৩০ সূরাঃ আর-রুম | Ar-Rum | سورة الروم - আয়াতঃ ৮
৩০:৮ اَوَ لَمۡ یَتَفَکَّرُوۡا فِیۡۤ اَنۡفُسِهِمۡ ۟ مَا خَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَهُمَاۤ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَ اَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ وَ اِنَّ کَثِیۡرًا مِّنَ النَّاسِ بِلِقَآیِٔ رَبِّهِمۡ لَکٰفِرُوۡنَ ﴿۸﴾
او لم یتفکروا فی انفسهم ۟ ما خلق الله السموت و الارض و ما بینهما الا بالحق و اجل مسمی و ان کثیرا من الناس بلقای ربهم لکفرون ۸

তারা কি নিজদের অন্তরে ভেবে দেখে না, আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সব কিছুই যথাযথভাবে ও এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন? আর নিশ্চয় বহু লোক তাদের রবের সাক্ষাতে অবিশ্বাসী। আল-বায়ান

তারা কি তাদের মনে ভেবে দেখে না যে, আল্লাহ আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও এ দু’এর মধ্যবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট কালের জন্য, কিন্তু অনেক মানুষ তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতে নিশ্চিতই অবিশ্বাসী। তাইসিরুল

তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখেনা যে, আল্লাহ আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও এতদুভয়ের অন্তবর্তী সব কিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবেই এক নির্দিষ্ট কালের জন্য? কিন্তু মানুষের মধ্যে অনেকেই তাদের রবের সাক্ষাতে অবিশ্বাসী। মুজিবুর রহমান

Do they not contemplate within themselves? Allah has not created the heavens and the earth and what is between them except in truth and for a specified term. And indeed, many of the people, in [the matter of] the meeting with their Lord, are disbelievers. Sahih International

৮. তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না? আল্লাহ আসমানসমূহ, যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে এবং এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। কিন্তু মানুষের মধ্যে অনেকেই তো তাদের রবের সাক্ষাতের ব্যাপারে কাফির।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৮) ওরা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না যে, আল্লাহই আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও ওদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছু যথাযথভাবে এবং এক নির্দিষ্ট কালের জন্য সৃষ্টি করেছেন।[1] আর অবশ্যই বহু মানুষ তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতে অবিশ্বাসী। [2]

[1] অথবা তা এক উদ্দেশ্য ও হকের সাথে সৃষ্টি করা হয়েছে; বিনা উদ্দেশ্যে বেকার সৃষ্টি করা হয়নি। আর সে উদ্দেশ্য হল এই যে, পুণ্যবানদেরকে তাদের পুণ্যের প্রতিদান এবং পাপীদেরকে তাদের পাপের শাস্তি প্রদান। অর্থাৎ, তারা কি নিজেদের অস্তিত্ব ও দেহ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে না যে, তাদেরকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে অথচ তাদের কোন অস্তিত্বই ছিল না এবং ঘৃণ্য এক ফোঁটা পানি দ্বারা তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে? তারপর এক বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই ঐ লম্বা ও চওড়া বিশাল আকাশ ও পৃথিবী তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া সকল কিছুর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ‘কিয়ামত দিবস’। যেদিন এ সকল বস্তু ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থাৎ, তারা যদি এই সকল বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করত, তাহলে অবশ্যই আল্লাহর অস্তিত্ব, তিনি যে অদ্বিতীয় প্রতিপালক ও একমাত্র উপাস্য এবং তাঁর যে অশেষ ক্ষমতা তা বুঝতে সক্ষম হত এবং তাঁর উপর ঈমান আনয়ন করত।

[2] সৃষ্টি জগৎ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করাই হচ্ছে এর আসল কারণ। তাছাড়া কিয়ামতের দিনকে অস্বীকার করার পিছনে যুক্তিসঙ্গত কোন ভিত্তিই নেই।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান