-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২১. এতে তো অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই ঈমানদার নয়।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১২১) এতে অবশ্যই রয়েছে নিদর্শন, কিন্তু ওদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২২. আর আপনার রব, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১২২) আর নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক, তিনিই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২৩. আদ সম্প্রদায় রাসূলদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১২৩) আ’দ সম্প্রদায় রসূলগণকে মিথ্যাজ্ঞান করেছিল। [1]
[1] আ’দ তাদের প্রপিতামহের নাম। যার নামেই জাতির নাম পড়ে গেছে। এখানে আ’দকে قَبِيلَة কল্পনা করে كَذَّبَت স্ত্রীলিঙ্গ ক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২৪. যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বললেন, তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১২৪) যখন ওদের ভাই হূদ[1] ওদেরকে বলল, ‘তোমরা কি সাবধান হবে না?
[1] হূদ (আঃ)-কেও আ’দ জাতির ভাই বলা হয়েছে। কারণ, প্রত্যেক নবী সেই জাতির একজন সদস্য হয়ে থাকেন, যাদের নিকট তাঁকে নবী হিসাবে পাঠানো হয়। আর সেই কারণেই তাঁকে তাদের ভাই বলে অভিহিত করা হয়েছে। যেমন পরে আসবে; পরন্তু নবী ও রসূলদের মানুষ হওয়াটাই তাঁদের জাতির ঈমান আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের ধারণা মতে নবী মানুষ নয় বরং মানুষের ঊর্ধ্বে অন্য কিছু হওয়া দরকার। আজও এই স্বস্বীকৃত সত্য সম্বন্ধে অজ্ঞ লোকেরা ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-কেও মানুষের ঊর্ধ্বে অন্য কিছু বুঝানোর অপচেষ্টায় ব্যস্ত। যদিও তিনি কুরাইশ বংশের একজন ছিলেন, যাদের নিকট তাঁকে প্রথম নবী করে পাঠানো হয়েছিল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২৫. আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১২৫) আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রসূল।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২৬. অতএব তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আমার আনুগত্য কর।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১২৬) অতএব আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২৭. আর আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার পুরস্কার তো সৃষ্টিকুলের রব-এর কাছেই।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১২৭) আমি তোমাদের নিকট এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট আছে।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২৮. তোমরা কি প্রতিটি উচ্চ স্থানে(১) স্তম্ভ নির্মাণ করছ নিরর্থক?(২)
(১) ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার মতে رِيعٍ উচ্চ স্থানকে বলা হয়। মুজাহিদ ও অনেক তাফসীরবিদের মতে رِيعٍ দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী পথকে বলা হয়। [কুরতুবী]
(২) آيَةً এর আসল অর্থ নিদর্শন। এস্থলে সুউচ্চ স্মৃতিসৌধ বোঝানো হয়েছে। تَعْبَثُونَ শব্দটি عبث থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ অযথা বা যাতে কোন প্রকার উপকার নেই। এখানে অর্থ এই যে, তারা অযথা সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মাণ করত, যার কোন প্রয়োজন ছিল না। এতে শুধু গৰ্ব করাই উদ্দেশ্য থাকত। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(১২৮) তোমরা তো প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা ইমারত (স্তম্ভ) নির্মাণ করছ (পথিকের সাথে হাসি-তামাশা করার জন্য);[1]
[1] رِيع শব্দটি رِيعَة এর বহুবচন। যার অর্থ উঁচু ভূমি, উঁচু ঢিবি, পাহাড়, উপত্যকা বা রাস্তা। রাস্তার উপর অযথা এমন ইমারত (বা স্তম্ভ) তৈরী করত যা উচ্চতায় একটি নিদর্শন হত। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তাতে বাস করা নয় বরং শুধু খেল-তামাশা করা হত। হূদ (আঃ) তাদেরকে এই বলে নিষেধ করলেন যে, তোমরা এমন কাজ করছ, যাতে সময় ও সম্পদ উভয়ই নষ্ট হচ্ছে। আর তার পশ্চাতে উদ্দেশ্যও এমন, যাতে দ্বীন ও দুনিয়ার কোনই উপকার নেই। বরং তার বেকার ও অনর্থক হওয়াতে কোন সন্দেহ নেই।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২৯. আর তোমরা প্রাসাদসমূহ(১) নির্মাণ করছ যেন তোমরা স্থায়ী হবে।(২)
(১) مَصَانِعَ শব্দটি مَصْنَعٌ এর বহুবচন। কাতাদাহ বলেনঃ مَصَانِعَ বলে পানির চৌবাচ্চা বোঝানো হয়েছে; কিন্তু মুজাহিদ বলেন যে, এখানে সুদৃঢ় প্রাসাদ বোঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর]
(২) (لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ) ইমাম বুখারী সহীহ বুখারীতে বর্ণনা করেন যে, এখানে لعل শব্দটি تشبيه অর্থাৎ উদাহরণ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ইবনে আব্বাস এর অনুবাদে বলেনঃ كَأنَّهُمْ تَخْلُدُونَ অর্থাৎ যেন তোমরা চিরকাল থাকবে। [কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১২৯) তোমরা প্রাসাদ নির্মাণ করছ এ মনে করে যে, তোমরা (পৃথিবীতে) চিরস্থায়ী হবে। [1]
[1] অনুরূপ তারা বিশাল বিশাল মজবুত প্রাসাদ নির্মাণ করত, যেন তারা সেখানে চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১৩০. আর যখন তোমরা আঘাত হান তখন আঘাত হেনে থাক স্বেচ্ছাচারী হয়ে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৩০) আর যখন তোমরা আঘাত হানো, তখন নিষ্ঠুরভাবে আঘাত হেনে থাক। [1]
[1] এখানে তাদের অত্যাচার, কঠোরতা ও শক্তিমত্তার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান