২০ সূরাঃ ত্ব-হা | Ta-Ha | سورة طه - আয়াতঃ ১২
২০:১২ اِنِّیۡۤ اَنَا رَبُّکَ فَاخۡلَعۡ نَعۡلَیۡکَ ۚ اِنَّکَ بِالۡوَادِ الۡمُقَدَّسِ طُوًی ﴿ؕ۱۲﴾
انی انا ربک فاخلع نعلیک ۚ انک بالواد المقدس طوی ۱۲

নিশ্চয় আমি তোমার রব; সুতরাং তোমার জুতা জোড়া খুলে ফেল, নিশ্চয় তুমি পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রয়েছ’। আল-বায়ান

বাস্তবিকই আমি তোমার প্রতিপালক, কাজেই তোমার জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় আছ। তাইসিরুল

আমিই তোমার রাব্ব। অতএব তোমার পাদুকা খুলে ফেলো, কারণ তুমি পবিত্র তূওয়া উপত্যকায় রয়েছ। মুজিবুর রহমান

Indeed, I am your Lord, so remove your sandals. Indeed, you are in the sacred valley of Tuwa. Sahih International

১২. নিশ্চয় আমি আপনার রব, অতএব আপনার জুতা জোড়া খুলে ফেলুন, কারণ আপনি পবিত্ৰ ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রয়েছেন।(১)

(১) জুতা খোলার নির্দেশ দেয়ার এক কারণ এই যে, স্থানটি ছিল সম্রাম প্রদর্শনের এবং জুতা খুলে ফেলা তার অন্যতম আদব। দ্বিতীয় কারণ যা কোন কোন বর্ণনা থেকে জানা যায় তা হলো, মূসা আলাইহিস সালাম-এর জুতাদ্বয় ছিল মৃত গাধার চর্মনির্মিত। আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু, হাসান বসরী ও ইবনে জুরাইজ রাহিমাহুমাল্লাহ থেকে প্রথমোক্ত কারণই বর্ণিত আছে। কেউ কেউ বলেনঃ বিনয় ও নম্রতার আকৃতি ফুটিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে এ নির্দেশ দেয়া হয়। [ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর] হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে কবরস্থানে জুতা পায়ে হাঁটতে দেখে বলেছিলেনঃ “তুমি তোমার জুতা খুলে নাও” [নাসায়ীঃ ২০৪৮, আবু দাউদঃ ৩২৩০, ইবনে মাজহঃ ১৫৬৮] জুতা পাক হলে তা পরিধান করে সালাত আদায় করা সব ফেকাহবিদের মতে জায়েয। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে পাক জুতা পরিধান করে সালাত আদায় করা প্রমাণিতও রয়েছে।

তাফসীরে জাকারিয়া

(১২) নিশ্চয় আমিই তোমার প্রতিপালক, অতএব তুমি তোমার জুতা খুলে ফেল,[1] কারণ তুমি পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় রয়েছ।’ [2]

[1] জুতা খোলার আদেশ এই কারণেই দেওয়া হয়েছিল যে, এতে আছে বিনয়ের প্রকাশ ও অধিক সম্মান প্রদর্শন। কেউ কেউ বলেন, জুতাগুলি এমন গাধার চামড়া দিয়ে তৈরী ছিল, যা পাকা করা হয়নি। আর পশুর চামড়া বিশেষ পদ্ধতিতে পাকা করার পরই পবিত্র হয়। কিন্তু এ মত সুচিন্তিত নয়। কারণ, চামড়া পাকা করা ব্যতীত জুতা বানানো যায় কিভাবে? অথবা উপত্যকার পবিত্রতার কারণে জুতা খুলতে বলা হয়েছিল; যেমন কুরআনের শব্দে তা প্রকাশ। এ ছাড়াও এর দুটি দিক রয়েছে; আর তা হল, এ আদেশ উপত্যকার সম্মানার্থে ছিল অথবা যাতে উপত্যকার পবিত্রতার প্রভাব খালি পায়ে মূসা (আঃ)-এর অভ্যন্তরে বেশী শোষণ করতে পারে, তার জন্য ছিল। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

[2] طُوى (তুওয়া) ঐ উপত্যকার নাম।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান