بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
সূরাঃ ২৬/ আশ-শুআ'রা | Ash-Shu'ara | سورة الشعراء আয়াতঃ ২২৭ মাক্কী
২৬ : ১২১ اِنَّ فِیۡ ذٰلِكَ لَاٰیَۃً ؕ وَ مَا كَانَ اَكۡثَرُهُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۲۱﴾
ان فی ذلك لایۃ و ما كان اكثرهم مؤمنین ﴿۱۲۱﴾
• নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন, আর তাদের বেশীর ভাগ মুমিন ছিল না।

-আল-বায়ান

• অবশ্যই এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।

-তাইসিরুল

• এতে অবশ্যই রয়েছে নিদর্শন, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।

-মুজিবুর রহমান

• Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.

-Sahih International

১২১. এতে তো অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই ঈমানদার নয়।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২১) এতে অবশ্যই রয়েছে নিদর্শন, কিন্তু ওদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ১২২ وَ اِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۲۲﴾
و ان ربك لهو العزیز الرحیم ﴿۱۲۲﴾
• আর নিশ্চয় তোমার রব, তিনি তো মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

-আল-বায়ান

• তোমার প্রতিপালক, অবশ্যই তিনি প্রবল পরাক্রান্ত, পরম দয়ালু।

-তাইসিরুল

• এবং তোমার রাব্ব, তিনিতো পরাক্রমশালী, দয়ালু।

-মুজিবুর রহমান

• And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.

-Sahih International

১২২. আর আপনার রব, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২২) আর নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক, তিনিই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ১২৩ كَذَّبَتۡ عَادُۨ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۱۲۳﴾ۚۖ
كذبت عاد المرسلین ﴿۱۲۳﴾
• ‘আদ জাতি রাসূলগণকে অস্বীকার করেছিল,

-আল-বায়ান

• ‘আদ সম্প্রদায় রসূলগণকে মিথ্যে সাব্যস্ত করেছিল।

-তাইসিরুল

• ‘আদ সম্প্রদায় রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল।

-মুজিবুর রহমান

• 'Aad denied the messengers

-Sahih International

১২৩. আদ সম্প্রদায় রাসূলদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২৩) আ’দ সম্প্রদায় রসূলগণকে মিথ্যাজ্ঞান করেছিল। [1]

[1] আ’দ তাদের প্রপিতামহের নাম। যার নামেই জাতির নাম পড়ে গেছে। এখানে আ’দকে قَبِيلَة কল্পনা করে كَذَّبَت স্ত্রীলিঙ্গ ক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ১২৪ اِذۡ قَالَ لَهُمۡ اَخُوۡهُمۡ هُوۡدٌ اَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۲۴﴾ۚ
اذ قال لهم اخوهم هود الا تتقون ﴿۱۲۴﴾
• যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বলেছিল, ‘তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?

-আল-বায়ান

• যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বলল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?

-তাইসিরুল

• যখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললঃ তোমরা কি সাবধান হবেনা?

-মুজিবুর রহমান

• When their brother Hud said to them, "Will you not fear Allah?

-Sahih International

১২৪. যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বললেন, তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২৪) যখন ওদের ভাই হূদ[1] ওদেরকে বলল, ‘তোমরা কি সাবধান হবে না?

[1] হূদ (আঃ)-কেও আ’দ জাতির ভাই বলা হয়েছে। কারণ, প্রত্যেক নবী সেই জাতির একজন সদস্য হয়ে থাকেন, যাদের নিকট তাঁকে নবী হিসাবে পাঠানো হয়। আর সেই কারণেই তাঁকে তাদের ভাই বলে অভিহিত করা হয়েছে। যেমন পরে আসবে; পরন্তু নবী ও রসূলদের মানুষ হওয়াটাই তাঁদের জাতির ঈমান আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের ধারণা মতে নবী মানুষ নয় বরং মানুষের ঊর্ধ্বে অন্য কিছু হওয়া দরকার। আজও এই স্বস্বীকৃত সত্য সম্বন্ধে অজ্ঞ লোকেরা ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-কেও মানুষের ঊর্ধ্বে অন্য কিছু বুঝানোর অপচেষ্টায় ব্যস্ত। যদিও তিনি কুরাইশ বংশের একজন ছিলেন, যাদের নিকট তাঁকে প্রথম নবী করে পাঠানো হয়েছিল।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ১২৫ اِنِّیۡ لَكُمۡ رَسُوۡلٌ اَمِیۡنٌ ﴿۱۲۵﴾ۙ
انی لكم رسول امین ﴿۱۲۵﴾
• ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসূল’।

-আল-বায়ান

• আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) এক বিশ্বস্ত রসুল।

-তাইসিরুল

• আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।

-মুজিবুর রহমান

• Indeed, I am to you a trustworthy messenger.

-Sahih International

১২৫. আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২৫) আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রসূল।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ১২৬ فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۱۲۶﴾ۚ
فاتقوا الله و اطیعون ﴿۱۲۶﴾
• ‘সুতরাং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর’।

-আল-বায়ান

• কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।

-তাইসিরুল

• অতএব আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।

-মুজিবুর রহমান

• So fear Allah and obey me.

-Sahih International

১২৬. অতএব তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২৬) অতএব আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ১২৭ وَ مَاۤ اَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَیۡهِ مِنۡ اَجۡرٍ ۚ اِنۡ اَجۡرِیَ اِلَّا عَلٰی رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۲۷﴾ؕ
و ما اسـٔلكم علیه من اجر ان اجری الا علی رب العلمین ﴿۱۲۷﴾
• ‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’।

-আল-বায়ান

• আর এ জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান আছে কেবল বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট।

-তাইসিরুল

• আমি তোমাদের নিকট এর জন্য কোন প্রতিদান চাইনা, আমার পুরস্কারতো জগতসমূহের রবের নিকট রয়েছে।

-মুজিবুর রহমান

• And I do not ask you for it any payment. My payment is only from the Lord of the worlds.

-Sahih International

১২৭. আর আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার পুরস্কার তো সৃষ্টিকুলের রব-এর কাছেই।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২৭) আমি তোমাদের নিকট এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট আছে।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ১২৮ اَتَبۡنُوۡنَ بِكُلِّ رِیۡعٍ اٰیَۃً تَعۡبَثُوۡنَ ﴿۱۲۸﴾
اتبنون بكل ریع ایۃ تعبثون ﴿۱۲۸﴾
• ‘তোমরা কি প্রতিটি উঁচু স্থানে বেহুদা স্তম্ভ নির্মাণ করছ’?

-আল-বায়ান

• তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অনর্থক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছ?

-তাইসিরুল

• তোমরা কি প্রতিটি উঁচু স্থানে নিরর্থক স্মৃতিসৌধ/ভাস্কর্য নির্মাণ করছ?

-মুজিবুর রহমান

• Do you construct on every elevation a sign, amusing yourselves,

-Sahih International

১২৮. তোমরা কি প্রতিটি উচ্চ স্থানে(১) স্তম্ভ নির্মাণ করছ নিরর্থক?(২)

(১) ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার মতে رِيعٍ উচ্চ স্থানকে বলা হয়। মুজাহিদ ও অনেক তাফসীরবিদের মতে رِيعٍ দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী পথকে বলা হয়। [কুরতুবী]

(২) آيَةً এর আসল অর্থ নিদর্শন। এস্থলে সুউচ্চ স্মৃতিসৌধ বোঝানো হয়েছে। تَعْبَثُونَ শব্দটি عبث থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ অযথা বা যাতে কোন প্রকার উপকার নেই। এখানে অর্থ এই যে, তারা অযথা সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মাণ করত, যার কোন প্রয়োজন ছিল না। এতে শুধু গৰ্ব করাই উদ্দেশ্য থাকত। [ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২৮) তোমরা তো প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা ইমারত (স্তম্ভ) নির্মাণ করছ (পথিকের সাথে হাসি-তামাশা করার জন্য);[1]

[1] رِيع শব্দটি رِيعَة এর বহুবচন। যার অর্থ উঁচু ভূমি, উঁচু ঢিবি, পাহাড়, উপত্যকা বা রাস্তা। রাস্তার উপর অযথা এমন ইমারত (বা স্তম্ভ) তৈরী করত যা উচ্চতায় একটি নিদর্শন হত। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তাতে বাস করা নয় বরং শুধু খেল-তামাশা করা হত। হূদ (আঃ) তাদেরকে এই বলে নিষেধ করলেন যে, তোমরা এমন কাজ করছ, যাতে সময় ও সম্পদ উভয়ই নষ্ট হচ্ছে। আর তার পশ্চাতে উদ্দেশ্যও এমন, যাতে দ্বীন ও দুনিয়ার কোনই উপকার নেই। বরং তার বেকার ও অনর্থক হওয়াতে কোন সন্দেহ নেই।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ১২৯ وَ تَتَّخِذُوۡنَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمۡ تَخۡلُدُوۡنَ ﴿۱۲۹﴾ۚ
و تتخذون مصانع لعلكم تخلدون ﴿۱۲۹﴾
• ‘আর তোমরা সুদৃঢ় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা স্থায়ী হবে’।

-আল-বায়ান

• আর বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ. যেন তোমরা চিরদিন থাকবে?

-তাইসিরুল

• আর তোমরা প্রাসাদ নির্মাণ করছ এই মনে করে যে, তোমরা চিরস্থায়ী হবে?

-মুজিবুর রহমান

• And take for yourselves palaces and fortresses that you might abide eternally?

-Sahih International

১২৯. আর তোমরা প্রাসাদসমূহ(১) নির্মাণ করছ যেন তোমরা স্থায়ী হবে।(২)

(১) مَصَانِعَ শব্দটি مَصْنَعٌ এর বহুবচন। কাতাদাহ বলেনঃ مَصَانِعَ বলে পানির চৌবাচ্চা বোঝানো হয়েছে; কিন্তু মুজাহিদ বলেন যে, এখানে সুদৃঢ় প্রাসাদ বোঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর]

(২) (لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ) ইমাম বুখারী সহীহ বুখারীতে বর্ণনা করেন যে, এখানে لعل শব্দটি تشبيه অর্থাৎ উদাহরণ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ইবনে আব্বাস এর অনুবাদে বলেনঃ كَأنَّهُمْ تَخْلُدُونَ অর্থাৎ যেন তোমরা চিরকাল থাকবে। [কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২৯) তোমরা প্রাসাদ নির্মাণ করছ এ মনে করে যে, তোমরা (পৃথিবীতে) চিরস্থায়ী হবে। [1]

[1] অনুরূপ তারা বিশাল বিশাল মজবুত প্রাসাদ নির্মাণ করত, যেন তারা সেখানে চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৬ : ১৩০ وَ اِذَا بَطَشۡتُمۡ بَطَشۡتُمۡ جَبَّارِیۡنَ ﴿۱۳۰﴾ۚ
و اذا بطشتم بطشتم جبارین ﴿۱۳۰﴾
• ‘আর তোমরা যখন কাউকে পাকড়াও কর, পাকড়াও কর স্বেচ্ছাচারী হয়ে’।

-আল-বায়ান

• আর যখন তোমরা (দুর্বল শ্রেণীর লোকদের উপর) আঘাত হান, তখন আঘাত হান নিষ্ঠুর মালিকের মত।

-তাইসিরুল

• এবং যখন তোমরা আঘাত হান তখন আঘাত হেনে থাক কঠোরভাবে।

-মুজিবুর রহমান

• And when you strike, you strike as tyrants.

-Sahih International

১৩০. আর যখন তোমরা আঘাত হান তখন আঘাত হেনে থাক স্বেচ্ছাচারী হয়ে।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৩০) আর যখন তোমরা আঘাত হানো, তখন নিষ্ঠুরভাবে আঘাত হেনে থাক। [1]

[1] এখানে তাদের অত্যাচার, কঠোরতা ও শক্তিমত্তার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ ১২১ থেকে ১৩০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২২৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 10 11 12 13 14 · · · 20 21 22 23 পরের পাতা »