয়া ও তাদের যাদু খেলায় মোটেই ভীত নয়। দ্বিতীয়তঃ এ উদ্দেশ্যও হতে পারে যে, যখন পরে আল্লাহর আদেশে এ সমস্ত যাদু এক নিমেষে শেষ হয়ে যাবে, তখন দর্শকদের উপর এর একটা বিরাট প্রভাব পড়বে আর এভাবে বেশী বেশী মানুষ আল্লাহর উপর ঈমান আনবে। অতএব সেই মতই হল; বরং যাদুকরেরাই প্রথমে ঈমান আনল, যেমন পরে বলা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪৪. অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং তারা বলল, ‘ফিরআউনের ইযযতের শপথ! আমরাই তো বিজয়ী হব।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৪) অতঃপর ওরা ওদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং ওরা বলল, ‘ফিরআউনের ইজ্জতের শপথ! আমরাই বিজয়ী হব।’ [1]
[1] যেমন সূরা আ’রাফ ও ত্বহায় আলোচিত হয়েছে যে, ঐ সমস্ত যাদুকরেরা নিজেদের ধারণা অনুযায়ী বিরাট যাদু পেশ করল। {سَحَرُواْ أَعْيُنَ النَّاسِ وَاسْتَرْهَبُوهُمْ وَجَاءوا بِسِحْرٍ عَظِيمٍ} (116) سورة الأعراف এমনকি মূসা (আঃ)ও একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। {فَأَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خِيفَةً مُّوسَى} (67) سورة طـه বলা বাহুল্য, ঐ সব যাদুকরদের নিজেদের সাফল্যের উপর বিরাট আস্থা ছিল, যেমন এখানে এই আয়াতে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা মূসা (আঃ)-কে সান্ত্বনা দিলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তোমার লাঠিটি মাটিতে ফেল! সুতরাং লাঠি মাটিতে পড়ার সাথে সাথে এক ভয়ংকর অজগরের রূপ ধারণ করল। আর একটি একটি করে তাদের যাদুর তৈরী সমস্ত জিনিসগুলোকে গিলে ফেলল। যেমন পরের আয়াতে বলা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪৫. অতঃপর মূসা তার লাঠি নিক্ষেপ করলেন, সহসা সেটা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্ৰাস করতে লাগল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৫) অতঃপর মূসা তার লাঠি নিক্ষেপ করল; সহসা তা ওদের অলীক সৃষ্টিগুলিকে গ্রাস করতে লাগল।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪৬. তখন জাদুকরেরা সিজদাবনত হয়ে পড়ল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৬) তখন যাদুকরেরা সিজদাবনত হল,
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪৭. তারা বলল, আমরা ঈমান আনলাম সৃষ্টিকুলের রব-এর প্রতি—
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৭) এবং বলল, ‘বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের প্রতি আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম;
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪৮. যিনি মূসা ও হারূনের রব।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৮) যিনি মূসা এবং হারূনেরও প্রতিপালক।’
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪৯. ফির’আউন বলল, কী! আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি বিশ্বাস করলে? সে-ই তো তোমাদের প্রধান যে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে। সুতরাং শীঘ্রই তোমরা এর পরিণাম জানবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত এবং তোমাদের পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং তোমাদের সবাইকে শূলবিদ্ধ করবই।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৯) ফিরআউন বলল, ‘কি! আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেওয়ার পূর্বেই তোমরা ওতে বিশ্বাস করলে? দেখছি এ-ই তো তোমাদের প্রধান; যে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে। [1] শীঘ্রই তোমরা এর পরিণাম জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত-পা বিপরীতভাবে কেটে নেব এবং তোমাদের সকলকে শূলবিদ্ধ করব।’ [2]
[1] ফিরআউনের জন্য এ ঘটনা বিরাট বিচিত্র ও অত্যন্ত বিস্ময়কর ছিল যে, যেসব যাদুকরদের সাহায্যে সাফল্য ও বিজয়ের আশা করেছিল, শুধু তারা আজ পরাজিতই নয় বরং ভরা সভায় তারা ঐ প্রভুর উপর ঈমান এনে বসল, যে প্রভু মূসা ও হারূন (আঃ)-কে দলীল ও মু’জিযা দিয়ে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ফিরআউন চিন্তা-ভাবনা করা ও ঈমান আনার পরিবর্তে অহংকার ও বিদ্বেষের পথ অবলম্বন করল এবং যাদুকরদেরকে ভয় দেখাতে ও হুমকি দিতে শুরু করল, আর বলল যে, মনে হচ্ছে তোমরা তারই ছাত্র। আর তোমাদের উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে, এই ষড়যন্ত্র দ্বারা আমাদেরকে এখান হতে বের করে দেওয়া। {إِنَّ هَذَا لَمَكْرٌ مَّكَرْتُمُوهُ فِي الْمَدِينَةِ لِتُخْرِجُواْ مِنْهَا أَهْلَهَا} (123) سورة الأعراف
[2] বিপরীতভাবে হাত-পা কাটার অর্থ হল, ডান হাত ও বাম পা আর বাম হাত ও ডান পা। এরপর শূলে চড়ানো আলাদা বিষয়। অর্থাৎ, হাত-পা কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পরও তার ক্রোধ ঠান্ডা হল না; বরং শূলবিদ্ধ করার কথাও ঘোষণা করল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫০. তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই(১), আমরা তো আমাদের রব-এর কাছেই প্রত্যাবর্তনকারী।
(১) অর্থাৎ যখন ফিরআউন জাদুকরদেরকে বিশ্বাস স্থাপনের কারণে হত্যা, হস্ত-পদ কর্তন ও শূলে চড়ানোর হুমকি দিল, তখন জাদুকররা অত্যন্ত তাচ্ছিল্যাভরে জবাব দিলঃ তুমি যা করতে পার, কর। আমাদের কোন ক্ষতি নেই। আমরা নিহত হলেও পালনকর্তার কাছে পৌঁছে যাব, সেখানের আরামই আরাম। [কুরতুবী, ফাতহুল কাদীর, মুয়াস্সার]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫০) ওরা বলল, ‘কোন ক্ষতি নেই,[1] নিশ্চয় আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করব।
[1] لا ضَير কোন ক্ষতি নেই বা আমাদের কোন পরোয়া নেই। অর্থাৎ যে শাস্তিই তুমি আমাদের দিতে চাও, দাও। আমরা ঈমান আনা হতে বিরত হব না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান