৩৩ সূরাঃ আল-আহযাব | Al-Ahzab | سورة الأحزاب - আয়াতঃ ৪৪
৩৩:৪৪ تَحِیَّتُهُمۡ یَوۡمَ یَلۡقَوۡنَهٗ سَلٰمٌ ۖۚ وَ اَعَدَّ لَهُمۡ اَجۡرًا کَرِیۡمًا ﴿۴۴﴾
تحیتهم یوم یلقونهٗ سلم ۖۚ و اعد لهم اجرا کریما ۴۴

যেদিন তারা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে সেদিন তাদের অভিবাদন হবে: ‘সালাম’। আর তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন সম্মানজনক প্রতিদান। আল-বায়ান

যেদিন তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে সেদিন তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন সম্মানজনক প্রতিদান। তাইসিরুল

যেদিন তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে সেদিন তাদের প্রতি অভিবাদন হবে ‘সালাম’। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন উত্তম প্রতিদান। মুজিবুর রহমান

Their greeting the Day they meet Him will be, "Peace." And He has prepared for them a noble reward. Sahih International

৪৪. যেদিন তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে, সেদিন তাদের অভিবাদন হবে সালাম।(১) আর তিনি তাদের জন্য প্ৰস্তুত রেখেছেন সম্মানজনক প্রতিদান।

(১) আয়াতে বলা হয়েছেঃ “তার সাথে মোলাকাতের সময় সেদিন তাদের অভ্যর্থনা হবে সালাম”। অর্থাৎ যেদিন আল্লাহ তা'আলার সাথে এদের সাক্ষাত ঘটবে-তখন তাঁর পক্ষ থেকে এদেরকে সালাম বা আসসালামু আলাইকুমের মাধ্যমে সম্ভাষণ জানানো হবে। এখন প্রশ্ন হলো, এ সালাম কখন দেয়া হবে? এর উত্তরে বিভিন্ন সম্ভাবনা উল্লেখ করা হয়েছে। অধিকাংশের মতে, এখানে আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাম দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং এ সালাম মুমিনগণের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় বা হবে। ইমাম রাগেব প্রমূখের মতে, আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের দিন হলো আখেরাতের দিন। আবার কোন কোন তাফসীরকারকের মতে এ সাক্ষাতের সময় হলো জান্নাতে প্রবেশকাল যেখানে তাদের প্রতি আল্লাহ ও ফেরেশতাগণের পক্ষ থেকে সালাম পৌছানো হবে। আবার কোন কোন মুফাসসির মৃত্যু দিবসকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের দিন বলে মন্তব্য করেছেন। সেদিন সমগ্ৰ বিশ্বের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আল্লাহ সমীপে উপস্থিত হওয়ার দিন। আবার কোন কোন মুফাস্‌সিরের মতে, এ সালাম মুমিনগণ পরস্পর পরস্পরকে প্রদান করবে। [দেখুন: ইবন কাসীর, ফাতহুল কাদীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৪) যেদিন তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, সেদিন তাদের প্রতি অভিবাদন হবে সালাম (শান্তি)। [1] আর তিনি তাদের জন্য সম্মানজনক প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন।

[1] অর্থাৎ, জান্নাতে ফিরিশতাগণ মু’মিনদেরকে অথবা মু’মিনগণ আপোসে একজন অপরজনকে সালাম করবেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান