৩৩ সূরাঃ আল-আহযাব | Al-Ahzab | سورة الأحزاب - আয়াতঃ ৫৮
৩৩:৫৮ وَ الَّذِیۡنَ یُؤۡذُوۡنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ بِغَیۡرِ مَا اکۡتَسَبُوۡا فَقَدِ احۡتَمَلُوۡا بُهۡتَانًا وَّ اِثۡمًا مُّبِیۡنًا ﴿۵۸﴾
و الذین یوذون المومنین و المومنت بغیر ما اکتسبوا فقد احتملوا بهتانا و اثما مبینا ۵۸

আর যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে তাদের কৃত কোন অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয় তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ। আল-বায়ান

আর যারা মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে কষ্ট দেয় তাদের কোন অপরাধ ছাড়াই, তারা অপবাদের ও সুস্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করে। তাইসিরুল

মু’মিন পুরুষ ও মু’মিনা নারী কোন অপরাধ না করলেও যারা তাদেরকে পীড়া দেয় তারা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করে। মুজিবুর রহমান

And those who harm believing men and believing women for [something] other than what they have earned have certainly born upon themselves a slander and manifest sin. Sahih International

৫৮. আর যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয় যা তারা করেনি তার জন্য; নিশ্চয় তারা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করলো।(১)

(১) এ আয়াত দ্বারা কোন মুসলিমকে শরীয়তসম্মত কারণ ব্যতিরেকে কষ্টদানের অবৈধতা প্রমাণিত হয়েছে। [দেখুন, ফাতহুল কাদীর; মুয়াসসার] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “কেবল সে-ই মুসলিম, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে, কেউ কষ্ট পায় না আর কেবল সে-ই মুমিন, যার কাছ থেকে মানুষ তাদের রক্ত ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে নিরুদ্বেগ থাকে। [তিরমিযী: ২৬২৭] তাছাড়া এ আয়াতটি অপবাদেরও সংজ্ঞা নিরূপণ করে। অর্থাৎ মানুষের মধ্যে যে দোষ নেই অথবা যে অপরাধ মানুষ করেনি তা তার ওপর আরোপ করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও এটি সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন। হাদীসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হয়, গীবত কি? জবাবে বলেন, “তোমার নিজের ভাইয়ের আলোচনা এমনভাবে করা যা সে অপছন্দ করে।” জিজ্ঞেস করা হয়, যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে সেই দোষ সত্যিই থেকে থাকে? জবাব দেন, “তুমি যে দোষের কথা বলছে তা যদি তার মধ্যে থাকে তাহলে তুমি তার গীবত করলে আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তার ওপর অপবাদ দিলে।” [মুসলিম: ২৫৮৯]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৮) যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে।[1]

[1] অর্থাৎ তাঁদের বদনাম করার জন্য তাঁদের উপর অপবাদ দেওয়া, অবৈধ ভাবে তাঁদের অমর্যাদা ও তাচ্ছিল্য করা, যেমন রাফেযা (শিয়া)রা সাহাবায়ে-কিরামগণকে গালি দেয় এবং তাঁদের সাথে এমন কিছু কথা ও কর্ম সম্পৃক্ত করে, যা তাঁরা আদৌও বলেননি বা করেননি। ইবনে কাসীর (রহঃ) বলেন, ‘রাফেযারা হল উল্টা অন্তরের; এরা প্রশংসিত মানুষের বদনাম করে, আর বদ লোকের প্রশংসা করে।’’

তাফসীরে আহসানুল বায়ান