৭১ : ১১
یُّرۡسِلِ السَّمَآءَ عَلَیۡكُمۡ مِّدۡرَارًا ﴿ۙ۱۱﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১১. তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১১) তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। [1]
[1] এই আয়াতের কারণে কোন কোন আলেম ইস্তিসক্বার নামাযে সূরা নূহ পাঠ করাকে মুস্তাহাব মনে করেন। বর্ণিত আছে যে, উমার (রাঃ)ও একদা ইস্তিসক্বার নামাযের জন্য মিম্বরে আরোহণ করে কেবলমাত্র ইস্তিগফারের আয়াতগুলি (যাতে এই আয়াতও ছিল) পড়ে মিম্বর হতে নেমে গেলেন এবং বললেন, বৃষ্টির সেই পথসমূহ থেকে বৃষ্টি কামনা করেছি, যা আসমানে রয়েছে এবং যেগুলো হতে বৃষ্টি যমীনে বর্ষিত হয়। (ইবনে কাসীর) হাসান বাসরী (রঃ) এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে যে, তাঁর কাছে এসে কেউ অনাবৃষ্টির অভিযোগ জানালে, তিনি তাকে ইস্তিগফার করার কথা শিক্ষা দিতেন। আর একজন তাঁর কাছে দরিদ্রতার অভিযোগ জানালে, তাকেও তিনি এই (ইস্তিগফার করার) কথাই বাতলে দিলেন। অন্য একজন তার বাগান শুকিয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানালে, তাকেও তিনি ইস্তিগফার করতে বললেন। এক ব্যক্তি বলল যে, আমার সন্তান হয় না, তাকেও তিনি ইস্তিগফার করতে বললেন। যখন কেউ তাঁকে প্রশ্ন করল যে, আপনি সবাইকে কেবল ইস্তিগফারই করতে কেন বললেন? তখন তিনি এই আয়াতই তেলাঅত করে বললেন, ‘আমি নিজের পক্ষ থেকে এ কথা বলিনি, বরং উল্লিখিত সমস্ত ব্যাপারে এই ব্যবস্থাপত্র মহান আল্লাহই দিয়েছেন।’ (আইসারুত তাফাসীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৭১ : ১২
وَّ یُمۡدِدۡكُمۡ بِاَمۡوَالٍ وَّ بَنِیۡنَ وَ یَجۡعَلۡ لَّكُمۡ جَنّٰتٍ وَّ یَجۡعَلۡ لَّكُمۡ اَنۡهٰرًا ﴿ؕ۱۲﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১২. এবং তিনি তোমাদেরকে সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।(১)
(১) এ কথাটি পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বলা হয়েছে যে, আল্লাহদ্রোহিতার আচরণ মানুষের জীবনকে শুধু আখেরাতেই নয় দুনিয়াতেও সংকীর্ণ করে দেয়। অপর পক্ষে কোন জাতি যদি অবাধ্যতার বদলে ঈমান, তাকওয়া এবং আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার পথ অনুসরণ করে তাহলে তা শুধু আখেরাতের জন্যই কল্যাণকর হয় না, দুনিয়াতেও তার ওপর আল্লাহর অশেষ নিয়ামত বর্ষিত হতে থাকে। অন্যত্র বলা হয়েছে, “আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তার দুনিয়ার জীবন হবে সংকীর্ণ। আর কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ করে উঠাবো।” [সূরা ত্বা-হাঃ ১২৪] আরও বলা হয়েছে, “আহলে কিতাব যদি তাদের কাছে তাদের রবের পক্ষ থেকে প্রেরিত তাওরাত, ইঞ্জীল ও অন্যান্য আসমানী কিতাবের বিধানাবলী মেনে চলতো তাহলে তাদের জন্য ওপর থেকেও রিযিক বর্ষিত হতো এবং নীচ থেকেও ফুটে বের হতো।” [সূরা আল-মায়েদাহ: ৬৬]
আরও বলা হয়েছেঃ “জনপদসমূহের অধিবাসীরা যদি ঈমান আনতো এবং তাকওয়ার নীতি অনুসরণ করতো তাহলে আমি তাদের জন্য আসমান ও যমীনের বরকতের দরজাসমূহ খুলে দিতাম।” [সূরা আল-আরাফ: ৯৬] অনুরূপভাবে হূদ আলাইহিস সালাম তার কওমের লোকদের বললেন, “হে আমার কওমের লোকেরা, তোমরা তোমাদের প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তার দিকে ফিরে যাও। তিনি তোমাদের ওপর আসমান থেকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের শক্তি ও ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দেবেন।” [সূরা হূদ: ৫২]
খোদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দিয়ে মক্কার লোকদের সম্বোধন করে সেখানে আরও বলা হয়েছে “আর তোমরা যদি তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তার দিকে ফিরে আস তাহলে তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদের উত্তম জীবনোপকরণ দান করবেন।” [সূরা হূদ: ৩] এ থেকে আলেমগণ বলেন যে, গোনাহ থেকে তাওবাহ ও ইস্তেগফার করলে আল্লাহ্ তা'আলা যথাস্থানে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, দুর্ভিক্ষ হতে দেন না এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে বরকত হয়। বিভিন্ন হাদীস থেকে এর সপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়। সালফে সালেহীনও বৃষ্টির জন্য সালাতের সময় এ পদ্ধতির প্রতি জোর দিতেন। কুরআন মজীদের এ নির্দেশনা অনুসারে কাজ করতে গিয়ে একবার দুর্ভিক্ষের সময় উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বৃষ্টির জন্য দো'আ করতে বের হলেন এবং শুধু ইসতিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করেই শেষ করলেন।
সবাই বললো, “হে আমীরুল মু'মিনীন! আপনি তো আদৌ দোআ করলেন না। তিনি বললেন, আমি আসমানের ঐ সব দরজায় করাঘাত করেছি যেখানে থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হয়। একথা বলেই তিনি সূরা নূহের এ আয়াতগুলো তাদের পাঠ করে শুনালেন। অনুরূপ একবার এক ব্যক্তি হাসান বাসরীর মজলিসে অনাবৃষ্টির অভিযোগ করলে তিনি বললেন, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। অপর এক ব্যক্তি দারিদ্রের অভিযোগ করলো। তৃতীয় এক ব্যক্তি বললো, আমার কোন ছেলেমেয়ে নেই। চতুর্থ এক ব্যক্তি বললো, আমার ফসলের মাঠে ফলন খুব কম হচ্ছে। তিনি সবাইকে একই জবাব দিলেন। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। লোকেরা বললো, কি ব্যাপার যে, আপনি প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগের একই প্রতিকার বলে দিচ্ছেন? তখন তিনি সূরা নূহের এ আয়াতগুলো পাঠ করে শুনালেন। [দেখুন: ইবন কাসীর; কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১২) তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন বহু বাগান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা। [1]
[1] অর্থাৎ, ঈমান ও আনুগত্যের কারণে তোমরা শুধু আখেরাতের নিয়ামতই পাবে না, বরং পার্থিব জীবনেও আল্লাহ মাল-ধন এবং সন্তান-সন্ততি দান করবেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৭১ : ১৩
مَا لَكُمۡ لَا تَرۡجُوۡنَ لِلّٰهِ وَقَارًا ﴿ۚ۱۳﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১৩. তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের পরওয়া করছ না!(১)
(১) অর্থাৎ তোমরা আল্লাহর মর্যাদা ও সম্মানে পরোয়া করছি না, তবুও তাকে তোমরা এতটুকু ভয়ও করো না যে, এ জন্য তিনি তোমাদের শাস্তি দিবেন। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(১৩) তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর প্রভাব-প্রতিপত্তিকে ভয় কর না? [1]
[1] وَقَار শব্দটি توقير থেকে গঠিত। অর্থ হল শ্রেষ্ঠত্ব, বড়ত্ব, প্রতিপত্তি। আর رجاء এর অর্থ এখানে خوف (ভয়)। অর্থাৎ, যেভাবে তাঁর বড়ত্বের দাবী তোমরা সেভাবে তাঁকে ভয় করো না কেন? এবং তাঁকে এক মনে করে তাঁর আনুগত্য কর না কেন?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৭১ : ১৪
وَ قَدۡ خَلَقَكُمۡ اَطۡوَارًا ﴿۱۴﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১৪. অথচ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন পৰ্যায়ক্রমে(১),
(১) অর্থাৎ সৃষ্টিকর্মের বিভিন্ন পর্যায় ও স্তর অতিক্রম করে তোমাদের বর্তমান অবস্থায় পৌছানো হয়েছে। প্রথমে বীর্য আকারে, মাতৃগর্ভে, দুগ্ধপানরত অবস্থায়, অবশেষে তোমরা যৌবন ও প্রৌঢ়ত্যে উপনীত হয়েছ। এসব পর্যায় প্রতিটিই মহান আল্লাহর সৃষ্টি। যিনি এগুলো সৃষ্টি করেন, তিনিই একমাত্র ইবাদতের যোগ্য। আর তিনিই মৃত্যুর পর তাদেরকে পুনরুত্থিত করতে সক্ষম। [সা'দী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১৪) অথচ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন পর্যায়ক্রমে। [1]
[1] অর্থাৎ, প্রথমে বীর্য থেকে। তারপর সেটাকে রক্তপিন্ডে পরিণত করে। অতঃপর সেটাকে গোশতপিন্ডে রূপান্তরিত করে। এর পর হাড় বানিয়ে তার উপর গোশত চড়িয়ে পরিপূর্ণ আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করা হয়। এর বিস্তারিত আলোচনা সূরা হাজ্জ ৫নং, সূরা মু’মিনুন১৪নং এবং সূরা মু’মিন ৬৭নং আয়াতে উল্লিখিত হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৭১ : ১৫
اَلَمۡ تَرَوۡا كَیۡفَ خَلَقَ اللّٰهُ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ﴿ۙ۱۵﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১৫. তোমরা কি লক্ষ্য করনি আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান স্তরে স্তরে বিন্যস্ত করে?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৫) তোমরা লক্ষ্য করনি, আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে বিন্যস্ত সপ্ত আকাশকে? [1]
[1] যা প্রমাণ করে যে, তিনি মহাশক্তির অধিকারী ও সুদক্ষ কারিগর। আর এ কথাও প্রমাণ করে যে, তিনিই একমাত্র ইবাদতের যোগ্য।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৭১ : ১৬
وَّ جَعَلَ الۡقَمَرَ فِیۡهِنَّ نُوۡرًا وَّ جَعَلَ الشَّمۡسَ سِرَاجًا ﴿۱۶﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১৬. আর সেখানে চাঁদকে স্থাপন করেছেন আলোকরূপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদীপরূপে;
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৬) এবং সেখানে চন্দ্রকে স্থাপন করেছেন আলোরূপে[1] ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদীপরূপে। [2]
[1] যা পৃথিবীকে আলোকিত করে এবং তা হল তার মাথার মুকুট স্বরূপ।
[2] যাতে তার আলোতে মানুষ উপার্জনের জন্য পরিশ্রম করতে পারে; যা মানুষের জন্য অপরিহার্য ব্যাপার।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৭১ : ১৭
وَ اللّٰهُ اَنۡۢبَتَكُمۡ مِّنَ الۡاَرۡضِ نَبَاتًا ﴿ۙ۱۷﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১৭. তিনি তোমাদেরকে উদ্ভূত করেছেন মাটি হতে(১)
(১) অর্থাৎ মাটিতে উদ্ভিদ উৎপন্ন হওয়ার মত তোমাদেরকে মাটির উপাদান থেকে উৎপন্ন ও উদ্ভূত করেছেন। [কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১৭) তিনি তোমাদেরকে মাটি হতে উদ্ভূত করেছেন। [1]
[1] অর্থাৎ, তোমাদের পিতা আদম (আঃ)-কে মাটি হতে সৃষ্টি করে তাতে আল্লাহ রূহ ফুঁকেছেন। আর যদি মনে করা হয় যে, এতে সমস্ত মানুষকে সম্বোধন করা হয়েছে, তাহলে তার অর্থ হবে, তোমরা যে বীর্য থেকে জন্ম লাভ করেছ, সেটা সেই খোরাক থেকেই তৈরী, যা যমীন থেকে উৎপন্ন হয়। এই দিক দিয়ে সবারই যা থেকে জন্ম তার মূল ও আসল উপাদান হল যমীন বা মাটি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৭১ : ১৮
ثُمَّ یُعِیۡدُكُمۡ فِیۡهَا وَ یُخۡرِجُكُمۡ اِخۡرَاجًا ﴿۱۸﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১৮. তারপর তাতে তিনি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেবেন এবং পরে নিশ্চিতভাবে বের করে নিবেন,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৮) অতঃপর তাতে তিনি তোমাদেরকে প্রত্যাবৃত্ত করবেন ও পরে পুনরুত্থিত করবেন। [1]
[1] অর্থাৎ, মরার পর এই মাটিতেই দাফন হতে হবে এবং কিয়ামতের দিন এই মাটি থেকেই পুনরায় তোমাদেরকে জীবিত করে বের করা হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৭১ : ১৯
وَ اللّٰهُ جَعَلَ لَكُمُ الۡاَرۡضَ بِسَاطًا ﴿ۙ۱۹﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১৯. আর আল্লাহ তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিস্তৃত—
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৯) আর আল্লাহ তোমাদের জন্য ভূমিকে বিস্তৃত করেছেন --[1]
[1] অর্থাৎ, এটাকে বিছানার মত বিছিয়ে দিয়েছেন। তোমরা এর উপর ঐভাবেই চলাফেরা করে থাক, যেভাবে তোমরা নিজেদের ঘরে বিছানার উপর চলাফেরা ও উঠা-বসা কর।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৭১ : ২০
لِّتَسۡلُكُوۡا مِنۡهَا سُبُلًا فِجَاجًا ﴿۲۰﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
২০. যাতে তোমরা সেখানে চলাফেরা করতে পার প্রশস্ত পথে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২০) যাতে তোমরা চলাফেরা করতে পার প্রশস্ত পথে।’ [1]
[1] سُبُلٌ হল سَبِيْلٌ এর বহুবচন (পথ)। আর فِجَاجٌ হল فَجٌّ এর বহুবচন (প্রশস্ত)। অর্থাৎ, এই যমীনে মহান আল্লাহ বড় বড় প্রশস্ত রাস্তা বানিয়ে দিয়েছেন। যাতে মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়, এক শহর থেকে অন্য শহরে এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে। তাছাড়া এই রাস্তা মানুষের ব্যবস্যা-বাণিজ্য এবং সভ্যতা-সংস্কৃতির সামাজিক জীবনে অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। যার সুব্যবস্থা করে আল্লাহ মানুষের উপর বিরাট অনুগ্রহ করেছেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান