২৭ সূরাঃ আন-নামাল | An-Naml | سورة النمل - আয়াতঃ ৯৩
২৭:৯৩ وَ قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰهِ سَیُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِهٖ فَتَعۡرِفُوۡنَهَا ؕ وَ مَا رَبُّکَ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۹۳﴾
و قل الحمد لله سیریکم ایتهٖ فتعرفونها و ما ربک بغافل عما تعملون ۹۳

আর বল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর; অচিরেই তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনসমূহ দেখাবেন, তখন তোমরা তা চিনতে পারবে আর তোমরা যা আমল কর সে ব্যাপারে তোমাদের রব বেখবর নন।’ আল-বায়ান

আর বল, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই। তিনি শীঘ্রই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখাবেন আর তা তোমরা চিনতে পারবে। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে তোমার পালনকর্তা অমনোযোগী নন। তাইসিরুল

আর বলঃ প্রশংসা আল্লাহরই, তিনি তোমাদেরকে সত্ত্বর দেখাবেন তাঁর নিদর্শন, তখন তোমরা তা বুঝতে পারবে। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে তোমাদের রাব্ব গাফিল নন। মুজিবুর রহমান

And say, "[All] praise is [due] to Allah. He will show you His signs, and you will recognize them. And your Lord is not unaware of what you do." Sahih International

৯৩. আর বলুন, সকল প্রশংসা আল্লাহরই(১) তিনি তোমাদেরকে সত্বর দেখাবেন তার নিদর্শন; তখন তোমরা তা চিনতে পারবে।(২) আর তোমরা যা করা সে সম্পর্কে আপনার রব গাফিল নন।(৩)

(১) অর্থাৎ এজন্যই আল্লাহর প্রশংসা যে, তিনি কারও বিপক্ষে প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত না করে শাস্তি দেন না। অনুরূপভাবে কাউকে ওযর পেশ করার সুযোগ শেষ করা পর্যন্ত আযাব নাযিল করেন না। আর সে জন্যই তিনি তাঁর আয়াতসমূহ নাযিল করবেন। যাতে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে বলতে না পারে যে, আমাদের কাছে আয়াত আসলে তো আমরা ঈমান আনতাম। [দেখুন: ইবন কাসীর]

(২) যেমন অন্য আয়াতে বলেছেন, অচিরেই আমরা তাদেরকে আমাদের নিদর্শনাবলী দেখাব, বিশ্ব জগতের প্রান্তসমূহে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; যাতে তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠে যে, অবশ্যই এটা (কুরআন) সত্য।” [সূরা ফুসসিলাত: ৫৩]

(৩) বরং তিনি সবকিছুর উপর সাক্ষী। [ইবন কাসীর] তাঁর কাছে কোন কিছু অজ্ঞাত নয়।

তাফসীরে জাকারিয়া

(৯৩) বল, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই,[1] তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শন দেখাবেন; তখন তোমরা তা চিনতে পারবে।[2] আর তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক অনবহিত নন।’ [3]

[1] যেহেতু তিনি ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকেই আযাব দেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না হুজ্জত কায়েম করেন।

[2] তিনি অন্যত্র বলেছেন,{سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنفُسِهِمْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ}  অর্থাৎ, আমি ওদের জন্য আমার নিদর্শনাবলী বিশ্বজগতে ব্যক্ত করব এবং ওদের নিজেদের মধ্যেও; ফলে ওদের নিকট স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে, এ (কুরআন) সত্য। (সূরা ফুসসিলাত ৫৩ আয়াত) যদি জীবিতকালে উক্ত নিদর্শনাবলী দেখেও তারা ঈমান আনয়ন না করে, তাহলে মৃত্যুর সময় অবশ্যই ওই সমস্ত নিদর্শন দেখে সত্য চিনে নেবে। কিন্তু সে সময়ের ঈমান গ্রহণযোগ্য নয়।

[3] বরং তিনি প্রতিটি জিনিসকেই প্রত্যক্ষ করছেন। এতে রয়েছে কাফেরদের জন্য কঠিন ভীতি প্রদর্শন ও বিরাট সতর্কীকরণ।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান