৭৬:১২ وَ جَزٰىهُمۡ بِمَا صَبَرُوۡا جَنَّۃً وَّ حَرِیۡرًا ﴿ۙ۱۲﴾
و جزىهم بما صبروا جنۃ و حریرا ۙ۱۲

আর তারা যে ধৈর্যধারণ করেছিল তার পরিণামে তিনি তাদেরকে জান্নাত ও রেশমী বস্ত্রের পুরস্কার প্রদান করবেন। আল-বায়ান

আর তাদের ধৈর্য সহিষ্ণুতার বিনিময়ে তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক। তাইসিরুল

আর তাদের ধৈর্যশীলতার পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে দেয়া হবে জান্নাত ও রেশমী বস্ত্র। মুজিবুর রহমান

And will reward them for what they patiently endured [with] a garden [in Paradise] and silk [garments]. Sahih International

১২. আর তাদের সবরের(১) পুরস্কারস্বরূপ তিনি তাদেরকে প্ৰদান করবেন। উদ্যান ও রেশমী বস্ত্ৰ।

(১) এখানে ‘সবর’ শব্দটি অত্যন্ত ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। বরং প্রকৃতপক্ষে সৎকর্মশীল ঈমানদারগণের গোটা পার্থিব জীবনকেই ‘সবর’ বা ধৈর্যের জীবন বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জ্ঞান হওয়ার বা ঈমান আনার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোন ব্যক্তির নিজের অবৈধ আশা আকাংখাকে অবদমিত করা, আল্লাহর নির্দিষ্ট সীমাসমূহ মেনে চলা, আল্লাহর নির্ধারিত ফরযসমূহ পালন করা, হারাম পন্থায় লাভ করা যায় এরূপ প্রতিটি স্বার্থ ও ভোগের উপকরণ পরিত্যাগ করা, ন্যায় ও সত্যপ্রীতির কারণে যে ক্ষতি মৰ্মবেদনা ও দুঃখ-কষ্ট এসে ঘিরে ধরে তা বরদাশত করা-এসবই আল্লাহর এ ওয়াদার ওপর আস্থা রেখে করা যে, এ সদাচরণের সুফল এ পৃথিবীতে নয় বরং মৃত্যুর পরে আরেকটি জীবনে পাওয়া যাবে। এটা এমন একটা কর্মপন্থা যা মুমিনের গোটা জীবনকেই সবরের জীবনে রূপান্তরিত করে। এটা সাৰ্বক্ষণিক সবর, স্থায়ী সবর, সর্বাত্মক সবার এবং জীবনব্যাপী সবর। [দেখুন: সা'দী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২) আর তাদের ধৈর্যশীলতার[1] পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে দেবেন জান্নাত ও রেশমী বস্ত্র।

[1] ধৈর্য ধরার অর্থ, দ্বীনের রাস্তায় যেসব কষ্ট আসে তা আনন্দের সাথে বরণ করে নেওয়া এবং আল্লাহর আনুগত্যে প্রবৃত্তির চাহিদা ও তার তৃপ্তিকর বিষয়কে কুরবানী দেওয়া ও যাবতীয় অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান