৩৪ সূরাঃ সাবা | Saba | سورة سبإ - আয়াতঃ ৫২
৩৪:৫২ وَّ قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِهٖ ۚ وَ اَنّٰی لَهُمُ التَّنَاوُشُ مِنۡ مَّکَانٍۭ بَعِیۡدٍ ﴿ۚۖ۵۲﴾
و قالوا امنا بهٖ ۚ و انی لهم التناوش من مکانۭ بعید ۚۖ۵۲

আর তারা বলবে, ‘আমরা তাতে ঈমান আনলাম’। কিন্তু দূরবর্তী স্থান থেকে তারা কিভাবে ঈমানের নাগাল পাবে? আল-বায়ান

আর তারা বলবে- (এখন) আমরা ঈমান আনলাম। কিন্তু (ঈমান যেখানে আনতে হত সে স্থান থেকে তারা তো বহু দূরে এসে পড়েছে) এত দূরের জায়গা থেকে তারা ঈমানের নাগাল পাবে কীভাবে? তাইসিরুল

আর তারা বলবেঃ আমরা তাঁকে বিশ্বাস করলাম। কিন্তু এত দূরবর্তী স্থান হতে তারা নাগাল পাবে কিরূপে? মুজিবুর রহমান

And they will [then] say, "We believe in it!" But how for them will be the taking [of faith] from a place far away? Sahih International

৫২. আর তারা বলবে, আমরা তাতে ঈমান আনলাম। কিন্তু এত দূরবর্তী স্থান থেকে তারা (ঈমানের) নাগাল পাবে কিরূপে?(১)

(১) تناوش অর্থ হাত বাড়িয়ে কোন কিছু তুলে নেয়া। বলাবাহুল্য, যে বস্তু বেশী দূরে নয়, হাতের নাগালের মধ্যে, তাই হাত বাড়িয়ে তোলা যায়। আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, কাফের ও মুশরিকরা কেয়ামতের দিন সত্যাসত্য সামনে এসে যাওয়ার পর বলবে, আমরা কুরআনের প্রতি অথবা রাসূলের প্রতি ঈমান আনলাম। কিন্তু তারা জানে না যে, ঈমানের স্থান তাদের থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। ঈমান আনার জায়গা ছিল দুনিয়া। সেখান থেকে এখন তারা বহুদূরে চলে এসেছে। আখেরাতের জগতে পৌঁছে যাবার পর এখন আর তাওবা করা ও ঈমান আনার সুযোগ কোথাও পাওয়া যেতে পারে? কেবল পার্থিব জীবনের ঈমানই গ্রহণীয়। আখেরাত কর্মজগৎ নয়। সেখানকার কোন কর্ম হিসাবে ধরা যাবে না। তাই এটা কেমন করে সম্ভব যে, তারা ঈমানরূপী ধন হাত বাড়িয়ে তুলে নেবে?

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫২) এবং এরা বলবে, ‘আমরা তা বিশ্বাস করলাম।’ কিন্তু এখন এতদূর হতে ওর নাগাল পাবে কিরূপে? [1]

[1] ‘تَنَاوُشٌ -এর অর্থ ধরা বা নাগাল পাওয়া। অর্থাৎ, এখন আখেরাতে তারা ঈমানের নাগাল কিভাবে পাবে, অথচ পৃথিবীতে তা থেকে দূরে থাকতো। ঠিক যেন আখেরাত ঈমানের জন্য পৃথিবীর তুলনায় অনেক দূরের জায়গা। যেমন দূর থেকে কোন বস্তুকে ধরা অসম্ভব, তেমনি আখেরাতে ঈমান পাওয়ার কোন সুযোগই নেই।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান