২৩ সূরাঃ আল-মুমিনুন | Al-Mu'minun | سورة المؤمنون - আয়াতঃ ৩২
২৩:৩২ فَاَرۡسَلۡنَا فِیۡهِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡهُمۡ اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ اِلٰهٍ غَیۡرُهٗ ؕ اَفَلَا تَتَّقُوۡنَ ﴿۳۲﴾
فارسلنا فیهم رسولا منهم ان اعبدوا الله ما لکم من اله غیرهٗ افلا تتقون ۳۲

অতঃপর তাদের মধ্যে তাদেরই একজনকে আমি রাসূলরূপে প্রেরণ করেছিলাম যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না। আল-বায়ান

আর তাদের মাঝে তাদেরই একজনকে রসূল করে পাঠিয়েছিলাম এই ব’লে যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই, তবুও কি তোমরা (তাঁকে) ভয় করবে না? তাইসিরুল

এরপর তাদেরই একজনকে তাদের নিকট রাসূল করে পাঠিয়েছিলাম; সে বলেছিলঃ তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন মা‘বূদ নেই, তবুও কি তোমরা সাবধান হবেনা? মুজিবুর রহমান

And We sent among them a messenger from themselves, [saying], "Worship Allah; you have no deity other than Him; then will you not fear Him?" Sahih International

৩২. এরপর আমরা তাদেরই একজনকে তাদের কাছে রাসূল করে পাঠিয়েছিলাম! তিনি বলেছিলেন, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন সত্য ইলাহ নেই।(১), তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?

(১) এ শব্দগুলোর দ্বারা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহর অস্তিত্বকে তারাও অস্বীকার করতো না। তাদেরও আসল ভ্ৰষ্টতা ছিল শির্ক তথা আল্লাহর ইবাদাতে শির্ক করা। কুরআনের অন্যান্য স্থানেও এ জাতির এ অপরাধই বর্ণনা করা হয়েছে। [যেমন দেখুনঃ আল-আরাফঃ ৬৫; হূদঃ ৫৩–৫৪; ফুসসিলাতঃ ১৪ এবং আল-আহকাফঃ ২১–২২ আয়াত]।

তাফসীরে জাকারিয়া

(৩২) এরপর তাদেরই একজনকে তাদের নিকট রসূল করে পাঠিয়েছিলাম;[1] সে বলেছিল, ‘তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই,[2] তবুও কি তোমরা সাবধান হবে না?’

[1] আমি সে রাসুল তাদের মধ্যে হতেই প্রেরণ করেছি, যিনি তাদের মাঝেই প্রতিপালিত হয়েছিলেন এবং যাকে তারা ভালভাবেই চিনত; তার বংশ, বারি-ঘর ও জন্ম সম্পর্কে তারা সম্যক অবগত ছিল।

[2] তিনি সর্বপ্রথম তাওহিদের দাওয়াত দিলেন। আর এই তাওহীদই ছিল সমস্ত নবী রাসুলদের দাওয়াতের শিরোনাম।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান