بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
সূরাঃ ৮৯/ আল-ফাজর | Al-Fajr | سورة الفجر আয়াতঃ ৩০ মাক্কী
৮৯ : ২১ كَلَّاۤ اِذَا دُكَّتِ الۡاَرۡضُ دَكًّا دَكًّا ﴿ۙ۲۱﴾
كلا اذا دكت الارض دكا دكا ﴿۲۱﴾
• কখনো নয়, যখন যমীনকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হবে পরিপূর্ণভাবে।

-আল-বায়ান

• এটা মোটেই ঠিক নয়, যখন পৃথিবীকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে বালি বানিয়ে দেয়া হবে,

-তাইসিরুল

• এটা সংগত নয়। পৃথিবীকে যখন চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে,

-মুজিবুর রহমান

• No! When the earth has been leveled - pounded and crushed -

-Sahih International

২১. কখনো নয়।(১) যখন যমীনকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হবে(২),

(১) অর্থাৎ তোমাদের কাজ এরকম হওয়া উচিত নয়। [ফাতহুল কাদীর]

(২) কাফেরদের মন্দ অভ্যাসসমূহ বৰ্ণনার পর আবার আখেরাতের আলোচনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে, যখন ভূকম্পনের মত হয় সবকিছু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে; তখন কার কি অবস্থা হবে একটু চিন্তা করা দরকার।

তাফসীরে জাকারিয়া

২১। না এটা সঙ্গত নয়! [1] যখন পৃথিবীকে ভেঙ্গে পূর্ণ-বিচূর্ণ করা হবে।

[1] অথবা তোমাদের আমল এমন হওয়া উচিত নয় যেমন উল্লেখ হয়েছে। কেননা, এক সময় আসবে ‘‘যখন ------।’’

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৯ : ২২ وَّ جَآءَ رَبُّكَ وَ الۡمَلَكُ صَفًّا صَفًّا ﴿ۚ۲۲﴾
و جآء ربك و الملك صفا صفا ﴿۲۲﴾
• আর তোমার রব ও ফেরেশতাগণ উপস্থিত হবেন সারিবদ্ধভাবে।

-আল-বায়ান

• আর যখন তোমার প্রতিপালক আসবেন আর ফেরেশতারা আসবে সারিবদ্ধ হয়ে,

-তাইসিরুল

• এবং যখন তোমার রাব্ব আগমন করবেন, আর সারিবদ্ধভাবে মালাইকা/ফেরেশতাগণও সমুপস্থিত হবে –

-মুজিবুর রহমান

• And your Lord has come and the angels, rank upon rank,

-Sahih International

২২. আর যখন আপনার রব আগমন করবেন ও সারিবদ্ধভাবে ফেরেশতাগণও(১),

(১) মূলে বলা হয়েছে (وَجَاءَ رَبُّكَ) এর শাব্দিক অনুবাদ হচ্ছে, “আপনার রব আসবেন।” এখানে ‘হাশরের মাঠে আল্লাহর আগমন’ সাব্যস্ত করা হয়েছে। তিনি (আল্লাহ) অবশ্যই হাশরের মাঠে বিচার ফয়সালা করার জন্য স্বয়ং আসবেন। [ইবন কাসীর] আল্লাহ তা'আলা হাশরের মাঠে আগমন করবেন এটা সত্য। যেভাবে আসা তাঁর জন্য উপযুক্ত তিনি সেভাবে আসবেন। এই আগমনের অর্থ আমরা বুঝি কিন্তু তিনি কিভাবে আগমন করবেন তা তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। এটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আলেমদের বিশ্বাস। দুনিয়ায় কোন বাদশাহর সমগ্র সেনাদল এবং তার মন্ত্রণাপরিষদ ও সভাসদদের আগমনে ঠিক ততটা প্রভাব ও প্রতাপ সৃষ্টি হয় না যতটা বাদশাহর নিজের দরবারে আগমনে সৃষ্টি হয়। এই বিষয়টিই এখানে বুঝানো হয়েছে।

তাফসীরে জাকারিয়া

২২। এবং যখন তোমার প্রতিপালক আগমন করবেন আর সারিবদ্ধভাবে ফিরিশতাগণও (সমুপস্থিত হবে)। [1]

[1] বলা হয় যে, কিয়ামতের দিন যখন ফিরিশতাগণ আসমান হতে নিচে অবতরণ করবেন, তখন প্রত্যেক আসমানের ফিরিশতাদের আলাদা আলাদা কাতার বা সারি হবে। এইরূপ সাতটি কাতার হবে যাঁরা সারা পৃথিবীকে বেষ্টন করে নেবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৯ : ২৩ وَ جِایۡٓءَ یَوۡمَئِذٍۭ بِجَهَنَّمَ ۬ۙ یَوۡمَئِذٍ یَّتَذَكَّرُ الۡاِنۡسَانُ وَ اَنّٰی لَهُ الذِّكۡرٰی ﴿ؕ۲۳﴾
و جایٓء یومئذ بجهنم یومئذ یتذكر الانسان و انی له الذكری ﴿۲۳﴾
• আর সেদিন জাহান্নামকে উপস্থিত করা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু সেই স্মরণ তার কী উপকারে আসবে?

-আল-বায়ান

• আর জাহান্নামকে সেদিন (সামনাসামনি) আনা হবে। সেদিন মানুষ উপলব্ধি করবে, কিন্তু তখন এ উপলব্ধি তার কী কাজে আসবে?

-তাইসিরুল

• সেদিন জাহান্নামকে আনয়ন করা হবে এবং সেদিন মানুষ উপলদ্ধি করবে, কিন্তু এই উপলদ্ধি তার কি করে কাজে আসবে?

-মুজিবুর রহমান

• And brought [within view], that Day, is Hell - that Day, man will remember, but what good to him will be the remembrance?

-Sahih International

২৩. আর সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে(১) সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, তখন এ স্মরণ তার কি কাজে আসবে?(২)

(১) অর্থাৎ সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে বা সামনে উপস্থিত করা হবে। হাদীসে এসেছে, “জাহান্নামকে ফেরেশতারা টেনে নিয়ে আসবে, সেদিন জাহান্নামের সত্তর হাজার লাগাম হবে, প্রতি লাগামে সত্তর হাজার ফেরেশতা থাকবে।” [মুসলিম: ২৮৪২, তিরমিযী: ২৫৭৩]

(২) মূলে বলা হয়েছে يَتَذَكَّرُ এর দু'টি অর্থ হতে পারে। এক. يَتَذَكَّرُ এর অর্থ এখানে বুঝে আসা। সুতরাং সেদিন মানুষ সচেতন হবে। সে উপদেশ গ্রহণ করবে। সে বুঝতে পারবে, নবীগণ তাকে যা কিছু বলেছিলেন তাই ছিল সঠিক এবং তাদের কথা না মেনে সে বোকামি করেছে। কিন্তু সে সময় সচেতন হওয়া, উপদেশ গ্ৰহণ করা এবং নিজের ভুল বুঝতে পারায় কী লাভ? [দেখুন, ফাতহুল কাদীর] দুই. অথবা يَتَذَكَّرُ অর্থ স্মরণ করা। অর্থাৎ সেদিন মানুষ দুনিয়ায় যা কিছু করে এসেছে তা স্মরণ করবে এবং সেজন্য লজ্জিত হবে। কিন্তু তখন স্মরণ করায় এবং লজ্জিত হওয়ায় কোন লাভ হবে না। [দেখুন: ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

২৩। সেদিন জাহান্নামকে আনয়ন করা হবে[1] এবং সেদিন মানুষ উপলব্ধি করতে পারবে; কিন্তু তার উপলব্ধি কি কোন কাজে আসবে? [2]

[1] ৭০ হাজার লাগামে জাহান্নাম বাঁধা থাকবে। আর প্রতিটি লাগামে ৭০ হাজার করে ফিরিশতা নিযুক্ত থাকবেন এবং সেদিন তাঁরা তা টেনে আনয়ন করবেন। (সহীহ মুসলিম জান্নাতের বিবরণ অধ্যায়, জাহান্নামে অগ্নির উষ্ণতা ও গভীরতার পরিচ্ছেদ)

জাহান্নামকে আরশের বাম দিকে উপস্থিত করা হবে। তা দেখে সকল নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা ও আম্বিয়া (‘আলাইহিমুস সালাম)-গণ হাঁটু গেড়ে লুটিয়ে পড়বেন। আর ‘ইয়া রাব্ব! নাফসী নাফসী’ বলতে থাকবেন। (ফাতহুল ক্বাদীর)

[2] অর্থাৎ, এই ভয়ংকর দৃশ্য দেখে মানুষের চোখ খুলে যাবে এবং নিজ কুফর ও কৃতপাপের জন্য লজ্জিত হবে। কিন্তু সেদিন লজ্জিত হয়ে, উপলব্ধি করে উপদেশ গ্রহণ করলেও কোন উপকার হবে না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৯ : ২৪ یَقُوۡلُ یٰلَیۡتَنِیۡ قَدَّمۡتُ لِحَیَاتِیۡ ﴿ۚ۲۴﴾
یقول یلیتنی قدمت لحیاتی ﴿۲۴﴾
• সে বলবে, ‘হায়! যদি আমি কিছু আগে পাঠাতাম আমার এ জীবনের জন্য’!

-আল-বায়ান

• সে বলবে, ‘হায়! আমার (এখনকার) জীবনের জন্য যদি আমি (সৎকর্ম) আগে পাঠাতাম!

-তাইসিরুল

• সে বলবেঃ হায়! আমার এ জীবনের জন্য আমি যদি কিছু অগ্রিম পাঠাতাম!

-মুজিবুর রহমান

• He will say, "Oh, I wish I had sent ahead [some good] for my life."

-Sahih International

২৪. সে বলবে, হায়! আমার এ জীবনের জন্য আমি যদি কিছু অগ্রিম পাঠাতাম?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

২৪। সে বলবে, ‘হায়! আমার এ জীবনের জন্য আমি যদি কিছু অগ্রিম পাঠাতাম!’ [1]

[1] এই বলে আফসোস ও আক্ষেপ উক্ত লজ্জা ও লাঞ্ছনারই অংশবিশেষ। কিন্তু সেদিন তা কোন উপকারে আসবে না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৯ : ২৫ فَیَوۡمَئِذٍ لَّا یُعَذِّبُ عَذَابَهٗۤ اَحَدٌ ﴿ۙ۲۵﴾
فیومئذ لا یعذب عذابهٗ احد ﴿۲۵﴾
• অতঃপর সেদিন তাঁর আযাবের মত আযাব কেউ দিতে পারবে না।

-আল-বায়ান

• অতঃপর সেদিন তাঁর শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিতে পারবে না

-তাইসিরুল

• সেই দিন তাঁর শাস্তির মত শাস্তি কেহ দিতে পারবেনা,

-মুজিবুর রহমান

• So on that Day, none will punish [as severely] as His punishment,

-Sahih International

২৫. সেদিন তাঁর শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিতে পারবে না,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

২৫। সেদিন তাঁর (আল্লাহর) শাস্তির মত শাস্তি অন্য কেউ দিতে পারবে না।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৯ : ২৬ وَّ لَا یُوۡثِقُ وَ ثَاقَهٗۤ اَحَدٌ ﴿ؕ۲۶﴾
و لا یوثق و ثاقهٗ احد ﴿۲۶﴾
• আর কেউ তাঁর বাঁধার মত বাঁধতে পারবে না।

-আল-বায়ান

• এবং তাঁর বাঁধনের মত কেউ বাঁধতে পারবে না।

-তাইসিরুল

• এবং তাঁর বন্ধনের মত বন্ধন কেহ করতে পারবেনা।

-মুজিবুর রহমান

• And none will bind [as severely] as His binding [of the evildoers].

-Sahih International

২৬. এবং তার বাঁধার মত বাঁধতে কেউ পারবে না।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

২৬। এবং তাঁর বন্ধনের মত বন্ধন কেউ বাঁধতে পারবে না। [1]

[1] এই জন্য যে, সেদিন সমস্ত প্রকার ইচ্ছা ও এখতিয়ার কেবলমাত্র আল্লাহরই হাতে হবে। অন্য কারো তাঁর সামনে কিছু করবার ক্ষমতা থাকবে না। তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ কারো সুপারিশ পর্যন্তও করতে পারবে না। এই অবস্থায় কাফেরদের যে আযাব হবে এবং যেভাবে তারা আল্লাহর বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে, তার কল্পনাও করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়; তা অনুমান করা তো দূরের কথা। এ অবস্থা তো যালেম ও অপরাধীদের হবে। পক্ষান্তরে ঈমানদার এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাগণের অবস্থা হবে এর সম্পূর্ণ বিপরীত; যেমন পরবর্তী আয়াতসমূহে বর্ণিত হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৯ : ২৭ یٰۤاَیَّتُهَا النَّفۡسُ الۡمُطۡمَئِنَّۃُ ﴿٭ۖ۲۷﴾
یایتها النفس المطمئنۃ ﴿٭۲۷﴾
• হে প্রশান্ত আত্মা!

-আল-বায়ান

• (অপর দিকে নেককার লোককে বলা হবে) হে প্রশান্ত আত্মা!

-তাইসিরুল

• বলা হবেঃ হে প্রশান্ত চিত্ত!

-মুজিবুর রহমান

• [To the righteous it will be said], "O reassured soul,

-Sahih International

২৭. হে প্ৰশান্ত আত্মা!

-

তাফসীরে জাকারিয়া

২৭। হে উদ্বেগশূন্য চিত্ত!

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৯ : ২৮ ارۡجِعِیۡۤ اِلٰی رَبِّكِ رَاضِیَۃً مَّرۡضِیَّۃً ﴿ۚ۲۸﴾
ارجعی الی ربك راضیۃ مرضیۃ ﴿۲۸﴾
• তুমি ফিরে এসো তোমার রবের প্রতি সন্তুষ্টচিত্তে, সন্তোষভাজন হয়ে।

-আল-বায়ান

• তোমার রব-এর দিকে ফিরে এসো সন্তুষ্ট হয়ে এবং (তোমার রব-এর) সন্তুষ্টির পাত্র হয়ে।

-তাইসিরুল

• তুমি তোমার রবের নিকট ফিরে এসো সন্তুষ্ট ও সন্তোষ ভাজন হয়ে,

-মুজিবুর রহমান

• Return to your Lord, well-pleased and pleasing [to Him],

-Sahih International

২৮. তুমি তোমার রবের কাছে ফিরে আস সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে(১),

(১) এখানে মুমিনদের রূহকে ‘আন-নাফসুল মুতমায়িন্নাহ’ বা প্রশান্ত আত্মা বলে সম্বোধন করা হয়েছে। অর্থাৎ এ আত্মা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট এবং আল্লাহ তা'আলাও তার প্রতি সন্তুষ্ট। কেননা, বান্দার সন্তুষ্টির দ্বারাই বোঝা যায় যে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট। আল্লাহ বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট না হলে বান্দা আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট হওয়ার তাওফীকই পায় না। এমনি আত্মা মৃত্যুকালে মৃত্যুতেও সন্তুষ্ট ও আনন্দিত হয়।

এখন প্রশ্ন হলো, একথা তাকে কখন বলা হবে? বলা হয় মৃত্যুকালে বলা হবে; অথবা, যখন কিয়ামতের দিন পুনরায় জীবিত হয়ে হাশরের ময়দানের দিকে যেতে থাকবে সে সময়ও বলা হবে এবং আল্লাহর আদালতে পেশ করার সময়ও তাকে একথা বলা হবে। প্রতিটি পর্যায়ে তাকে এই মর্মে নিশ্চয়তা দান করা হবে যে, সে আল্লাহর রহমতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। [দেখুন: ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

২৮। তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট[1] ফিরে এস সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।

[1] অর্থাৎ, তাঁর প্রতিদান, পুরস্কার ও ঐ সুখ-সামগ্রীর নিকট ফিরে এস; যা তিনি নিজ (নেক) বান্দার জন্য জান্নাতে প্রস্ত্তত রেখেছেন। কেউ কেউ বলেন, কিয়ামতের দিন এ কথা বলা হবে। আবার কেউ বলেন যে, মৃত্যুর সময় ফিরিশতাগণ বান্দাকে এ কথা বলে সুসংবাদ দেন। এই প্রকার কিয়ামতের দিনেও তাদেরকে বলা হবে, যা আয়াতে উল্লেখ হয়েছে। হাফেয ইবনে কাসীর (রঃ) ইবনে আসাকেরের হাওয়ালায় বলেন যে, নবী (সাঃ) এক ব্যক্তিকে এই দু’আটি পড়ার আদেশ দিয়েছেনঃ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্আলুকা নাফসান বিকা মুত্বমাইন্নাহ, তু’মিনু বিলিকায়িকা অতারযা বিক্বায্বা-য়িকা অতাক্বনাউ বিআত্বা-য়িক।’ (ইবনে কাসীর) (এটি সহীহ নয়। দেখুনঃ সিলসিলাহ যয়ীফাহ ৪০৬০নং -সম্পাদক)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৯ : ২৯ فَادۡخُلِیۡ فِیۡ عِبٰدِیۡ ﴿ۙ۲۹﴾
فادخلی فی عبدی ﴿۲۹﴾
• অতঃপর আমার বান্দাদের মধ্যে শামিল হয়ে যাও।

-আল-বায়ান

• অতঃপর আমার (নেক) বান্দাহদের মধ্যে শামিল হও

-তাইসিরুল

• অতঃপর তুমি আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হও,

-মুজিবুর রহমান

• And enter among My [righteous] servants

-Sahih International

২৯. অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হও(১),

(১) প্রশান্ত আত্মাকে সম্বোধন করে বলা হবে, আমার বিশেষ বান্দাদের কাতারভুক্ত হয়ে যাও এবং আমার জান্নাতে প্ৰবেশ কর। এ আদেশ হতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, জান্নাতে প্রবেশ করা নেককার সৎ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ওপর নির্ভরশীল। তাদের সাথেই জান্নাতে প্রবেশ করা যাবে। এ কারণেই সুলাইমান আলাইহিস সালাম দোআ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, (وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ) “এবং আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শামিল করুন।” [সূরা আন-নামল: ১৯] অনুরূপভাবে ইউসুফ আলাইহিস সালামও দো'আ করতে গিয়ে বলেছিলেন, (وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ) “আর আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের সাথে মিলিয়ে দিন” [সূরা ইউসুফ: ১০১] এমনকি ইবরাহীম আলাইহিস সালামও দোআ করে বলেছিলেন, (رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ) “হে আমার রব! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের সাথে মিলিয়ে দিন”। [সূরা আশ-শু'আরা: ৮৩] এতে বোঝা গেল, সৎসংসর্গ একটি মহা নেয়ামত, যা নবী-রাসূলগণও উপেক্ষা করতে পারেন না।

তাফসীরে জাকারিয়া

২৯। সুতরাং তুমি আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হও।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৮৯ : ৩০ وَ ادۡخُلِیۡ جَنَّتِیۡ ﴿۳۰﴾
و ادخلی جنتی ﴿۳۰﴾
• আর প্রবেশ কর আমার জান্নাতে।

-আল-বায়ান

• আর আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।

-তাইসিরুল

• এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।

-মুজিবুর রহমান

• And enter My Paradise."

-Sahih International

৩০. আর আমার জান্নাতে প্ৰবেশ কর।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

৩০। এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ ২১ থেকে ৩০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3