সূরাঃ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة - আয়াতঃ ৫৯
২:৫৯ فَبَدَّلَ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا قَوۡلًا غَیۡرَ الَّذِیۡ قِیۡلَ لَهُمۡ فَاَنۡزَلۡنَا عَلَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا رِجۡزًا مِّنَ السَّمَآءِ بِمَا کَانُوۡا یَفۡسُقُوۡنَ ﴿۵۹﴾
فبدل الذین ظلموا قولا غیر الذی قیل لهم فانزلنا علی الذین ظلموا رجزا من السماء بما کانوا یفسقون ۵۹

অতঃপর যালিমরা পবিবর্তন করে ফেলল সে কথা যা তাদেরকে বলা হয়েছিল, ভিন্ন অন্য কথা দিয়ে। ফলে আমি তাদের উপর আসমান থেকে আযাব নাযিল করলাম, কারণ তারা পাপাচার করত। আল-বায়ান

কিন্তু যারা অত্যাচার করেছিল তারা তাদেরকে যা বলা হয়েছিল তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল, কাজেই যালিমদের প্রতি আমি আকাশ হতে শাস্তি প্রেরণ করলাম, কারণ তারা সত্য ত্যাগ করেছিল। তাইসিরুল

অনন্তর যারা অত্যাচার করেছিল তাদেরকে যা বলা হয়েছিল, তৎপরিবর্তে তারা সেই কথার পরিবর্তন করল, পরে অত্যাচারীরা যে দুস্কর্ম করেছিল তজ্জন্য আমি তাদের উপর আকাশ হতে শাস্তি অবতীর্ণ করেছিলাম। মুজিবুর রহমান

But those who wronged changed [those words] to a statement other than that which had been said to them, so We sent down upon those who wronged a punishment from the sky because they were defiantly disobeying. Sahih International

৫৯. কিন্তু যালিমরা তাদেরকে যা বলা হয়েছিল তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল কাজেই আমরা যালিমদের প্রতি তাদের অবাধ্যতার কারণে আকাশ হতে শাস্তি নাযিল করলাম(১)।

১. হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মহামারী এমন একটি রোগ যা বনী ইসরাঈলের উপর অথবা তোমাদের পূর্বের লোকদের উপর আকাশ থেকে প্রেরণ করা হয়েছিল। সুতরাং যখন তোমরা কোথাও এর সংবাদ কোথাও শুনতে পাবে তখন সেখানে যাবে না। আর তোমরা যেখানে থাক সেখানে নাযিল হলে সেখান থেকে পালিয়ে যেও না।” [বুখারী: ৩৪৭৩, মুসলিম: ২২১৮]

তাফসীরে জাকারিয়া

৫৯। কিন্তু যারা অন্যায় করেছিল, তারা তাদেরকে যা বলা হয়েছিল, তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল। (1) সুতরাং অনাচারীদের প্রতি আমি আকাশ হতে শাস্তি (2) প্রেরণ করলাম, কারণ তারা সত্যত্যাগ করেছিল।

(1) এর স্পষ্ট বর্ণনা সহীহ বুখারী ও মুসলিম ইত্যাদিতে বর্ণিত একটি হাদীসে এসেছে, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, সিজদানত অবস্থায় প্রবেশ কর, কিন্তু তারা পাছাকে যমীনে হিঁচড়াতে হিঁচড়াতে প্রবেশ করে এবং 'হিত্ত্বাহ' এর পরিবর্তে (হিনত্বাহ) হাববাতুন ফী শারাহ (অর্থাৎ, শীষে গম) বলতে বলতে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে কতই না অবাধ্যতা ও ধৃষ্টতা জন্ম নিয়েছিল এবং আল্লাহর বিধানের সাথে তারা কিভাবে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত এ থেকে তা সহজেই অনুমেয়। বস্তুতঃ যখন কোন জাতি চারিত্রিক ও আচার-আচরণে অধঃপতনের শিকার হয়, তখন আল্লাহর বিধানের সাথেও তাদের কার্যকলাপ অনুরূপ হয়ে যায়।

(2) এই আকাশ হতে আগত শাস্তি বা আসমানী আযাব কি ছিল? কয়েকটি উক্তি এ ব্যাপারে এসেছে। যেমন, আল্লাহর গযব, কঠিন ঠান্ডাজনিত কুয়াশা অথবা প্লেগ রোগ। শেষোক্ত অর্থের সমর্থন হাদীসে পাওয়া যায়। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, এই প্লেগ সেই আযাব ও শাস্তির অংশ যা তোমাদের পূর্বে কোন জাতির উপর নাযিল করা হয়েছিল। তোমাদের উপস্থিতিতে কোন স্থানে যদি এই প্লেগ মহামারী দেখা দেয়, তাহলে সেখান থেকে বের হবে না এবং কোন স্থানে যদি এই মহামারী হয়েছে বলে শোন, তবে সেখানে প্রবেশ করবে না। (সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ সালাম, পরিচ্ছেদঃ  প্লেগ, কুলক্ষণ এবং ভবিষ্যদ্বাণী ইত্যাদি ২২১৮নং)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান