যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন এমন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। যেখানে তাদেরকে সোনার কাঁকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং যেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। আল-বায়ান
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে সোনার কাঁকন আর মুক্তা দিয়ে আর সেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের। তাইসিরুল
যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণ কংকন ও মুক্তা দ্বারা এবং সেখানে তাদের পোশাক পরিচ্ছদ হবে রেশমের। মুজিবুর রহমান
Indeed, Allah will admit those who believe and do righteous deeds to gardens beneath which rivers flow. They will be adorned therein with bracelets of gold and pearl, and their garments therein will be silk. Sahih International
২৩. নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে সোনার কাঁকন ও মুক্তা দ্বারা(১) এবং সেখানে তাদের পোষাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের।(২)
(১) মাথার মুকুট এবং হাতে কংকন পরিধান করা পূর্বকালের রাজা-বাদশাদের একটি স্বাতন্ত্র্যমূলক বৈশিষ্ট্য হিসেবে প্রচলিত ছিল। সাধারণ পুরুষদের মধ্যে যেমন মাথায় পরিধান করার প্রচলন নেই, এটা রাজকীয় ভূষণ, তেমনি হাতে কংকন পরিধান করাকেও রাজকীয় ভূষণ মনে করা হয়। তাই জান্নাতীদেরকে কংকন পরিধান করানো হবে। কংকন সম্পর্কে এই আয়াতে এবং সূরা ফাতির-এ বলা হয়েছে যে, তা স্বর্ণনির্মিত হবে, কিন্তু সূরা নিসা-য় রৌপ্য নির্মিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাফসীরকারগণ বলেনঃ জান্নাতীদের হাতে তিন রকমের কংকন পরানো হবে- স্বর্ণ নির্মিত, রৌপ্য নির্মিত এবং মোতি নির্মিত। এই আয়াতে মোতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। [কুরতুবী] জান্নাতীদের কংকন সম্পর্কে হাদীসে এসেছে, “মুমিনের কংকন ততটুকুতে থাকবে, যতটুকুতে তার অযু থাকবে।” [মুসলিম: ২৫০]
(২) আলোচ্য আয়াতে আছে যে, জান্নাতীদের পোষাক রেশমের হবে। উদ্দেশ্য এই যে, তাদের সমস্ত পরিচ্ছদ, বিচানা, পর্দা ইত্যাদি রেশমের হবে। রেশমী বস্ত্র দুনিয়াতে সর্বোত্তম গণ্য হয়। [কুরতুবী] বলাবাহুল্য, জান্নাতের রেশমের উৎকৃষ্টতার সাথে দুনিয়ার রেশমের মান কোন অবস্থাতেই তুল্য নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশমী বস্ত্র পরিধান করবে, সে আখেরাতে তা পরিধান করবে না।” [বুখারী: ৫৮৩৩] আবদুল্লাহ ইবন যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, যে আখেরাতে রেশমী বস্ত্ৰ পরিধান করবে না সে জান্নাতে প্ৰবেশ করবে না। কারণ, আল্লাহ তা'আলা বলেন, “আর তাদের পোষাক হবে রেশমী কাপড়”। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(২৩) যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, সেথায় তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণ-কঙ্কণ ও মুক্তা দ্বারা এবং সেথায় তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। [1]
[1] জাহান্নামীদের বিপরীত এখানে জান্নাতবাসীদের ও তাদেরকে যেসব নেয়ামত দান করা হবে তার আলোচনা করা হচ্ছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানবল, ‘সেটা উত্তম না স্থায়ী জান্নাত, মুত্তাকীদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তা হবে তাদের পুরস্কার ও প্রতাবর্তনস্থল। আল-বায়ান
তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- এটাই উত্তম না চিরস্থায়ী জান্নাত, মুত্তাকীদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছে? তাদের জন্য এটা হবে প্রতিদান ও শেষ আবাসস্থল। তাইসিরুল
তাদেরকে জিজ্ঞেস করঃ এটাই শ্রেয়, নাকি স্থায়ী জান্নাত, যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে মুত্তাকীদেরকে! এটাই তাদের পুরস্কার ও প্রত্যাবর্তন স্থল। মুজিবুর রহমান
Say, "Is that better or the Garden of Eternity which is promised to the righteous? It will be for them a reward and destination. Sahih International
১৫. বলুন, এটাই শ্রেয়, না স্থায়ী জান্নাত, যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে মুত্তাকীদেরকে? তা হবে তাদের প্রতিদান ও প্রত্যাবর্তনস্থল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৫) ওদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘এটিই শ্রেয়,[1] না স্থায়ী বেহেশ্ত; যার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সাবধানীদেরকে?’ এটিই তো তাদের প্রতিদান ও প্রত্যাবর্তনস্থল।
[1] এর দ্বারা জাহান্নামের উপর্যুক্ত আযাবের দিকে ইশারা করা হয়েছে, যাতে জাহান্নামীরা বন্দী থাকবে। এটি ভাল যা কুফরী ও শিরকের প্রতিদান, নাকি সেই জান্নাত ভাল, যা মুত্তাকীনদের তাকওয়া ও আল্লাহর আনুগত্যের বিনিময়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্ন জাহান্নামে করা হবে। কিন্তু এখানে এই জন্যই উদ্ধৃত করা হয়েছে, যাতে জাহান্নামীদের উক্ত পরিণাম শুনে শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ তাকওয়া ও আল্লাহর আনুগত্যের রাস্তা অবলম্বন করে এবং সেই মন্দ পরিণাম হতে বাঁচতে পারে, যার চিত্র এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানসেখানে তারা যা চাইবে তা-ই তাদের জন্য থাকবে স্থায়ীভাবে; এটি তোমার রবের ওয়াদা, আল-বায়ান
সেখানে তাদের জন্য তা-ই থাকবে যা তারা ইচ্ছে করবে। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটা একটা ওয়াদা যা পূরণ করা তোমার প্রতিপালকের দায়িত্ব। তাইসিরুল
সেখানে তারা যা কামনা করবে তা’ই পাবে এবং তারা স্থায়ী হবে। এই প্রতিশ্রুতি পূরণ তোমার রবেরই দায়িত্ব। মুজিবুর রহমান
For them therein is whatever they wish, [while] abiding eternally. It is ever upon your Lord a promise [worthy to be] requested. Sahih International
১৬. সেখানে তারা চিরকাল বসবাসরত অবস্থায় যা চাইবে তাদের জন্য তা-ই থাকবে; এ প্রতিশ্রুতি পূরণ আপনার রব এর দায়িত্ব।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৬) সেখানে তারা স্থায়ী হয়ে যা কামনা করবে তাই পাবে; এ প্রতিশ্রুতি পূরণ তোমার প্রতিপালকেরই দায়িত্ব।[1]
[1] অর্থাৎ, এমন প্রতিশ্রুতি যা অবশ্যই পালন করা হবে। যেরূপ ঋণ পরিশোধ দাবী করা হয়ে থাকে, অনুরূপ আল্লাহ নিজের উপর উক্ত প্রতিশ্রুতি পালন জরুরী করে নিয়েছেন। ঈমানদাররা তা পালন করার দাবী আল্লাহর নিকট করতে পারবে। এটি শুধুমাত্র তাঁর দয়া ও অনুগ্রহ যে তিনি ঈমানদারদের জন্য উত্তম প্রতিদান দেওয়াকে নিজের জন্য জরুরী করে নিয়েছেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতারাই, যাদেরকে [জান্নাতে] সুউচ্চ কক্ষ প্রতিদান হিসাবে দেয়া হবে যেহেতু তারা সবর করেছিল সেজন্য। আর তাদের সেখানে অভ্যর্থনা করা হবে অভিবাদন ও সালাম দ্বারা। আল-বায়ান
এদেরকেই তাদের ধৈর্যধারণের কারণে জান্নাতের সুউচ্চ স্থান দান ক’রে পুরস্কৃত করা হবে। সেখানে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানানো হবে সংবর্ধনা ও সালাম জানিয়ে। তাইসিরুল
তাদেরকে প্রতিদান স্বরূপ দেয়া হবে জান্নাত, যেহেতু তারা ধৈর্যশীল। তাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে। মুজিবুর রহমান
Those will be awarded the Chamber for what they patiently endured, and they will be received therein with greetings and [words of] peace. Sahih International
৭৫. তারাই, যাদেরকে প্রতিদান হিসেবে দেয়া হবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ(১) যেহেতু তারা ছিল ধৈর্যশীল। আর তারা প্ৰাপ্ত হবে সেখানে অভিবাদন ও সালাম।
(১) غرفة শব্দের আভিধানিক অর্থ উঁচু কক্ষ, উপরতলার কক্ষ। বিশেষ নৈকট্যপ্রাপ্তগণ এমন উঁচু কক্ষ পাবে, যা সাধারণ জান্নাতীদের কাছে তেমনি দৃষ্টিগোচর হবে, যেমন পৃথিবীর লোকদের নিকট তারকা-নক্ষত্র দৃষ্টিগোচর হয়। [বুখারীঃ ৩০৮৩, মুসলিমঃ ২৮৩১, মুসনাদে আহমাদঃ ৮৪৫২] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ “জান্নাতে এমন কক্ষ থাকবে, যার ভেতরের অংশ বাইরে থেকে এবং বাইরের অংশ ভেতর থেকে দৃষ্টিগোচর হবে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), এসব কক্ষ কাদের জন্য? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি সৎ ও পবিত্ৰ কথাবার্তা বলে, প্রত্যেক মুসলিমকে সালাম করে, ক্ষুধার্তকে আহার করায় এবং রাত্রে যখন সবাই নিদ্রিত থাকে, তখন সে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে।” [সহীহ ইবনে হিব্বানঃ ৫০৯, সহীহ ইবনে খুযাইমাঃ ২১৩৭, মুস্তাদরাকে হাকেমঃ ১/১৫৩, তিরমিযীঃ ১৯৮৪, মুসনাদে আহমাদঃ ১৩৩৭]
তাফসীরে জাকারিয়া(৭৫) তাদেরকে ধৈর্যাবম্বনের প্রতিদান স্বরূপ (বেহেশ্তের) কক্ষ দেওয়া হবে এবং তাদেরকে সেখানে অভিবাদন ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা জানানো হবে ।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানসেখানে তারা স্থায়ী হবে। অবস্থানস্থল ও আবাসস্থল হিসেবে তা কতইনা উৎকৃষ্ট! আল-বায়ান
সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, আবাসস্থল ও অবস্থানস্থল হিসেবে তা কতই না উৎকৃষ্ট! তাইসিরুল
সেখানে তারা চিরকাল বসবাস করবে, কত উত্তম সেখানে অবস্থান ও আবাসস্থল! মুজিবুর রহমান
Abiding eternally therein. Good is the settlement and residence. Sahih International
৭৬. সেখানে তারা স্থায়ী হবে। অবস্থানস্থল ও বাসস্থান হিসেবে তা কত উৎকৃষ্ট!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৭৬) সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসাবে তা কত উৎকৃষ্ট!
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে, তাদেরকে অবশ্যই আমি জান্নাতে কক্ষ বানিয়ে দেব, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। কতইনা উত্তম আমলকারীদের প্রতিদান! আল-বায়ান
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে, আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই জান্নাতে সুউচ্চ প্রাসাদে বাসস্থান দেব যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, তার ভেতরে তারা চিরকাল থাকবে। সৎকর্মশীলদের প্রতিদান কতই না উত্তম! তাইসিরুল
যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে আমি অবশ্যই তাদের বসবাসের জন্য সুউচ্চ প্রাসাদ দান করব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, কত উত্তম প্রতিদান সৎ কর্মশীলদের – মুজিবুর রহমান
And those who have believed and done righteous deeds - We will surely assign to them of Paradise [elevated] chambers beneath which rivers flow, wherein they abide eternally. Excellent is the reward of the [righteous] workers Sahih International
৫৮. আর যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আমরা অবশ্যই তাদের বসবাসের জন্য সুউচ্চ প্রাসাদ দান করব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত(১), সেখানে তারা স্থায়ী হবে, কত উত্তম প্রতিদান সে সকল কর্মশীলদের জন্য,
(১) সে সমস্ত প্রাসাদ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয় জান্নাতে এমন প্রাসাদ আছে যার অভ্যন্তর থেকে বাইরের অংশ দেখা যায় আর বাইরের অংশ থেকে অভ্যন্তরের অংশ দেখা যায়। আল্লাহ্ তা তাদের জন্যই তৈরী করেছেন যারা খাবার খাওয়ায়, নরমভাবে কথা বলে, পরপর সাওম রাখে আর মানুষের নিদ্রাবস্থায় সে সালাত আদায় করে।’ [মুসনাদ: ৫/৩৪৩]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৮) যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ প্রাসাদসমূহে স্থান দান করব; যার নিচে নদীমালা প্রবাহিত থাকবে,[1] সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।[2] সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার কত উত্তম!
[1] অর্থাৎ, জান্নাতীদের বাসস্থান উঁচু উঁচু প্রাসাদ হবে, যার তলদেশে প্রবাহিত হবে পানি, শারাব, মধু ও দুধের নহর। এ ছাড়া সেই সব নহরকে যে দিকে ইচ্ছা সে দিকে প্রবাহিত করতে পারবে।
[2] না সুখ-সম্পদ নিঃশেষ হওয়ার ভয় থাকবে, আর না তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকবে। আর না সেখান হতে স্থানান্তরিত হওয়ার কোন ভয় থাকবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানযারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের রবের উপরই তাওয়াক্কুল করে। আল-বায়ান
যারা ধৈর্যধারণ করে আর তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা রাখে। তাইসিরুল
যারা ধৈর্য অবলম্বন করে এবং তাদের রবের উপর নির্ভর করে। মুজিবুর রহমান
Who have been patient and upon their Lord rely. Sahih International
৫৯. যারা ধৈর্য ধারণ করে(১) এবং তাদের রব-এর উপরই তাওয়াক্কুল করে।(২)
(১) অর্থাৎ যারা সব রকমের সমস্যা, সংকট, বিপদ-আপদ, ক্ষতি ও কষ্টের মোকাবিলায় ঈমানের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। যারা ঈমান আনার বিপদ নিজের মাথায় তুলে নিয়েছে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। ঈমান ত্যাগ করার পার্থিব উপকারিতা ও মুনাফা যারা নিজের চোখে দেখেছে কিন্তু এরপরও তার প্রতি সামান্যতমও ঝুকে পড়েনি। যারা কাফের ও ফাসেকদেরকে নিজেদের সামনে ফুলে ফেঁপে উঠতে দেখেছে এবং তাদের ধন-দৌলত ও ক্ষমতা-প্রতিপত্তির দিকে ভুলেও নজর দেয়নি। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, তার কাছে যা আছে তা পাবার আশায়, তার ওয়াদার সত্যতায় বিশ্বাসী হয়ে আল্লাহর পথে হিজরত করেছে, শক্ৰদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে এসেছে, তাদের জন্যই স্থায়ী জান্নাত রয়েছে। [দেখুন: ইবন কাসীর]
(২) অর্থাৎ যারা নিজেদের সহায়-সম্পত্তি, কাজ-করবার ও বংশ-পরিবারের ওপর ভরসা করেনি। বরং দ্বীন ও দুনিয়ার প্রতিটি কাজে নিজেদের রবের ওপর ভরসা করেছে। তারাই উক্ত জান্নাতের অধিকারী। [দেখুন: ইবন কাসীর] যারা দুনিয়াবী উপায়-উপাদানের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে নিছক নিজেদের রবের ভরসায় ঈমানের খাতিরে প্রত্যেকটি বিপদ সহ্য করার জন্য তৈরী হয়ে যায় এবং সময় এলে বাড়িঘর ছেড়ে বের হয়ে পড়ে। যারা নিজেদের রবের প্রতি এতটুকু আস্থা রাখে যে, ঈমান ও নেকীর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার প্রতিদান তাঁর কাছে কখনো নষ্ট হবে না এবং বিশ্বাস রাখে যে, তিনি নিজের মুমিন ও সৎকর্মশীল বান্দাদেরকে এ দুনিয়ায় সহায়তা দান করবেন এবং আখেরাতেও তাদের কার্যক্রমের সর্বোত্তম প্রতিদান দেবেন।
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৯) যারা ধৈর্য অবলম্বন করে[1] ও তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে। [2]
[1] অর্থাৎ, দ্বীনের উপর সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকে, হিজরতের কষ্ট বরণ করে, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব থেকে দূরে থাকার কষ্টকে একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের জন্য মেনে নেয়।
[2] দ্বীন ও দুনিয়ার সকল বিষয়ে এবং সর্বাবস্থায়।
তাফসীরে আহসানুল বায়াননিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে নিআমতপূর্ণ জান্নাত; আল-বায়ান
যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের জন্য আছে নি‘য়ামাতে ভরা জান্নাত। তাইসিরুল
যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে সুখ কানন, মুজিবুর রহমান
Indeed, those who believe and do righteous deeds - for them are the Gardens of Pleasure. Sahih International
৮. নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত;
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য আছে সুখের উদ্যানরাজি;
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানসেখানে তারা স্থায়ী হবে, আল্লাহর ওয়াদা যথার্থ। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল-বায়ান
তাতে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়। তাইসিরুল
সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। মুজিবুর রহমান
Wherein they abide eternally; [it is] the promise of Allah [which is] truth. And He is the Exalted in Might, the Wise. Sahih International
৯. সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য (অকাট্য)। আর তিনি প্রবল পরাক্রমশালী, হিকমতওয়ালা।(১)
(১) অর্থাৎ নিজের প্রতিশ্রুতি পালন থেকে কোন জিনিসই তাঁকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না এবং তিনি যা কিছু করেন ঠিকমতো জ্ঞান ও ন্যায়পরায়ণতার দাবী অনুযায়ীই করেন। [ইবন কাসীর, ফাতহুল কাদীর; সা'দী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য।[1] আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
[1] অর্থাৎ, তা নিঃসন্দেহে পূর্ণ হবে। কারণ এটা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি। আর আল্লাহ নিজ ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানযারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের বাসস্থান হবে জান্নাত, তারা যা করত তার আপ্যায়ন হিসেবে। আল-বায়ান
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে তাদের বাসস্থান হবে জান্নাত, তারা যে কাজ করত তার আপ্যায়ন স্বরূপ। তাইসিরুল
যারা ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে তাদের কৃতকর্মের ফল স্বরূপ তাদের আপ্যায়নের জন্য জান্নাত হবে তাদের বাসস্থল। মুজিবুর রহমান
As for those who believed and did righteous deeds, for them will be the Gardens of Refuge as accommodation for what they used to do. Sahih International
১৯. যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, তাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ তাদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাসস্থান।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৯) যারা বিশ্বাস করে সৎকাজ করে, তাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ তাদের আপ্যায়নের জন্য জান্নাত হবে তাদের বাসস্থান।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন বস্তু নয় যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দেবে। তবে যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে, তারাই তাদের আমলের বিনিময়ে পাবে বহুগুণ প্রতিদান। আর তারা (জান্নাতের) সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। আল-বায়ান
ওটা না তোমাদের মাল-ধন, আর না তোমাদের সন্তান-সন্ততি যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে। তবে যে কেউ ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদেরই জন্য আছে বহুগুণ প্রতিদান তাদের কাজের জন্য। তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। তাইসিরুল
তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন কিছু নয় যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দিবে; যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তারাই তাদের কর্মের জন্য পাবে বহুগুণ পুরস্কার; আর তারা প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। মুজিবুর রহমান
And it is not your wealth or your children that bring you nearer to Us in position, but it is [by being] one who has believed and done righteousness. For them there will be the double reward for what they did, and they will be in the upper chambers [of Paradise], safe [and secure]. Sahih International
৩৭. আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন কিছু নয় যা তোমাদেরকে মর্যাদায় আমাদের নিকটবর্তী করে দেবে; তবে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তারাই তাদের কাজের জন্য পাবে বহুগুণ প্রতিদান; আর তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৭) তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আমার নৈকট্য লাভের সহায়ক হবে না। [1] তবে (নৈকট্য লাভ করবে) তারাই যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে[2] এবং তারা তাদের কাজের জন্য পাবে বহুগুণ পুরস্কার। [3] আর তারা প্রাসাদসমূহে নিরাপদে বসবাস করবে।
[1] অর্থাৎ, এই ধন-সম্পদ এই কথার প্রমাণ নয় যে, তোমাদের সাথে আমার ভালবাসা আছে এবং আমার নিকট তোমাদের বিশেষ মর্যাদা আছে।
[2] অর্থাৎ, আমার ভালবাসা ও নৈকট্য লাভ করার পন্থাই হচ্ছে ঈমান ও নেক আমল। যেমন হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেছেন ‘‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের আকার-আকৃতি ও ধন-সম্পদ দেখেন না; বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখে থাকেন।’’ (মুসলিমঃ কিতাবুল বির্র)
[3] মহান আল্লাহ একটি নেকীর বদলা কমপক্ষে দশ গুণ এবং ঊর্ধ্বপক্ষে সাতশ’ গুণ; বরং তার চেয়েও অধিক গুণ বর্ধিত করে থাকেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানঅতঃপর আমি এ কিতাবটির উত্তরাধীকারী করেছি আমার বান্দাদের মধ্যে তাদেরকে, যাদেরকে আমি মনোনীত করেছি। তারপর তাদের কেউ কেউ নিজের প্রতি যুলমকারী এবং কেউ কেউ মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। আবার তাদের কেউ কেউ আল্লাহর অনুমতিসাপেক্ষে কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। এটাই হলো মহা অনুগ্রহ। আল-বায়ান
অতঃপর সেই কিতাবটির উত্তরাধিকারী করেছি আমি আমার বান্দাহদের মধ্যে হতে যাদেরকে বেছে নিয়েছি। অতঃপর তাদের কতক নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছে, আর কতক মধ্যপন্থী। তাদের কতক আল্লাহর নির্দেশে সৎ কাজে অগ্রণী। এটাই (মানুষের প্রতি আল্লাহর) খুবই বড় দয়া। তাইসিরুল
অতঃপর আমি কিতাবের অধিকারী করলাম আমার বান্দাদের মধ্যে তাদেরকে যাদেরকে আমি মনোনীত করেছি; তবে তাদের কেহ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেহ মধ্য পন্থী এবং কেহ আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী। এটাই মহা অনুগ্রহ। মুজিবুর রহমান
Then we caused to inherit the Book those We have chosen of Our servants; and among them is he who wrongs himself, and among them is he who is moderate, and among them is he who is foremost in good deeds by permission of Allah. That [inheritance] is what is the great bounty. Sahih International
৩২. তারপর আমরা কিতাবের অধিকারী করলাম তাদেরকে, যাদেরকে আমাদের বান্দাদের মধ্য থেকে আমরা মনোনীত করেছি।(১); তবে তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেউ মধ্যমপন্থী এবং কেউ আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী।(২) এটাই তো মহাঅনুগ্রহ—(৩)
(১) অর্থাৎ আমার বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে আমি মনোনীত করেছি। অধিকাংশ তফসীরবিদ এর অর্থ নিয়েছেন উম্মতে মুহাম্মদী। [ইবন কাসীর] আলেমগণ প্রত্যক্ষভাবে এবং অন্যান্য মুসলিমগণ আলেমগণের মধ্যস্থতায় এর অন্তর্ভুক্ত।
(২) অর্থাৎ যাদেরকে মনোনীত করে কুরআনের অধিকারী করেছি, তারা তিন প্রকার। [ইবন কাসীর]
এক. যুলুমকারী মুসলিম। এরাহচ্ছে এমন সব লোক যারা আন্তরিকতা সহকারে কুরআনকে আল্লাহর কিতাব এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ্র রাসূল বলে মানে কিন্তু কার্যত আল্লাহ্র কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতের অনুসরণের হক আদায় করে না। এরা মুমিন কিন্তু গোনাহগার। অপরাধী। কিন্তু বিদ্রোহী নয়। দূর্বল ঈমানদার, তবে মুনাফিক নয় এবং চিন্তা ও মননের দিক দিয়ে কাফেরও নয়। তাই এদেরকে আত্মনিপীড়ক হওয়া সত্বেও কিতাবের ওয়ারিসদের অন্তর্ভুক্ত এবং আল্লাহর নির্বাচিত বান্দাদের মধ্যে শামিল করা হয়েছে। নয়তো একথা সুস্পষ্ট, বিদ্রোহী, মুনাফিক এবং চিন্তা ও মননের দিক দিয়ে কাফেরদের প্রতি এ গুণাবলী আরোপিত হতে পারে না। তিন শ্রেণীর মধ্য থেকে এ শ্রেনীর ঈমানদারদের কথা সবার আগে বলার কারণ হচ্ছে এই যে, উম্মাতের মধ্যে এদের সংখ্যাই বেশী।
দুই. মাঝামাঝি অবস্থানকারী। এরা হচ্ছে এমন লোক যারা এ উত্তরাধিকারের হক কমবেশী আদায় করে কিন্তু পুরোপুরি করে না। হুকুম পালন করে এবং অমান্যও করে। নিজেদের প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি লাগামহীন করে ছেড়ে দেয়নি। বরং তাকে আল্লাহর অনুগত করার জন্য নিজেদের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালায় কিন্তু মাঝে মাঝে কোন কোন মোস্তাহাব কাজ ছেড়ে দেয় এবং কোন কোন মাকরূহ কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। কখনো কখনো গোনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এভাবে এদের জীবনে ভালো ও মন্দ উভয় ধরনের কাজের সমাবেশ ঘটে। এরা সংখ্যায় প্রথম দলের চেয়ে কম এবং তৃতীয় দলের চেয়ে বেশী হয়। তাই এদেরকে দু’নম্বরে রাখা হয়েছে।
তিনঃ ভালো কাজে যারা অগ্রবতী। এরা যাবতীয় ফরয, ওয়াজিব ও মোস্তাহাব কর্ম সম্পাদন করে এবং যাবতীয় হারাম ও মাকরূহ কর্ম থেকে বেঁচে থাকে; কিন্তু কোন কোন মোবাহ বিষয়, ইবাদতে ব্যাপৃত থাকার কারণে অথবা হারাম সন্দেহে ছেড়ে দেয়। এরা কিতাবের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে প্রথম সারির লোক। এরাই আসলে এ উত্তরাধিকারের হক আদায়কারী। কুরআন ও সুন্নাতের অনুসরণের ক্ষেত্রেও এরা অগ্রগামী। [বিস্তারিত বর্ণনা দেখুন, কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]
আবুদ্দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ একটি তাফসীর বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী’ অর্থাৎ অত্যাচারীকে হাশরের মাঠে চিন্তা ও পেরেশানীর মাধ্যমে পাকড়াও করা হবে। আর ‘কেউ মধ্যমপন্থী’ যার হিসেব হবে সহজ এবং ‘কেউ আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী’ তারা বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে। [মুসনাদে আহমাদ: ৫/১৯৪] সে হিসেবে আমাদের নিকট স্পষ্ট যে, এ তিন প্রকার লোকই উম্মতে মুহাম্মদীর অন্তর্ভুক্ত এবং اصطفى বা ‘মনোনয়ন’ গুণের বাইরে নয়। এটি হল উম্মতে মুহাম্মদীর মুমিন বান্দাদের একান্ত বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্ব। তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কার্যত: ক্ৰটিযুক্ত, সেও এই মর্যাদার অন্তর্ভুক্ত। উপরোক্ত তাফসীর ছাড়াও এ আয়াতের আরও একটি তাফসীর রয়েছে।
কোন কোন মুফাসসির এ আয়াতের তিন শ্ৰেণীকে সূরা আল-ওয়াকি’আর তিন শ্রেণী অর্থাৎ মুকাররাবীন, আসহাবুল ইয়ামীন এবং আসহাবুশ শিমাল বলে মত প্ৰকাশ করেছেন। সে অনুসারে আয়াতে ‘তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী’ বলে কাফের, মুনাফিকদের বোঝানো হয়েছে। আর ‘কেউ মধ্যমপন্থী’ বলে ডানপন্থী সাধারণ ঈমানদার এবং ‘কেউ আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী’ বলে আল্লাহর নৈকট্যপ্ৰাপ্ত লোকদের বোঝানো হয়েছে। এ তাফসীরটিও সহীহ সনদে কাতাদা, হাসান ও মুজাহিদ থেকে বর্ণিত হয়েছে। [ইবন কাসীর] কিন্তু প্রথম তাফসীরটিই এখানে অগ্রগণ্য। কারণ তা সহীহ হাদীস দ্বারা সমর্থিত। তাছাড়া পরবর্তী আয়াতসমূহ থেকেও তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
(৩) “এটাই মহা অনুগ্রহ” বাক্যটির সম্পর্ক যদি নিকটতম বাক্যের সাথে ধরে নেয়া হয় তাহলে এর অর্থ হবে, ভালো কাজে অগ্রগামী হওয়াই হচ্ছে বড় অনুগ্রহ এবং যারা এমনটি করে মুসলিম উম্মাতের মধ্যে তারাই সবার সেরা। আর এ বাক্যটির সম্পর্ক পূর্ববর্তী বাক্যের সাথে করা হলে এর অর্থ হবে, আল্লাহর কিতাবের উত্তরাধিকারী হওয়া এবং এ উত্তরাধিকারের জন্য নির্বাচিত হওয়াই বড় অনুগ্রহ এবং আল্লাহর সকল বান্দাদের মধ্যে সেই বান্দাই সর্বশ্রেষ্ঠ যে কুরআন ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমান এনে এ নির্বাচনে সফলকাম হয়েছে। [দেখুন: ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩২) অতঃপর আমি আমার দাসদের মধ্যে তাদেরকে গ্রন্থের অধিকারী করলাম যাদেরকে আমি মনোনীত করেছি;[1] তবে তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, [2] কেউ মিতাচারী[3] এবং কেউ আল্লাহর নির্দেশে কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। [4] এটিই মহা অনুগ্রহ। [5]
[1] গ্রন্থ বলতে কুরআন এবং মনোনীত বান্দা বা দাস বলতে উম্মতে মুহাম্মাদীকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আমি উম্মতে মুহাম্মাদীকে এই কুরআনের অধিকারী বানিয়েছি এবং তাদেরকে আমি অন্যান্য উম্মতসমূহ ব্যতিরেকে মনোনীত করেছি এবং তাদেরকে মর্যাদা ও অনুগ্রহ প্রদান করেছি। এ আয়াতটি (وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ) البقرة-১৪৩) এর যে বক্তব্য তার নিকটবর্তী বক্তব্য।
[2] এখানে উম্মতে মুহাম্মাদীর তিনটি শ্রেণী উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমঃ এমন লোক, যারা কিছু ফরয পালনে শৈথিল্য করে এবং কিছু হারাম কর্মেও লিপ্ত হয়ে পড়ে অথবা অনেকের নিকট ঐ সকল ব্যক্তি যারা সাগীরা গুনাহ করে ফেলে। তাদেরকে নিজের প্রতি অত্যাচারী এই জন্য বলা হয়েছে যে, তারা সামান্য শৈথিল্যের কারণে নিজেদেরকে সেই উচ্চস্থান থেকে বঞ্চিত করে নেবে, যা বাকি অন্য দুই প্রকারের মুসলিমরা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
[3] এটি দ্বিতীয় শ্রেণীর উম্মতঃ অর্থাৎ, মধ্যমপন্থী; যারা ভালো-মন্দের মিশ্র আমল করে। অনেকের নিকট এরা হল তারা, যারা ফরয কাজ যথাযথভাবে পালন এবং হারাম কাজ ত্যাগ তো করে; কিন্তু কখনো কখনো মুস্তাহাব কাজ ত্যাগ করে এবং হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অথবা ঐ সকল ব্যক্তি তারা, যারা সৎলোক তো বটে; কিন্তু অগ্রণী নয়।
[4] এরা ঐ সকল ব্যক্তি যারা দ্বীনের ব্যাপারে ইতিপূর্বে উল্লিখিত দুই দল থেকে অগ্রগামী।
[5] অর্থাৎ, কিতাবের অধিকারী বানানো এবং মর্যাদা ও অনুগ্রহ দানে মনোনীত করাটাই মহা অনুগ্রহ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানচিরস্থায়ী জান্নাত, এতে তারা প্রবেশ করবে। যেখানে তাদেরকে স্বর্ণের চুড়ি ও মুক্তা দ্বারা অলঙ্কৃত করা হবে এবং সেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের। আল-বায়ান
স্থায়ী জান্নাতে তারা প্রবেশ করবে। যেখানে তাদেরকে স্বর্ণ ও মুক্তার কঙ্কণে অলঙ্কৃত করা হবে। যেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের। তাইসিরুল
তারা প্রবেশ করবে স্থায়ী জান্নাতে, সেখানে তাদেরকে স্বর্ণ নির্মিত কংকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং সেখানে তাদের পোশাক পরিচ্ছদ হবে রেশমের। মুজিবুর রহমান
[For them are] gardens of perpetual residence which they will enter. They will be adorned therein with bracelets of gold and pearls, and their garments therein will be silk. Sahih International
৩৩. স্থায়ী জান্নাত, যাতে তারা প্রবেশ করবে(১), সেখানে তাদেরকে স্বর্ণ নির্মিত কংকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং সেখানে তাদের পোষাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের।
(১) মুফাস্সিরগণের একটি দলের মতে এ বাক্যের সম্পর্ক নিকটবর্তী দু'টি বাক্যের সাথেই রয়েছে। অর্থাৎ সৎকাজে অগ্রগামীরাই বড় অনুগ্রহের অধিকারী এবং তারাই এ জন্নাতগুলোতে প্রবেশ করবে। অন্যদিকে প্রথম দুটি দলের ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করা হয়েছে, যাতে তারা নিজেদের পরিণামের কথা চিন্তা করে এবং নিজেদের বর্তমান অবস্থা থেকে বের হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে পারে। কোন কোন মুফাসসির বলেন, ওপরের সমগ্র আলোচনার সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। আর এর অর্থ হচ্ছে, এ তিনটি দলই শেষ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে, কোনপ্রকার হিসেব-নিকেশ ছাড়াই বা হিসেব নিকেশের পর এবং সব রকমের জবাবদিহি থেকে সংরক্ষিত থেকে অথবা কোন শাস্তি পাওয়ার পর যে কোন অবস্থাতেই হোক না কেন। কুরআনের পূর্বাপর আলোচনা এ ব্যাখ্যার প্রতি সমর্থন দিচ্ছে। [দেখুন: ফাতহুল কাদীর] কারণ সামনের দিকে কিতাবের উত্তরাধিকারীদের মোকাবিলায় অন্যান্য দল সম্পর্কে বলা হচ্ছেঃ “আর যারা কুফরী করেছে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন।”
এ থেকে জানা যায়, যারা এ কিতাবকে মেনে নিয়েছে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত এবং যারা এর প্রতি ঈমান আনতে অস্বীকার করেছে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। আবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিন্মোক্ত হাদীসও এর প্রতি সমর্থন জানায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যারা সৎকাজে এগিয়ে গেছে তারা জান্নাতে প্ৰবেশ করবে। কোনরকম হিসেবা-নিকেশ ছাড়াই। আর যারা মাঝপথে থাকবে তাদের হিসেব-নিকেশ হবে, তবে তা হবে হাল্কা। অন্যদিকে যারা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছে তাদেরকে হাশরের দীর্ঘকালীন সময়ে আটকে রাখা হবে, তারপর তাদেরকে আল্লাহর রহমতের মধ্যে নিয়ে নেয়া হবে এবং এরাই হবেএমন সবলোক যারা বলবে, “সেই আল্লাহর শোকর যিনি আমাদের থেকে দুঃখ দূর করে দিয়েছেন।” [তাফসীর তাবারী: ২২/১৩৭]
এ বিষয়বস্তু সম্বলিত বিভিন্ন উক্তি মুহাদ্দিসগণ বিভিন্ন সাহাবী যেমন, উমর, উসমান, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আয়েশা, আবু সাঈদ খুদরী, এবং বারা ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম থেকে উদ্ধৃত করেছেন। আর একথা বলা নিষ্প্রয়োজন যে, সাহাবীগণ এহেন ব্যাপারে কোন কথা ততক্ষণ পর্যন্ত বলতে পারেন না, যতক্ষণ না তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে শুনে থাকবেন। [বিস্তারিত বর্ণনা দেখুন: কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৩) তারা প্রবেশ করবে স্থায়ী জান্নাতে,[1] যেখানে তাদের স্বর্ণ নির্মিত কঙ্কণ ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং যেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের। [2]
[1] অনেকে বলেন, শুধু সৎকর্মে অগ্রগামী ব্যক্তিরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু এ কথা ঠিক নয়। কুরআনের পূর্বাপর বাগধারার দাবী অনুযায়ী তিন দলই জান্নাতী হবে। তবে একথা স্বতন্ত্র যে সৎকর্মে অগ্রগামী ব্যক্তিগণ বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং মধ্যপন্থী ব্যক্তিগণ সহজ ও সরল হিসাবের পর এবং নিজের প্রতি অত্যাচারিগণ সুপারিশ অথবা শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ কথাই হাদীস দ্বারা স্পষ্ট হয়। মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়্যাহ বলেন, ‘এই উম্মত হচ্ছে উম্মাতে মারহূমাহ (করুণার পাত্র), যালেম বা গুনাহগারদেরকে ক্ষমা করা হবে, মধ্যপন্থীরা আল্লাহর নিকট জান্নাতে থাকবে এবং সৎকর্মে অগ্রগামী ব্যক্তিরা আল্লাহর নিকট সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবে।’ (ইবনে কাসীর)
[2] মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ‘‘রেশম ও দীবাজ (এক প্রকার মোটা রেশম) পৃথিবীতে পরিধান করো না। কারণ, যে তা পৃথিবীতে পরিধান করবে, সে তা আখেরাতে পরিধান করতে পাবে না।’’ (বুখারী -মুসলিম)
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর তারা বলবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। নিশ্চয় আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, মহাগুণগ্রাহী’। আল-বায়ান
আর তারা বলবে- যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের দুঃখ কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। আমাদের প্রতিপালক অবশ্যই পরম ক্ষমাশীল, (ভাল কাজের) বড়ই মর্যাদাদানকারী। তাইসিরুল
এবং তারা বলবেঃ প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের দুঃখ দুর্দশা দূরীভূত করেছেন! আমাদের রাববতো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। মুজিবুর রহমান
And they will say, "Praise to Allah, who has removed from us [all] sorrow. Indeed, our Lord is Forgiving and Appreciative - Sahih International
৩৪. এবং তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-দুৰ্দশা দূরীভূত করেছেন; নিশ্চয় আমাদের রব তো পরম ক্ষমাশীল, অসীম গুণগ্ৰাহী;
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৪) তারা বলবে, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর; যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন; নিশ্চয়ই আমাদের প্রতিপালক বড় ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী;
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান‘যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী নিবাসে স্থান দিয়েছেন, যেখানে কোন কষ্ট আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং যেখানে কোন ক্লান্তিও আমাদেরকে স্পর্শ করে না’। আল-বায়ান
যিনি স্বীয় অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দান করেছেন। সেখানে ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না, ক্লান্তিও আমাদেরকে স্পর্শ করে না। তাইসিরুল
যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দিয়েছেন, যেখানে ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না। এবং ক্লান্তিও স্পর্শ করে না। মুজিবুর রহমান
He who has settled us in the home of duration out of His bounty. There touches us not in it any fatigue, and there touches us not in it weariness [of mind]." Sahih International
৩৫. যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাসে প্রবেশ করিয়েছেন যেখানে কোন ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং কোন ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৫) যিনি নিজ অনুগ্রহে, আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দান করেছেন; যেখানে আমাদেরকে কোন প্রকার ক্লেশ স্পর্শ করে না এবং স্পর্শ করে না কোন প্রকার ক্লান্তি।’
-
তাফসীরে আহসানুল বায়াননিশ্চয় জান্নাতবাসীরা আজ আনন্দে মশগুল থাকবে। আল-বায়ান
সে দিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল হয়ে থাকবে। তাইসিরুল
এ দিন জান্নাতবাসীরা আনন্দে মগ্ন থাকবে। মুজিবুর রহমান
Indeed the companions of Paradise, that Day, will be amused in [joyful] occupation - Sahih International
৫৫. এ দিন জান্নাতবাসীগণ আনন্দে মগ্ন থাকবে,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৫) এ দিন বেহেশ্তিগণ আনন্দে মগ্ন থাকবে, [1]
[1] فَاكِهُوْنَ এর অর্থ হল فَارِحُوْنَ আনন্দিত, স্বাচ্ছন্দ্যশীল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতারা ও তাদের স্ত্রীরা ছায়ার মধ্যে সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে উপবিষ্ট থাকবে। আল-বায়ান
তারা আর তাদের স্ত্রীরা সুশীতল ছায়ায়, উঁচু উঁচু আসনে হেলান দিয়ে বসবে। তাইসিরুল
তারা এবং তাদের সঙ্গিনীরা সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসবে। মুজিবুর রহমান
They and their spouses - in shade, reclining on adorned couches. Sahih International
৫৬. তারা এবং তাদের স্ত্রীগণ সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসবে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৬) তারা এবং তাদের স্ত্রীগণ সুশীতল ছায়ায় থাকবে এবং হেলান দিয়ে বসবে সুসজ্জিত আসনে।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানসেখানে তাদের জন্য থাকবে ফল-ফলাদি এবং থাকবে তারা যা চাইবে তাও। আল-বায়ান
তাদের জন্য সেখানে থাকবে ফলমূল আর তাদের জন্য থাকবে তারা যা কিছু পেতে চাইবে। তাইসিরুল
সেখানে থাকবে তাদের জন্য ফল-মূল এবং থাকবে যা তারা ফরমায়েশ করবে। মুজিবুর রহমান
For them therein is fruit, and for them is whatever they request [or wish] Sahih International
৫৭. সেখানে থাকবে তাদের জন্য ফলমূল এবং তাদের জন্য বঞ্চিত সমস্ত কিছু,
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৭) সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফল-মূল এবং বাঞ্ছিত সমস্ত কিছু।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানঅসীম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে বলা হবে, ‘সালাম’। আল-বায়ান
দয়াময় প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাদেরকে ‘সালাম’ বলে সম্ভাষণ করা হবে। তাইসিরুল
পরম দয়ালু রবের পক্ষ হতে তাদেরকে বলা হবে ‘সালাম’। মুজিবুর রহমান
[And] "Peace," a word from a Merciful Lord. Sahih International
৫৮. পরম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে সালাম, (সাদর সম্ভাষণ বা নিরাপত্তা)।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৮) পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদেরকে বলা হবে ‘সালাম’ (শান্তি)। [1]
[1] আল্লাহর এই সালাম ফিরিশতাগণ জান্নাতীগণের নিকট পৌঁছে দেবেন। অনেকে বলেন যে, আল্লাহ তাআলা নিজে সরাসরি তাদেরকে সালাম দিয়ে সম্মানিত করবেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানঅবশ্য আল্লাহর মনোনীত বান্দারা ছাড়া; আল-বায়ান
কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দারা নয় (তারা এ সব ‘আযাব থেকে রক্ষা পাবে)। তাইসিরুল
তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা। মুজিবুর রহমান
But not the chosen servants of Allah. Sahih International
৪০. তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪০) তবে যারা আল্লাহর বিশুদ্ধ-চিত্ত দাস, তারা নয়। [1]
[1] অর্থাৎ, এরা শাস্তি থেকে নিরাপদে থাকবে। যদি তাদের কোন ত্রুটি ও অবহেলা থাকে, তবে তা মার্জনা করে দেওয়া হবে এবং প্রত্যেক পুণ্যের বদলা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান