بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
সূরাঃ ২৬/ আশ-শুআ'রা | Ash-Shu'ara | سورة الشعراء আয়াতঃ ২২৭ মাক্কী
২৬ : ৪১ فَلَمَّا جَآءَ السَّحَرَۃُ قَالُوۡا لِفِرۡعَوۡنَ اَئِنَّ لَنَا لَاَجۡرًا اِنۡ كُنَّا نَحۡنُ الۡغٰلِبِیۡنَ ﴿۴۱﴾
فلما جآء السحرۃ قالوا لفرعون ائن لنا لاجرا ان كنا نحن الغلبین ﴿۴۱﴾
• অতঃপর যখন যাদুকররা আসল,তারা ফির‘আউনকে বলল,‘যদি আমরাই বিজয়ী হই, তবে আমাদের জন্য কি সত্যিই পুরস্কার আছে?’

-আল-বায়ান

• যাদুকররা যখন আসলো, তারা ফেরাউনকে বলল : ‘আমরা জয়ী হলে আমাদেরকে পুরস্কার দেয়া হবে তো?’

-তাইসিরুল

• অতঃপর যাদুকররা এসে ফির‘আউনকে বললঃ আমরা যদি বিজয়ী হই তাহলে আমাদের জন্য পুরস্কার থাকবে তো?

-মুজিবুর রহমান

• And when the magicians arrived, they said to Pharaoh, "Is there indeed for us a reward if we are the predominant?"

-Sahih International

৪১. অতঃপর জাদুকরেরা এসে ফির’আউনকে বলল, আমরা যদি বিজয়ী হই আমাদের জন্য পুরস্কার থাকবে তো?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪১) যাদুকরেরা ফিরআউনের নিকট এসে বলল, ‘আমরা যদি বিজয়ী হই, তাহলে আমাদের জন্য পুরস্কার থাকবে তো?’

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ৪২ قَالَ نَعَمۡ وَ اِنَّكُمۡ اِذًا لَّمِنَ الۡمُقَرَّبِیۡنَ ﴿۴۲﴾
قال نعم و انكم اذا لمن المقربین ﴿۴۲﴾
• সে বলল, ‘হ্যাঁ এবং নিশ্চয় তোমরা তখন আমার ঘনিষ্টজনদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।

-আল-বায়ান

• ফেরাউন বলল- ‘হাঁ, তখন তোমরা অবশ্যই আমার নৈকট্যলাভকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’

-তাইসিরুল

• ফির‘আউন বললঃ হ্যাঁ, তখন তোমরা অবশ্যই আমার নিকটজনদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

-মুজিবুর রহমান

• He said, "Yes, and indeed, you will then be of those near [to me]."

-Sahih International

৪২. ফিরআউন বলল, হ্যাঁ, তখন তো তোমরা অবশ্যই আমার ঘনিষ্ঠদের শামিল হবে।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪২) ফিরআউন বলল, ‘হ্যাঁ, তখন তোমরা আমার পারিষদবর্গের শামিল হবে।’

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ৪৩ قَالَ لَهُمۡ مُّوۡسٰۤی اَلۡقُوۡا مَاۤ اَنۡتُمۡ مُّلۡقُوۡنَ ﴿۴۳﴾
قال لهم موسی القوا ما انتم ملقون ﴿۴۳﴾
• মূসা তাদের বলল, ‘তোমরা যা নিক্ষেপ করার তা নিক্ষেপ কর’।

-আল-বায়ান

• মূসা তাদেরকে বলল- ‘নিক্ষেপ কর যা তোমরা নিক্ষেপ করবে।’

-তাইসিরুল

• মূসা তাদেরকে বললঃ তোমাদের যা নিক্ষেপ করার তা নিক্ষেপ কর।

-মুজিবুর রহমান

• Moses said to them, "Throw whatever you will throw."

-Sahih International

৪৩. মূসা তাদেরকে বললেন, তোমরা যা নিক্ষেপ করার তা নিক্ষেপ কর।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৩) মূসা ওদেরকে বলল, ‘তোমাদের যা নিক্ষেপ করার, তা নিক্ষেপ কর।’ [1]

[1] মূসার পক্ষ হতে যাদুকরদের খেলা দেখানোর আহবান জানানোর মধ্যে এই হিকমত থাকতে পারে যে, প্রথমতঃ তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে যাক, তিনি আল্লাহর পয়গম্বর। এত বিশাল সংখ্যক বিখ্যাত যাদুকরদের জমা হওয়া ও তাদের যাদু খেলায় মোটেই ভীত নয়। দ্বিতীয়তঃ এ উদ্দেশ্যও হতে পারে যে, যখন পরে আল্লাহর আদেশে এ সমস্ত যাদু এক নিমেষে শেষ হয়ে যাবে, তখন দর্শকদের উপর এর একটা বিরাট প্রভাব পড়বে আর এভাবে বেশী বেশী মানুষ আল্লাহর উপর ঈমান আনবে। অতএব সেই মতই হল; বরং যাদুকরেরাই প্রথমে ঈমান আনল, যেমন পরে বলা হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ৪৪ فَاَلۡقَوۡا حِبَالَهُمۡ وَ عِصِیَّهُمۡ وَ قَالُوۡا بِعِزَّۃِ فِرۡعَوۡنَ اِنَّا لَنَحۡنُ الۡغٰلِبُوۡنَ ﴿۴۴﴾
فالقوا حبالهم و عصیهم و قالوا بعزۃ فرعون انا لنحن الغلبون ﴿۴۴﴾
• অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ‘ফির‘আউনের মর্যাদার কসম! অবশ্যই আমরা বিজয়ী হব।’

-আল-বায়ান

• তখন তারা তাদের রশিগুলো ও লাঠিগুলো নিক্ষেপ করল আর তারা বলল- ‘ফেরাউনের ইযযতের শপথ! আমরা অবশ্যই জয়ী হব।’

-তাইসিরুল

• অতঃপর তারা তাদের রজ্জু ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং তারা বললঃ ফির‘আউনের শপথ! আমরাই বিজয়ী হব।

-মুজিবুর রহমান

• So they threw their ropes and their staffs and said, "By the might of Pharaoh, indeed it is we who are predominant."

-Sahih International

৪৪. অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং তারা বলল, ‘ফিরআউনের ইযযতের শপথ! আমরাই তো বিজয়ী হব।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৪) অতঃপর ওরা ওদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং ওরা বলল, ‘ফিরআউনের ইজ্জতের শপথ! আমরাই বিজয়ী হব।’ [1]

[1] যেমন সূরা আ’রাফ ও ত্বহায় আলোচিত হয়েছে যে, ঐ সমস্ত যাদুকরেরা নিজেদের ধারণা অনুযায়ী বিরাট যাদু পেশ করল। {سَحَرُواْ أَعْيُنَ النَّاسِ وَاسْتَرْهَبُوهُمْ وَجَاءوا بِسِحْرٍ عَظِيمٍ} (116) سورة الأعراف এমনকি মূসা (আঃ)ও একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। {فَأَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خِيفَةً مُّوسَى} (67) سورة طـه বলা বাহুল্য, ঐ সব যাদুকরদের নিজেদের সাফল্যের উপর বিরাট আস্থা ছিল, যেমন এখানে এই আয়াতে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা মূসা (আঃ)-কে সান্ত্বনা দিলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তোমার লাঠিটি মাটিতে ফেল! সুতরাং লাঠি মাটিতে পড়ার সাথে সাথে এক ভয়ংকর অজগরের রূপ ধারণ করল। আর একটি একটি করে তাদের যাদুর তৈরী সমস্ত জিনিসগুলোকে গিলে ফেলল। যেমন পরের আয়াতে বলা হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ৪৫ فَاَلۡقٰی مُوۡسٰی عَصَاهُ فَاِذَا هِیَ تَلۡقَفُ مَا یَاۡفِكُوۡنَ ﴿ۚۖ۴۵﴾
فالقی موسی عصاه فاذا هی تلقف ما یافكون ﴿۴۵﴾
• তারপর মূসা তার লাঠি ফেলল, ফলে তৎক্ষণাৎ তা তাদের মিথ্যা প্রদর্শনীগুলো গ্রাস করে ফেলল।

-আল-বায়ান

• অতঃপর মূসা তার লাঠি নিক্ষেপ করল। হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গিলতে লাগল।

-তাইসিরুল

• অতঃপর মূসা তার লাঠি নিক্ষেপ করল; সহসা ওটা তাদের অলীক সৃষ্টিগুলিকে গ্রাস করতে লাগল।

-মুজিবুর রহমান

• Then Moses threw his staff, and at once it devoured what they falsified.

-Sahih International

৪৫. অতঃপর মূসা তার লাঠি নিক্ষেপ করলেন, সহসা সেটা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্ৰাস করতে লাগল।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৫) অতঃপর মূসা তার লাঠি নিক্ষেপ করল; সহসা তা ওদের অলীক সৃষ্টিগুলিকে গ্রাস করতে লাগল।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ৪৬ فَاُلۡقِیَ السَّحَرَۃُ سٰجِدِیۡنَ ﴿ۙ۴۶﴾
فالقی السحرۃ سجدین ﴿۴۶﴾
• ফলে যাদুকররা সিজদাবনত হয়ে পড়ল।

-আল-বায়ান

• তখন যাদুকররা সিজদায় লুটিয়ে পড়ল।

-তাইসিরুল

• তখন যাদুকরেরা সাজদাহবনত হয়ে পড়ল।

-মুজিবুর রহমান

• So the magicians fell down in prostration [to Allah].

-Sahih International

৪৬. তখন জাদুকরেরা সিজদাবনত হয়ে পড়ল।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৬) তখন যাদুকরেরা সিজদাবনত হল,

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ৪৭ قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۙ۴۷﴾
قالوا امنا برب العلمین ﴿۴۷﴾
• তারা বলল, ‘আমরা ঈমান আনলাম সকল সৃষ্টির রবের প্রতি’।

-আল-বায়ান

• তারা বলল- ‘আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম রাব্বুল ‘আলামীনের প্রতি,

-তাইসিরুল

• তারা বললঃ আমরা ঈমান আনলাম জগতসমূহের রবের প্রতি –

-মুজিবুর রহমান

• They said, "We have believed in the Lord of the worlds,

-Sahih International

৪৭. তারা বলল, আমরা ঈমান আনলাম সৃষ্টিকুলের রব-এর প্রতি—

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৭) এবং বলল, ‘বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের প্রতি আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম;

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ৪৮ رَبِّ مُوۡسٰی وَ هٰرُوۡنَ ﴿۴۸﴾
رب موسی و هرون ﴿۴۸﴾
• ‘মূসা ও হারুনের রব’।

-আল-বায়ান

• যিনি মূসা ও হারুনের প্রতিপালক।’

-তাইসিরুল

• যিনি মূসা ও হারুনেরও রাব্ব।

-মুজিবুর রহমান

• The Lord of Moses and Aaron."

-Sahih International

৪৮. যিনি মূসা ও হারূনের রব।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৮) যিনি মূসা এবং হারূনেরও প্রতিপালক।’

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ৪৯ قَالَ اٰمَنۡتُمۡ لَهٗ قَبۡلَ اَنۡ اٰذَنَ لَكُمۡ ۚ اِنَّهٗ لَكَبِیۡرُكُمُ الَّذِیۡ عَلَّمَكُمُ السِّحۡرَ ۚ فَلَسَوۡفَ تَعۡلَمُوۡنَ ۬ؕ لَاُقَطِّعَنَّ اَیۡدِیَكُمۡ وَ اَرۡجُلَكُمۡ مِّنۡ خِلَافٍ وَّ لَاُوصَلِّبَنَّكُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۚ۴۹﴾
قال امنتم لهٗ قبل ان اذن لكم انهٗ لكبیركم الذی علمكم السحر فلسوف تعلمون لاقطعن ایدیكم و ارجلكم من خلاف و لاوصلبنكم اجمعین ﴿۴۹﴾
• ফির‘আউন বলল, ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পূর্বেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনলে? নিশ্চয় সে তোমাদের গুরু যে তোমাদের যাদু শিক্ষা দিয়েছে। অতএব অচিরেই তোমরা জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাতসমূহ ও তোমাদের পাসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং অবশ্যই তোমাদের সকলকে শূলিবিদ্ধ করব’।

-আল-বায়ান

• ফেরাউন বলল- ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তাতে বিশ্বাস আনলে? নিশ্চয়ই সে তোমাদের ওস্তাদ যে তোমাদেরকে যাদু শিখিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা (এর পরিণাম) জানতে পারবে। আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের হাত-পাগুলোকে বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব আর তোমাদের সব্বাইকে অবশ্য অবশ্যই ‘শূলে চড়াব।

-তাইসিরুল

• ফির‘আউন বললঃ আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পূর্বেই তোমরা তাতে বিশ্বাস করলে? এইতো তোমাদের প্রধান যে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে; শীঘ্রই তোমরা এর পরিণাম জানবে; আমি অবশ্যই তোমাদের হাত এবং তোমাদের পা বিপরীত দিক হতে কেটে ফেলব এবং তোমাদের সবাইকে শুলবিদ্ধ করবই।

-মুজিবুর রহমান

• [Pharaoh] said, "You believed Moses before I gave you permission. Indeed, he is your leader who has taught you magic, but you are going to know. I will surely cut off your hands and your feet on opposite sides, and I will surely crucify you all."

-Sahih International

৪৯. ফির’আউন বলল, কী! আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি বিশ্বাস করলে? সে-ই তো তোমাদের প্রধান যে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে। সুতরাং শীঘ্রই তোমরা এর পরিণাম জানবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত এবং তোমাদের পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং তোমাদের সবাইকে শূলবিদ্ধ করবই।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৯) ফিরআউন বলল, ‘কি! আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেওয়ার পূর্বেই তোমরা ওতে বিশ্বাস করলে? দেখছি এ-ই তো তোমাদের প্রধান; যে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে। [1] শীঘ্রই তোমরা এর পরিণাম জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত-পা বিপরীতভাবে কেটে নেব এবং তোমাদের সকলকে শূলবিদ্ধ করব।’ [2]

[1] ফিরআউনের জন্য এ ঘটনা বিরাট বিচিত্র ও অত্যন্ত বিস্ময়কর ছিল যে, যেসব যাদুকরদের সাহায্যে সাফল্য ও বিজয়ের আশা করেছিল, শুধু তারা আজ পরাজিতই নয় বরং ভরা সভায় তারা ঐ প্রভুর উপর ঈমান এনে বসল, যে প্রভু মূসা ও হারূন (আঃ)-কে দলীল ও মু’জিযা দিয়ে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ফিরআউন চিন্তা-ভাবনা করা ও ঈমান আনার পরিবর্তে অহংকার ও বিদ্বেষের পথ অবলম্বন করল এবং যাদুকরদেরকে ভয় দেখাতে ও হুমকি দিতে শুরু করল, আর বলল যে, মনে হচ্ছে তোমরা তারই ছাত্র। আর তোমাদের উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে, এই ষড়যন্ত্র দ্বারা আমাদেরকে এখান হতে বের করে দেওয়া। {إِنَّ هَذَا لَمَكْرٌ مَّكَرْتُمُوهُ فِي الْمَدِينَةِ لِتُخْرِجُواْ مِنْهَا أَهْلَهَا} (123) سورة الأعراف

[2] বিপরীতভাবে হাত-পা কাটার অর্থ হল, ডান হাত ও বাম পা আর বাম হাত ও ডান পা। এরপর শূলে চড়ানো আলাদা বিষয়। অর্থাৎ, হাত-পা কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পরও তার ক্রোধ ঠান্ডা হল না; বরং শূলবিদ্ধ করার কথাও ঘোষণা করল।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ৫০ قَالُوۡا لَا ضَیۡرَ ۫ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا مُنۡقَلِبُوۡنَ ﴿ۚ۵۰﴾
قالوا لا ضیر انا الی ربنا منقلبون ﴿۵۰﴾
• তারা বলল, ‘কোন ক্ষতি নেই তাতে। অবশ্যই আমরা তো আমাদের রবের দিকেই ফিরে যাব।’

-আল-বায়ান

• তারা বলল- কোনই ক্ষতি নেই, আমরা আমাদের প্রতিপালকের পানে প্রত্যাবর্তন করব।

-তাইসিরুল

• তারা বললঃ কোন ক্ষতি নেই, আমরা আমাদের রবের নিকট প্রত্যাবর্তন করব।

-মুজিবুর রহমান

• They said, "No harm. Indeed, to our Lord we will return.

-Sahih International

৫০. তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই(১), আমরা তো আমাদের রব-এর কাছেই প্রত্যাবর্তনকারী।

(১) অর্থাৎ যখন ফিরআউন জাদুকরদেরকে বিশ্বাস স্থাপনের কারণে হত্যা, হস্ত-পদ কর্তন ও শূলে চড়ানোর হুমকি দিল, তখন জাদুকররা অত্যন্ত তাচ্ছিল্যাভরে জবাব দিলঃ তুমি যা করতে পার, কর। আমাদের কোন ক্ষতি নেই। আমরা নিহত হলেও পালনকর্তার কাছে পৌঁছে যাব, সেখানের আরামই আরাম। [কুরতুবী, ফাতহুল কাদীর, মুয়াস্‌সার]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫০) ওরা বলল, ‘কোন ক্ষতি নেই,[1] নিশ্চয় আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করব।

[1] لا ضَير কোন ক্ষতি নেই বা আমাদের কোন পরোয়া নেই। অর্থাৎ যে শাস্তিই তুমি আমাদের দিতে চাও, দাও। আমরা ঈমান আনা হতে বিরত হব না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ ৪১ থেকে ৫০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২২৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 5 6 · · · 20 21 22 23 পরের পাতা »