২৫ সূরাঃ আল-ফুরকান | Al-Furqan | سورة الفرقان - আয়াতঃ ৪৫
২৫:৪৫ اَلَمۡ تَرَ اِلٰی رَبِّكَ كَیۡفَ مَدَّ الظِّلَّ ۚ وَ لَوۡ شَآءَ لَجَعَلَهٗ سَاكِنًا ۚ ثُمَّ جَعَلۡنَا الشَّمۡسَ عَلَیۡهِ دَلِیۡلًا ﴿ۙ۴۵﴾
الم تر الی ربك كیف مد الظل و لو شآء لجعلهٗ ساكنا ثم جعلنا الشمس علیه دلیلا ﴿۴۵﴾

তুমি কি তোমার রবকে দেখনি, কীভাবে তিনি ছায়াকে দীর্ঘ করেছেন, আর তিনি যদি চাইতেন, তাহলে তাকে অবশ্যই স্থির করে দিতে পারতেন। অতঃপর আমি সূর্যকে তার উপর নির্দেশক বানিয়ে দিয়েছি। আল-বায়ান

তুমি কি তোমার প্রতিপালককে দেখ না কীভাবে তিনি ছায়াকে দীর্ঘ করেন (সূর্য উদয়ের সময়ে, অতঃপর তা ক্রমেই ছোট হতে হতে দুপুর বেলা ছায়া ক্ষুদ্র আকৃতি ধারণ করে, দুপুরের পর আবার ছায়া দীর্ঘ হতে থাকে), তিনি চাইলে ছায়াকে অবশ্যই স্থির রাখতে পারতেন। সূর্যকেই আমি করেছি তার (অর্থাৎ ছায়ার) নির্ণায়ক (সূর্যের অবস্থানের কারণেই ছায়া ছোট ও দীর্ঘ হয়)। তাইসিরুল

তুমি কি তোমার রবের প্রতি লক্ষ্য করনা, কিভাবে তিনি ছায়া সম্প্রসারিত করেন? তিনি ইচ্ছা করলে এটাকে তো স্থির রাখতে পারতেন। অনন্তর আমি সূর্যকে করেছি এর নির্দেশক। মুজিবুর রহমান

Have you not considered your Lord - how He extends the shadow, and if He willed, He could have made it stationary? Then We made the sun for it an indication. Sahih International

৪৫. আপনি কি আপনার রব-এর প্রতি লক্ষ্য করেন না(১) কিভাবে তিনি ছায়া সম্প্রসারিত করেন? তিনি ইচ্ছে করলে এটাকে তো স্থির রাখতে পারতেন; তারপর আমরা সূর্যকে করেছি এর নির্দেশক।

(১) ৪৫ থেকে ৬০ এ আয়াতসমূহে আল্লাহ্ তা'আলার সর্বময় ক্ষমতা এবং বান্দার প্রতি তাঁর নেয়ামত ও অনুগ্রহ বর্ণিত হয়েছে, যার ফলে আল্লাহ্ তা'আলার তাওহীদ প্রমাণিত হয় এবং এতে বান্দার করণীয় কি তাও বর্ণনা করা হয়েছে। [দেখুন: ফাতহুল কাদীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৫) তুমি কি দেখ না, কিভাবে তোমার প্রতিপালক ছায়া বিস্তার করেন? [1] তিনি তো ইচ্ছা করলে একে স্থির রাখতে পারতেন; [2] অতঃপর আমি সূর্যকে এর নির্দেশক করেছি। [3]

[1] এখান হতে আবার তাওহীদের প্রমাণাদির বর্ণনা শুরু হচ্ছে। দেখ! আল্লাহ কিভাবে পৃথিবীতে ছায়া ছড়িয়ে রেখেছেন। যা সুবহে সাদিক (কাকভোর) হতে সূর্য  উঠা পর্যন্ত থাকে। অর্থাৎ, ঐ সময় রৌদ্র থাকে না। রৌদ্রের সাথে সাথে তা গুটিয়ে ও মিটে যেতে থাকে।

[2] অর্থাৎ, সব সময় ছায়াই থাকত, সূর্যের আলো তাকে শেষ করতে পারত না।

[3] অর্থাৎ, রৌদ্র থেকে ছায়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। কারণ, প্রতিটি জিনিসকে তার বিপরীত দিয়ে চেনা যায়। যদি সূর্য না থাকত, তাহলে মানুষ ছায়াকে চিনতে পারত না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান