৩০ সূরাঃ আর-রুম | Ar-Rum | سورة الروم - আয়াতঃ ৩৮
৩০:৩৮ فَاٰتِ ذَاالۡقُرۡبٰی حَقَّهٗ وَ الۡمِسۡکِیۡنَ وَ ابۡنَ‌السَّبِیۡلِ ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ لِّلَّذِیۡنَ یُرِیۡدُوۡنَ وَجۡهَ اللّٰهِ ۫ وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۳۸﴾
فات ذاالقربی حقهٗ و المسکین و ابنالسبیل ذلک خیر للذین یریدون وجه الله ۫ و اولىک هم المفلحون ۳۸

অতএব আত্মীয়-স্বজনকে তাদের হক দিয়ে দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরকেও। এটি উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম। আল-বায়ান

কাজেই আত্মীয়দেরকে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য দিয়ে দাও আর অভাবগ্রস্ত এবং মুসাফিরদেরকেও। যারা আল্লাহর চেহারা (দর্শন) কামনা করে, এটা তাদের জন্য উত্তম, আর তারাই সফলকাম। তাইসিরুল

অতএব আত্মীয়কে দিয়ে দাও তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে তাদের জন্য এটা শ্রেয় এবং তারাই সফলকাম। মুজিবুর রহমান

So give the relative his right, as well as the needy and the traveler. That is best for those who desire the countenance of Allah, and it is they who will be the successful. Sahih International

৩৮. অতএব আত্মীয়কে দাও তার হক(১) এবং অভাবগ্ৰস্ত ও মুসাফিরকেও(২) যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি(৩) কামনা করে তাদের জন্য এটা উত্তম এবং তারাই তো সফলকাম।

(১) কাতাদাহ বলেন, তোমার যদি কোন নিকটাত্মীয় থাকে, তারপর তুমি তাকে কোন সম্পদ না দাও বা তার কাছে না যাও, তাহলে তুমি তার সাথে সম্পর্ক কর্তন করেছ, সম্পর্ক রক্ষা করনি। [আত-তাফসীরুস সহীহ]

(২) আলোচ্য আয়াতে ধন-সম্পদের কয়েকটি খাত বৰ্ণনা করা হয়েছে। (এক) আত্মীয়-স্বজন, (দুই) মিসকীন, (তিন) মুসাফির। অর্থাৎ, আল্লাহ প্রদত্ত ধন-সম্পদ তাদেরকে দান কর এবং তাদের জন্যে ব্যয় কর। সাথে সাথে আরও বলা হয়েছে যে, এটা তাদের প্রাপ্য, যা আল্লাহ তোমাদের ধন-সম্পদে শামিল করে দিয়েছেন। কাজেই দান করার সময় তাদের প্রতি কোন অনুগ্রহ করছ বলে বড়াই করো না। কেননা, প্রাপকের প্রাপ্য পরিশোধ করা ইনসাফের দাবী; কোন অনুগ্রহ নয়। [তাবারী, ইবন কাসীর, ফাতহুল কাদীর]

(৩) وَجْهَ اللَّهِ এর মধ্যস্থিত وجه এর এক অর্থ চেহারা। সে হিসেবে এর দ্বারা আল্লাহর চেহারা থাকার গুণ সাব্যস্ত হয়। আবার অন্য অর্থ হচ্ছে, جهة বা দিক। তখন অর্থ হয়; আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। অধিকাংশ মুফাসসির এ অর্থই করেছেন। তাছাড়া এর দ্বারা চেহারা (দর্শন) কামনা করাও উদ্দেশ্য হতে পারে।

তাফসীরে জাকারিয়া

(৩৮) অতএব আত্মীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্ত এবং মুসাফিরকে তাদের প্রাপ্য দান কর। [1] এ যারা আল্লাহর মুখমন্ডল (দর্শন[2] বা সন্তুষ্টি) কামনা করে, তাদের জন্য শ্রেয় এবং তারাই সফলকাম।

[1] রুযীর ব্যাপারটা যখন সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে এবং তিনি যার জন্য ইচ্ছা রুযী বর্ধিত করেন, তখন ধনীদের উচিত, আল্লাহ প্রদত্ত ধন-সম্পদ থেকে ঐ সকল হক আদায় করবে, যা আত্মীয়-স্বজন, মিসকীন ও মুসাফিরদের জন্য রাখা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনদের অধিকার বেশি থাকার কারণে তাদের উল্লেখ প্রথমে করা হয়েছে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘‘গরীব আত্মীয়-স্বজনকে দান করলে দ্বিগুণ নেকী পাওয়া যায়; এক তো দানের নেকী, দ্বিতীয় আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখার নেকী।’’ এ ছাড়া ‘হক, অধিকার বা প্রাপ্য’ বলে এ কথা বুঝানো হয়েছে যে, দান করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করছ না; বরং প্রাপকের প্রাপ্য অধিকার আদায় করছ মাত্র।

[2] অর্থাৎ, জান্নাতে আল্লাহর চেহারা দর্শন কামনা করে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান