সূরাঃ আলে-ইমরান | Al-i-Imran | سورة آل عمران - আয়াতঃ ৬৩
৩:৬৩ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّ اللّٰهَ عَلِیۡمٌۢ بِالۡمُفۡسِدِیۡنَ ﴿۶۳﴾
فان تولوا فان الله علیمۢ بالمفسدین ۶۳

তবুও যদি তারা উপেক্ষা করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে অবগত। আল-বায়ান

তা’ সত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ কলহ সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে বিশেষভাবে অবহিত। তাইসিরুল

অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ দুস্কার্যকারীদের জ্ঞাত আছেন। মুজিবুর রহমান

But if they turn away, then indeed - Allah is Knowing of the corrupters. Sahih International

৬৩. অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ ফাসাদকারীদের সম্পর্কে সম্যক অবগত।(১)

(১) এ মুবাহালা’র পটভূমি সম্পর্কে হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নাজরানের নাসারাদের মধ্য হতে আকেব ও আস-সাইয়্যেদ নামীয় দুই নেতা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে তাদের ধর্ম ও ইসলামের মধ্যে কোনটি সঠিক তা নির্ধারণের ব্যাপারে মুলা’আনাহ করার ব্যাপারে তাদের ইচ্ছা ব্যক্ত করল। তারপর তাদের একজন অপরজনকে বলল, এটা করতে যেয়ো না; কারণ, আল্লাহর শপথ, যদি তিনি নবী-ই হয়ে থাকেন এবং আমাদেরকে বদ-দো'আ করেন, তাহলে আমরা ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কখনো সফলকাম হতে পারবো না।

তারপর তারা দু'জন [পূর্ববর্তী মুবাহালা করার মত থেকে সরে এসে] এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন তা-ই আমরা দিব, তবে আপনি আমাদের কাছে একজন আমানতদার ব্যক্তিকে পাঠান। আমানতদার ব্যক্তি ব্যতীত কাউকে পাঠাবেন না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি তোমাদের সাথে বাস্তবিকই একজন আমানতদার ব্যক্তিকেই পাঠাব। এ কথা বলার পর সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই সেই আমানতদার ব্যক্তিটি হবার ব্যাপারে উৎসাহী হলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আবু উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ! তুমি উঠ। যখন তিনি দাঁড়ালেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “এই হচ্ছে এ উম্মতের আমানতদার ব্যক্তি।” [বুখারী ৪৩৮০, মুসলিম: ২৪২০]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইবন আব্বাস বলেন, “যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মুবাহালাহ করতে চেয়েছিল তারা যদি তা করত তবে তারা ফিরে গিয়ে কোন সম্পদ-পরিবার খুজে পেত না। [তিরমিযী: ৩৩৪৫, মুসনাদে আহমাদ ১/২৪৮]

ইবন কাসীর বলেন, এ ঘটনা হিজরী ৯ম সনে সংঘটিত হয়েছিল। তার পূর্বেই জিযিয়া করের বিধান সম্বলিত সূরা আত-তাওবাহ্ এর আয়াত নাযিল হয়েছিল। [তাফসীরে ইবনে কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৬৩) অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় (অর্থাৎ, ঈসা সম্বন্ধে সত্য ইতিহাসকে অস্বীকার করে), তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সম্বন্ধে সম্যক অবহিত।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান