بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
সূরাঃ ৩৮/ সোয়াদ | Ṣād | سورة ص আয়াতঃ ৮৮ মাক্কী
৩৮ : ২১ وَ هَلۡ اَتٰىكَ نَبَؤُا الۡخَصۡمِ ۘ اِذۡ تَسَوَّرُوا الۡمِحۡرَابَ ﴿ۙ۲۱﴾
و هل اتىك نبؤا الخصم اذ تسوروا المحراب ﴿۲۱﴾
• তোমার কাছে কি বিবদমান লোকদের সংবাদ এসেছে? যখন তারা প্রাচীর ডিঙিয়ে মিহরাবে আসল।

-আল-বায়ান

• বিবদমান লোকেদের কথা তোমার কাছে পৌঁছেছে কি? যখন তারা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে ‘ইবাদাতখানায় আসলো,

-তাইসিরুল

• তোমার নিকট বিবাদকারী লোকের বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি, যখন তারা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে এল ইবাদাতখানায় –

-মুজিবুর রহমান

• And has there come to you the news of the adversaries, when they climbed over the wall of [his] prayer chamber -

-Sahih International

২১. আর আপনার কাছে বিবদমান লোকদের বৃত্তান্ত পৌছেছে কি? যখন তারা প্রাচীর ডিঙিয়ে আসল ইবাদাতখানায়,

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২১) তোমার নিকট বিবদমান লোকদের বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি? যখন ওরা প্রাচীর ডিঙিয়ে উপাসনা-কক্ষে প্রবেশ করল, [1]

[1] مِحْرَابْ এর অর্থ হল কক্ষ বা কামরা (ইবাদত-খানা); যেখানে তিনি সবার থেকে পৃথক হয়ে নির্জনে একাগ্রতার সাথে আল্লাহর ইবাদত করতেন। দরজায় প্রহরী থাকত, যাতে কেউ ভিতরে এসে তাঁর ইবাদতে বাধা সৃষ্টি না করে। বাদী-বিবাদী পিছন দিকের প্রাচীর ডিঙিয়ে ভিতরে প্রবেশ করল।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৩৮ : ২২ اِذۡ دَخَلُوۡا عَلٰی دَاوٗدَ فَفَزِعَ مِنۡهُمۡ قَالُوۡا لَا تَخَفۡ ۚ خَصۡمٰنِ بَغٰی بَعۡضُنَا عَلٰی بَعۡضٍ فَاحۡكُمۡ بَیۡنَنَا بِالۡحَقِّ وَ لَا تُشۡطِطۡ وَ اهۡدِنَاۤ اِلٰی سَوَآءِ الصِّرَاطِ ﴿۲۲﴾
اذ دخلوا علی داوٗد ففزع منهم قالوا لا تخف خصمن بغی بعضنا علی بعض فاحكم بیننا بالحق و لا تشطط و اهدنا الی سوآء الصراط ﴿۲۲﴾
• যখন তারা দাঊদের কাছে প্রবেশ করল, তখন সে তাদের ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল ‘আপনি ভয় করবেন না, আমরা বিবদমান দু’পক্ষ। আমাদের একে অন্যের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে। অতএব আপনি আমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করুন, অবিচার করবেন না। আর আমাদেরকে সরল পথের নির্দেশনা দিন’।

-আল-বায়ান

• যখন তারা দাঊদের কাছে প্রবেশ করল, তাদেরকে দেখে সে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল- ভয় করবেন না, আমরা বিবাদের দু’পক্ষ, আমাদের একে অপরের উপর যুলম করেছে, কাজেই আমাদের মাঝে ন্যায্য বিচার করে দিন, অবিচার করবেন না, আর আমাদেরকে সোজা পথের নির্দেশ দিন।

-তাইসিরুল

• এবং দাউদের নিকট পৌঁছল, তখন তাদের কারণে সে ভীত হয়ে পড়ল। তারা বললঃ ভীত হবেননা, আমরা দুই বিবাদমান পক্ষ - আমরা একে অপরের উপর যুল্‌ম করেছি; অতএব আমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করুন, অবিচার করবেননা এবং আমাদেরকে সঠিক পথ নির্দেশ করুন।

-মুজিবুর রহমান

• When they entered upon David and he was alarmed by them? They said, "Fear not. [We are] two adversaries, one of whom has wronged the other, so judge between us with truth and do not exceed [it] and guide us to the sound path.

-Sahih International

২২. যখন তারা দাউদের কাছে প্রবেশ করল, তখন তাদের কারণে তিনি ভীত হয়ে পড়লেন। তারা বলল, ভীত হবেন না, আমরা দুই বিবাদমান পক্ষ—আমাদের একে অন্যের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে; অতএব আপনি আমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করুন; অবিচার করবেন না এবং আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২২) এবং দাউদের নিকট পৌঁছল তখন সে ভীত হয়ে পড়ল।[1] ওরা বলল, ‘ভীত হবেন না, আমরা বিবাদমান দুই ব্যক্তি; আমাদের একে অপরের উপর যুলুম (অত্যাচার) করেছে; অতএব আমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করুন; অবিচার করবেন না এবং আমাদেরকে সঠিক পথনির্দেশ করুন।[2]

[1] ভীতির কারণ সুস্পষ্ট। প্রথমতঃ তারা দরজা ছেড়ে পিছন দিকের প্রাচীর ডিঙিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। দ্বিতীয়তঃ তারা এত বড় দুষ্কর্ম সাধন করতে গিয়ে সম্মুখস্থ বাদশাকে পর্যন্ত কোন প্রকার ভয় করেনি। বাহ্যিক হেতু অনুসারে কোন ভয়াবহ জিনিস দেখে ভীত হয়ে পড়া মানুষের প্রকৃতিগত স্বভাব। এটা না নবুঅতের পরিপূর্ণতা ও তার মর্যাদার পরিপন্থী, আর না-ই তা তাওহীদের বিরোধী। তাওহীদের পরিপন্থী ভীতি হল গায়রুল্লাহর এমন ভীতি যা অহেতুক মনের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে থাকে।

[2] প্রবেশকারীগণ এই বলে সান্ত্বনা দিল যে, আপনি ঘাবড়াবেন না, আমাদের মাঝে বিবাদ বেধেছে, তাই আমরা আপনার নিকট ফায়সালা নিতে এসেছি। আপনি ন্যায় বিচার করুন এবং সরল পথ প্রদর্শন করুন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৩৮ : ২৩ اِنَّ هٰذَاۤ اَخِیۡ ۟ لَهٗ تِسۡعٌ وَّ تِسۡعُوۡنَ نَعۡجَۃً وَّ لِیَ نَعۡجَۃٌ وَّاحِدَۃٌ ۟ فَقَالَ اَكۡفِلۡنِیۡهَا وَ عَزَّنِیۡ فِی الۡخِطَابِ ﴿۲۳﴾
ان هذا اخی لهٗ تسع و تسعون نعجۃ و لی نعجۃ واحدۃ فقال اكفلنیها و عزنی فی الخطاب ﴿۲۳﴾
• ‘নিশ্চয় এ আমার ভাই। তার নিরানব্বইটি ভেড়ী আছে, আর আমার আছে মাত্র একটা ভেড়ী। তবুও সে বলে, ‘এ ভেড়ীটিও আমার তত্ত্বাবধানে দিয়ে দাও’, আর তর্কে সে আমার উপর প্রাধান্য বিস্তার করেছে’।

-আল-বায়ান

• এ হচ্ছে আমার ভাই, এর আছে নিরানব্বইটা দুম্বী, আর আমার আছে মাত্র একটা দুম্বী; তবুও সে বলে- এটি আমার তত্ত্বাবধানে দিয়ে দাও, আর সে যুক্তি-তর্কে আমাকে পরাস্ত করেছে।

-তাইসিরুল

• এ আমার ভাই - এর আছে নিরানব্বইটি দুম্বা এবং আমার আছে মাত্র একটি দুম্বা; তবুও সে বলে আমার জিম্মায় এটি দিয়ে দাও, এবং কথায় সে আমার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করেছে।

-মুজিবুর রহমান

• Indeed this, my brother, has ninety-nine ewes, and I have one ewe; so he said, 'Entrust her to me,' and he overpowered me in speech."

-Sahih International

২৩. নিশ্চয় এ ব্যক্তি আমার ভাই, এর আছে নিরানব্বইটি ভেড়ী।(১) আর আমার আছে মাত্র একটি ভেড়ী। তবুও সে বলে, আমার যিম্মায় এটি দিয়ে দাও, এবং কথায় সে আমার প্ৰতি প্রাধান্য বিস্তার করেছে।

(১) نعجة শব্দের মূল অর্থ, ভেড়ী বা বন্যগরু। [আল-মুজামুল ওয়াসীত] সাধারণত: আরবরা এ শব্দটি দিয়ে অনিন্দ্য সুন্দরী ও বড় চোখ বিশিষ্ট নারীকে বুঝায়। [দেখুন: তাবারী; বাগভী; কুরতুবী; ইবন কাসীর; জালালাইন; ফাতহুল কাদীর; সা’দী; মুয়াস্‌সার] এখানে এ শব্দটি দ্বারা কি উদ্দেশ্য নিয়েছেন তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। [ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৩) এ আমার ভাই,[1] এর আছে নিরানব্বইটি দুম্বা, আর আমার আছে একটি; তবুও সে বলে, আমাকে এটি দিয়ে দাও[2] এবং তর্কে সে আমাকে হারিয়ে দিয়েছে।’ [3]

[1] এখানে ভাই বলতে দ্বীনি ভাই, একই পেশার শরীক অথবা বন্ধু। সকলের জন্য ‘ভাই’ শব্দ ব্যবহার করা শুদ্ধ।

[2] অর্থাৎ, (সে বলে) ঐ দুম্বাটিও আমার দুম্বাদলে শামিল করে দাও। যাতে আমিই তার মালিক হয়ে যাই।

[3] দ্বিতীয় অনুবাদ হল, ‘‘সে কথাবার্তায় আমার উপর জয়ী হয়ে গেছে।’’ অর্থাৎ যেমন তার নিকট সম্পদ বেশি আছে, অনুরূপ মুখেও আমার থেকে বেশি তেজী এবং সেই তেজ ও বাগ্মিতা দ্বারা মানুষকে বশ করে নেয়।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৩৮ : ২৪ قَالَ لَقَدۡ ظَلَمَكَ بِسُؤَالِ نَعۡجَتِكَ اِلٰی نِعَاجِهٖ ؕ وَ اِنَّ كَثِیۡرًا مِّنَ الۡخُلَطَآءِ لَیَبۡغِیۡ بَعۡضُهُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ قَلِیۡلٌ مَّا هُمۡ ؕ وَ ظَنَّ دَاوٗدُ اَنَّمَا فَتَنّٰهُ فَاسۡتَغۡفَرَ رَبَّهٗ وَ خَرَّ رَاكِعًا وَّ اَنَابَ ﴿ٛ۲۴﴾ (سُجود‎‎)
قال لقد ظلمك بسؤال نعجتك الی نعاجهٖ و ان كثیرا من الخلطآء لیبغی بعضهم علی بعض الا الذین امنوا و عملوا الصلحت و قلیل ما هم و ظن داوٗد انما فتنه فاستغفر ربهٗ و خر راكعا و اناب ﴿ٛ۲۴﴾ (سجود‎‎)
• দাঊদ বলল, ‘তোমার ভেড়ীকে তার ভেড়ীর পালের সাথে যুক্ত করার দাবী করে সে তোমার প্রতি যুলম করেছে। আর শরীকদের অনেকেই একে অন্যের উপর সীমলঙ্ঘন করে থাকে। তবে কেবল তারাই এরূপ করে না যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে’। আর এরা সংখ্যায় খুবই কম। আর দাঊদ জানতে পারল যে, আমি তাকে পরীক্ষা করেছি। তারপর সে তার রবের কাছে ক্ষমা চাইল, সিজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং তাঁর অভিমুখী হল। [সাজদাহ] ۩

-আল-বায়ান

• দাঊদ বলল- তোমার (মাত্র) একটি দুম্বীকে তার দুম্বীর পালে যুক্ত করার দাবী করে (সে) তোমার প্রতি যুলম করেছে। শরীকদের অধিকাংশই সত্যিই পরস্পরের প্রতি বাড়াবাড়ি করে, কিন্তু যারা ঈমান আনে আর সৎ ‘আমাল করে তারা ব্যতীত, এদের সংখ্যা খুবই কম। দাঊদ বুঝতে পারল আমি তাকে পরীক্ষা করেছি। তখন সে তার প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল, সাজদায় লুটিয়ে পড়ল ও তাঁর পানে ফিরে আসল। [সাজদাহ] ۩

-তাইসিরুল

• দাউদ বললঃ তোমার দুম্বাটিকে তার দুম্বাগুলির সাথে যুক্ত করার দাবী করে সে তোমার প্রতি যুল্‌ম করেছে। শরীকদের অনেকে একে অন্যের উপর অবিচার করে থাকে, করেনা শুধু মু’মিন ও সৎ কর্মশীল ব্যক্তিরা এবং তারা সংখ্যায় স্বল্প। দাউদ বুঝতে পারল যে, আমি তাকে পরীক্ষা করলাম। অতঃপর সে তার রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করল এবং নত হয়ে লুটিয়ে পড়ল ও তাঁর অভিমুখী হল। [সাজদাহ] ۩

-মুজিবুর রহমান

• [David] said, "He has certainly wronged you in demanding your ewe [in addition] to his ewes. And indeed, many associates oppress one another, except for those who believe and do righteous deeds - and few are they." And David became certain that We had tried him, and he asked forgiveness of his Lord and fell down bowing [in prostration] and turned in repentance [to Allah].

-Sahih International

২৪. দাউদ বললেন, তোমার ভেড়ীটিকে তার ভেড়ীগুলোর সঙ্গে যুক্ত করার দাবী করে সে তোমার প্রতি যুলুম করেছে। আর শরীকদের অনেকে একে অন্যের উপর তো সীমালঙ্ঘন করে থাকে—করে না শুধু যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, আর তারা সংখ্যায় স্বল্প। আর দাউদ বুঝতে পারলেন, আমরা তো তাকে পরীক্ষা করলাম। অতঃপর তিনি তার রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন এবং নত হয়ে লুটিয়ে পড়লেন(১), আর তাঁর অভিমুখী হলেন। [সাজদাহ] ۩

(১) এখানে “রুকু” শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ নত হওয়া। অধিকাংশ তফসীরবিদের মতে, এখানে সাজদাহ বোঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর, বাগভী] ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, “সোয়াদ” এর সাজদাহ বাধ্যতামূলক নয়। তবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাজদাহ করতে দেখেছি। [বুখারী: ১০৬৯] অপর বর্ণনায় ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, দাউদকে অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, দাউদ যেহেতু সাজদাহ করেছেন সেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সাজদাহ করেছেন। বুখারী: ৪৮০৭]

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৪) দাঊদ বলল, ‘তোমার দুম্বাটিকে তার দুম্বাগুলির সঙ্গে যুক্ত করার দাবী করে সে তোমার প্রতি অন্যায় করেছে। যৌথ বিষয়ে অংশীদারগণ অনেকে একে অন্যের ওপর অবিচার করে থাকে;[1] করে না কেবল বিশ্বাসী ও সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিগণ এবং তারা সংখ্যায় স্বল্প।’[2] দাঊদ বুঝতে পারল, আমি তাকে পরীক্ষা করলাম। অতঃপর সে তার প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করল এবং সিজদায় লুটিয়ে পড়ল[3] ও তাঁর অভিমুখী হল। [4] [সাজদাহ] ۩

[1] অর্থাৎ মানুষের মধ্যে এটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে যে, শরীকদের অনেকেই একে অপরের প্রতি যুলুম করে থাকে এবং অন্য শরীকের অংশ আত্মসাৎ করার প্রচেষ্টা করে থাকে।

[2] বস্তুতঃ এরূপ চারিত্রিক ত্রুটি থেকে মু’মিনগণ সুরক্ষিত আছে। কারণ তাদের অন্তরে আল্লাহ-ভীতি আছে এবং তারা যথাযথ নেক আমল করে। ফলে কোন ব্যক্তির উপর যুলুম করা এবং অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করার চেষ্টা করা তাদের বিবেকে গ্রাহ্য নয়। তারা প্রদান করে, গ্রহণ করে না। আর এরূপ উচ্চ চরিত্রের মানুষ খুব কমই হয়।

[3] وَخَرَّ رَاكِعًا - এর অর্থ সিজদায় লুটিয়ে পড়ল।

[4] (এই আয়াত পাঠ করার পর সিজদা করা মুস্তাহাব। সিজদার আহকাম জানতে সূরা আ’রাফের শেষ আয়াতের টীকা দেখুন।)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৩৮ : ২৫ فَغَفَرۡنَا لَهٗ ذٰلِكَ ؕ وَ اِنَّ لَهٗ عِنۡدَنَا لَزُلۡفٰی وَ حُسۡنَ مَاٰبٍ ﴿۲۵﴾
فغفرنا لهٗ ذلك و ان لهٗ عندنا لزلفی و حسن ماب ﴿۲۵﴾
• তখন আমি তাকে তা ক্ষমা করে দিলাম। আর অবশ্যই আমার কাছে তার জন্য রয়েছে নৈকট্য ও উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।

-আল-বায়ান

• তখন আমি তার সে অপরাধ ক্ষমা করে দিলাম। তার জন্য আমার কাছে অবশ্যই আছে নৈকট্য আর উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।

-তাইসিরুল

• অতঃপর আমি তার ক্রটি ক্ষমা করলাম। আমার নিকট তার জন্য রয়েছে উচ্চ মর্যাদা ও শুভ পরিণাম।

-মুজিবুর রহমান

• So We forgave him that; and indeed, for him is nearness to Us and a good place of return.

-Sahih International

২৫. অতঃপর আমরা তার ক্ৰটি ক্ষমা করলাম। আর নিশ্চয় আমাদের কাছে তার জন্য রয়েছে নৈকট্যের মর্যাদা ও উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৫) অতঃপর আমি তার অপরাধ ক্ষমা করলাম।[1] নিশ্চয় আমার নিকট তার জন্য রয়েছে উচ্চ মর্যাদা ও শুভ পরিণাম ।

[1] দাঊদ (আ)-এর এই কাজ কি ছিল, যার জন্য তাঁকে ত্রুটি স্বীকার এবং তওবা, ক্ষমাপ্রার্থনা ও অনুতাপ প্রকাশ করার অনুভূতি হল এবং আল্লাহ তাআলা তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন। কুরআন কারীমে এর বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায় না এবং কোন সহীহ হাদীসেও এ বিষয়ে কোন স্পষ্ট বর্ণনা নেই। ফলে কোন কোন তফসীরবিদ ইস্রাঈলী বর্ণনার উপর ভিত্তি করে এমনও কথা লিখেছেন, যাতে একজন নবীর মর্যাদাহানি হয়। কোন কোন তফসীরবিদ; যেমন ইবনে কাসীর (রঃ) এ বিষয়ে এই নীতি অবলম্বন করেছেন যে, যখন কুরআন ও হাদীস এ বিষয়ে চুপ আছে, তখন আমাদেরও এর পিছনে পড়া উচিত নয়। তফসীরবিদদের এক তৃতীয় দল, যারা উক্ত ঘটনার কিছু বর্ণনা দিয়েছেন, যাতে কুরআনের অস্পষ্ট বিষয়ের কিছু ব্যাখ্যা হয়ে যায়। এর পরেও তাঁরা কোন এক রকম ব্যাখ্যায় সর্বসম্মত নন। সুতরাং কেউ কেউ বলেন যে, দাউদ (আঃ) কোন এক সৈনিককে তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার আদেশ করেছিলেন। এটা ঐ সময়ে কোন দোষের বিষয় ছিল না। দাঊদ (আঃ) সেই মহিলার গুণাবলী ও চারিত্রিক পরিপূর্ণতার কথা জানতেন। যার ফলে তাঁর মনে এই ইচ্ছার সঞ্চার হয়েছিল যে, সাধারণ নারী না থেকে তাকে একজন রাণী হওয়া দরকার। যাতে তার গুণাবলী ও চারিত্রিক পূর্ণতা দ্বারা পুরো দেশ উপকৃত হতে পারে। এ রকম ইচ্ছা যতই ভাল চিন্তা-ভাবনা নিয়ে করা হোক, কিন্তু প্রথমতঃ একাধিক স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় এ কাজ এক প্রকার অশোভনীয়।


দ্বিতীয়তঃ এই কথা বাদশার পক্ষ থেকে প্রকাশ করাতে এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করার শামিল হচ্ছে। ফলে দাউদ (আঃ)-কে অভিনীত ঘটনা দ্বারা তা অশোভনীয় হওয়ার উপলব্ধি প্রদান করা হল এবং সত্য-সত্যই তিনি সতর্ক হয়ে গেলেন। অনেকে বলেন, মুকাদ্দামা নিয়ে আগত ব্যক্তিদ্বয় ফিরিশতা ছিলেন, যাঁরা একটি কাল্পনিক মুকাদ্দামা নিয়ে এসেছিলেন। এখানে দাউদ (আঃ)-এর ভুল এই ছিল যে, তিনি বাদীর কথা শুনেই ফায়সালা করে দিলেন এবং বিবাদীর কথা শোনার প্রয়োজন মনে করলেন না। আল্লাহ তাআলা তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য এই রকম পরীক্ষা করলেন। এই ভুল উপলব্ধি করতে পেরেই তিনি বুঝতে পারলেন যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর পরীক্ষা ছিল। অতএব তিনি আল্লাহর দরবারে মাথা নত করলেন। অনেকে বলেন যে, আগত ব্যক্তিদ্বয় ফিরিশতা নয়, মানুষ ছিল এবং এটা কাল্পনিক ঘটনা নয়, বরং সত্য ঝগড়াই ছিল; যার ফায়সালা নেওয়ার জন্য তারা এসেছিল। এইভাবে তাঁর ধৈর্য ও সহনশীলতার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কারণ উক্ত ঘটনাতে অসহনীয় ও ক্রোধ-উদ্রেককর বেশ কিছু আচরণ ছিল। প্রথমঃ অনুমতি ছাড়াই প্রাচীর ডিঙিয়ে প্রবেশ করা। দ্বিতীয়ঃ ইবাদতের বিশেষ সময়ে এসে বাধা সৃষ্টি করা। তৃতীয়ঃ তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ ভঙ্গিতে কথাবার্তা (অবিচার করবেন না ইত্যাদি) যা তাঁর বিচারীয় মর্যাদার জন্য হানিকর ছিল। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি অনুগ্রহ করেন, ফলে তিনি ক্রোধান্বিত না হয়ে পরিপূর্ণ ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেন। কিন্তু তার অন্তরে যে প্রকৃতিগত সামান্য বিরাগ সঞ্চার হয়েছিল, তাকেই তিনি আপন ভুল ভেবেছিলেন। যেহেতু এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা ছিল, সেহেতু এরূপ প্রকৃতিগত বিরাগ সঞ্চার না হওয়াই উচিত ছিল। যার জন্য তিনি আল্লাহর দিকে রুজু করেছিলেন এবং ক্ষমা প্রার্থনায় রত হয়েছিলেন। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৩৮ : ২৬ یٰدَاوٗدُ اِنَّا جَعَلۡنٰكَ خَلِیۡفَۃً فِی الۡاَرۡضِ فَاحۡكُمۡ بَیۡنَ النَّاسِ بِالۡحَقِّ وَ لَا تَتَّبِعِ الۡهَوٰی فَیُضِلَّكَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَضِلُّوۡنَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ لَهُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌۢ بِمَا نَسُوۡا یَوۡمَ الۡحِسَابِ ﴿۲۶﴾
یداوٗد انا جعلنك خلیفۃ فی الارض فاحكم بین الناس بالحق و لا تتبع الهوی فیضلك عن سبیل الله ان الذین یضلون عن سبیل الله لهم عذاب شدید بما نسوا یوم الحساب ﴿۲۶﴾
• (হে দাঊদ), নিশ্চয় আমি তোমাকে যমীনে খলীফা বানিয়েছি, অতএব তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার কর আর প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয় তাদের জন্য কঠিন আযাব রয়েছে। কারণ তারা হিসাব দিবসকে ভুলে গিয়েছিল।

-আল-বায়ান

• হে দাঊদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে (আমার) প্রতিনিধি করেছি, কাজেই তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে শাসন-বিচার পরিচালনা কর, এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। কেননা, তা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে ফেলবে। যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্য আছে কঠিন ‘আযাব, কারণ তারা হিসাব-নিকাশের দিনকে ভুলে গেছে।

-তাইসিরুল

• হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কর এবং খেয়াল খুশীর অনুসরণ করনা, কেননা এটা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে। যারা আল্লাহর পথ পরিত্যাগ করে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি, কারণ তারা বিচার দিনকে বিস্মৃত হয়ে আছে।

-মুজিবুর রহমান

• [We said], "O David, indeed We have made you a successor upon the earth, so judge between the people in truth and do not follow [your own] desire, as it will lead you astray from the way of Allah." Indeed, those who go astray from the way of Allah will have a severe punishment for having forgotten the Day of Account.

-Sahih International

২৬. হে দাউদ! আমরা আপনাকে যমীনে খলীফা বানিয়েছি, অতএব আপনি লোকদের মধ্যে সুবিচার করুন এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না, কেননা এটা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে ভ্ৰষ্ট হয় তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি, কারণ তারা বিচার দিনকে ভুলে আছে।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৬) (আমি তাকে বললাম), ‘হে দাঊদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কর এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না, করলে এ তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ পরিত্যাগ করে, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি, কারণ তারা বিচার দিনকে ভুলে থাকে।’

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৩৮ : ২৭ وَ مَا خَلَقۡنَا السَّمَآءَ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَهُمَا بَاطِلًا ؕ ذٰلِكَ ظَنُّ الَّذِیۡنَ كَفَرُوۡا ۚ فَوَیۡلٌ لِّلَّذِیۡنَ كَفَرُوۡا مِنَ النَّارِ ﴿ؕ۲۷﴾
و ما خلقنا السمآء و الارض و ما بینهما باطلا ذلك ظن الذین كفروا فویل للذین كفروا من النار ﴿۲۷﴾
• আর আসমান, যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যে যা আছে তা আমি অনর্থক সৃষ্টি করিনি। এটা কাফিরদের ধারণা, সুতরাং কাফিরদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের দুর্ভোগ।

-আল-বায়ান

• আমি আকাশ, পৃথিবী ও এ দু’ এর মাঝে যা আছে তা অনর্থক সৃষ্টি করিনি। এ রকম ধারণা তো কাফিররা করে, কাজেই কাফিরদের জন্য আছে আগুনের দুর্ভোগ।

-তাইসিরুল

• আমি আকাশ ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যস্থিত কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করিনি, যদিও কাফিরদের ধারণা তাই। সুতরাং কাফিরদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের দুর্ভোগ।

-মুজিবুর রহমান

• And We did not create the heaven and the earth and that between them aimlessly. That is the assumption of those who disbelieve, so woe to those who disbelieve from the Fire.

-Sahih International

২৭. আর আমরা আসমান, যমীন ও এ দুয়ের মধ্যবর্তী কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করিনি(১)। অনৰ্থক সৃষ্টি করার ধারণা তাদের যারা কুফরী করেছে, কাজেই যারা কুফরী করে তাদের জন্য রয়েছে আগুনের দুর্ভোগ।

(১) অর্থাৎ নিছক খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। একথাটিই কুরআন মজীদের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে। যেমনঃ “তোমরা কি মনে করেছে আমরা তোমাদের অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের আমাদের দিকে ফিরে আসতে হবে না।” [আল-মু'মিনূন: ১১৫] অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, “আমরা আকাশসমূহ ও পৃথিবীকে এবং তাদের মাঝখানে যে বিশ্ব-জাহান রয়েছে তাদেরকে খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। আমরা তাদেরকে সত্য সহকারে সৃষ্টি করেছি। কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না। চূড়ান্ত বিচারের দিনে তাদের সবার জন্য উপস্থিতির সময় নির্ধারিত রয়েছে।” [আদ দুখান: ৩৮–৪০]

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৭) আমি আকাশ, পৃথিবী এবং উভয়ের অন্তর্বর্তী কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করিনি;[1] এ তো অবিশ্বাসীদের ধারণা। সুতরাং অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের দুর্ভোগ।

[1] বরং এক বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি করেছি আর তা এই যে, আমার বান্দা একমাত্র আমারই ইবাদত করবে। যারা আমার ইবাদত করবে, আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব। আর যারা আমার ইবাদত ও আনুগত্য করতে অস্বীকার করবে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের কঠোর শাস্তি।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৩৮ : ২৮ اَمۡ نَجۡعَلُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ كَالۡمُفۡسِدِیۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ۫ اَمۡ نَجۡعَلُ الۡمُتَّقِیۡنَ كَالۡفُجَّارِ ﴿۲۸﴾
ام نجعل الذین امنوا و عملوا الصلحت كالمفسدین فی الارض ام نجعل المتقین كالفجار ﴿۲۸﴾
• যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে আমি কি তাদেরকে যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সমতুল্য গণ্য করব? নাকি আমি মুত্তাকীদেরকে পাপাচারীদের সমতুল্য গণ্য করব?

-আল-বায়ান

• যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে তাদেরকে কি আমি ওদের মত করব যারা দুনিয়াতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে? আমি মুত্তাক্বীদের কি অপরাধীদের মত গণ্য করব?

-তাইসিরুল

• যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে এবং যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায় আমি কি তাদেরকে সমগন্য করব? আমি কি মুত্তাকীদেরকে অপরাধীদের সমান গন্য করব?

-মুজিবুর রহমান

• Or should we treat those who believe and do righteous deeds like corrupters in the land? Or should We treat those who fear Allah like the wicked?

-Sahih International

২৮. যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আমরা কি তাদেরকে যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সমান গণ্য করব? নাকি আমরা মুত্তাকীদেরকে অপরাধীদের সমান গণ্য করব?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৮) যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে এবং যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়, আমি কি তাদেরকে সমান গণ্য করব? অথবা সাবধানিগণকে কি অপরাধিগণের সমান গণ্য করব?

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৩৮ : ২৯ كِتٰبٌ اَنۡزَلۡنٰهُ اِلَیۡكَ مُبٰرَكٌ لِّیَدَّبَّرُوۡۤا اٰیٰتِهٖ وَ لِیَتَذَكَّرَ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ﴿۲۹﴾
كتب انزلنه الیك مبرك لیدبروا ایتهٖ و لیتذكر اولوا الالباب ﴿۲۹﴾
• আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি এক বরকতময় কিতাব, যাতে তারা এর আয়াতসমূহ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে এবং যাতে বুদ্ধিমানগণ উপদেশ গ্রহণ করে।

-আল-বায়ান

• এটি একটি কল্যাণময় কিতাব তোমার কাছে অবতীর্ণ করেছি যাতে তারা এর আয়াতগুলোর প্রতি চিন্তা-ভাবনা করে, আর জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।

-তাইসিরুল

• এক কল্যাণময় কিতাব ইহা, আমি তোমার উপর অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহণ করে।

-মুজিবুর রহমান

• [This is] a blessed Book which We have revealed to you, [O Muhammad], that they might reflect upon its verses and that those of understanding would be reminded.

-Sahih International

২৯. এটা মুবারক কিতাব, এটা আমরা আপনার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহে গভীরভাবে চিন্তা করে এবং যাতে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা গ্ৰহণ করে উপদেশ।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৯) আমি এ কল্যাণময় গ্রন্থ তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিগণ গ্রহণ করে উপদেশ।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৩৮ : ৩০ وَ وَهَبۡنَا لِدَاوٗدَ سُلَیۡمٰنَ ؕ نِعۡمَ الۡعَبۡدُ ؕ اِنَّهٗۤ اَوَّابٌ ﴿ؕ۳۰﴾
و وهبنا لداوٗد سلیمن نعم العبد انهٗ اواب ﴿۳۰﴾
• আর আমি দাঊদকে দান করলাম সুলাইমান। সে কতই না উত্তম বান্দা! নিঃসন্দেহে সে ছিল অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী।

-আল-বায়ান

• আমি দাঊদের জন্য দান করেছিলাম সুলাইমান। কতই না উত্তম বান্দাহ! বার বার (অনুশোচনাভরে) আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।

-তাইসিরুল

• আমি দাঊদকে দান করলাম সুলাইমান। সে ছিল উত্তম বান্দা এবং সে ছিল অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী।

-মুজিবুর রহমান

• And to David We gave Solomon. An excellent servant, indeed he was one repeatedly turning back [to Allah].

-Sahih International

৩০. আর আমরা দাউদকে দান করলাম সুলাইমান।(১) কতই না উত্তম বান্দা তিনি! নিশ্চয় তিনি ছিলেন অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী।

(১) সুলাইমান আলাইহিস সালাম সম্পর্কিত আলোচনা ইতিপূর্বে বিভিন্ন সূরায় বর্ণিত হয়েছে, [যেমন: সূরা আল-বাকারাহ: ১০৪; সূরা আল-ইসরা: ৭; সূরা আল-আম্বিয়া: ৭০–৭৫; সূরা আন-নামল: ১৮–৫৬ এবং সূরা সাবা: ১২–১৪]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৩০) আমি দাঊদকে (পুত্ররূপে) সুলাইমান দান করলাম। কতই না উত্তম দাস সে। নিশ্চয় সে আল্লাহ-অভিমুখী।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ ২১ থেকে ৩০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 5 6 7 8 9 পরের পাতা »