সূরাঃ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة - আয়াতঃ ১৬৮
২:১৬৮ یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ کُلُوۡا مِمَّا فِی الۡاَرۡضِ حَلٰلًا طَیِّبًا ۫ۖ وَّ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّهٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۶۸﴾
یایها الناس کلوا مما فی الارض حللا طیبا ۫ۖ و لا تتبعوا خطوت الشیطن انهٗ لکم عدو مبین ۱۶۸

হে মানুষ, যমীনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু। আল-বায়ান

ওহে মনুষ্যজাতি! ভূমন্ডলে বিদ্যমান বস্তুগুলো হতে হালাল উত্তম জিনিসগুলো খাও এবং শায়ত্বনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলো না, বস্তুতঃ সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। তাইসিরুল

হে মানবমন্ডলী! পৃথিবীর মধ্যে যা বৈধ ও পবিত্র, তা হতে আহার কর এবং শাইতানের পদাঙ্ক অনুসরণ করনা, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। মুজিবুর রহমান

O mankind, eat from whatever is on earth [that is] lawful and good and do not follow the footsteps of Satan. Indeed, he is to you a clear enemy. Sahih International

১৬৮. হে মানুষ! তোমরা খাও যমীনে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র(১) খাদ্যবস্তু রয়েছে তা থেকে। আর তোমরা শয়তানের পদাংক(২) অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

(১) حلّ শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো গিট খোলা। যেসব বস্তু সামগ্রীকে মানুষের জন্য হালাল বা বৈধ করে দেয়া হয়েছে, তাতে যেন একটা গিঠই খুলে দেয়া হয়েছে এবং সেগুলোর উপর থেকে বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হয়েছে। সাহল ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, মুক্তি বা পরিত্রাণ লাভ তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল (১) হালাল খাওয়া, (২) ফরয আদায় করা এবং (৩) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতসমূহের আনুগত্য ও অনুসরণ করা। طيب শব্দের অর্থ পবিত্র। শরীআতের দৃষ্টিতে হালাল এবং মানসিক দিক দিয়ে আকর্ষণীয় সমস্ত বস্তু-সামগ্ৰীও এরই অন্তর্ভুক্ত।

(২) خُطُوَاتٌ শব্দটি خُطْوَةٌ এর বহুবচন। خُطْوَةٌ বলা হয় পায়ের দুই ধাপের মধ্যবর্তী ব্যবধানকে। সে অনুসারে (خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ) এর অর্থ হচ্ছে শয়তানী পদক্ষেপসমূহ বা শয়তানী কর্মকাণ্ড। হাদীসে কুদসীতে এসেছে, “আমি আমার বান্দাকে যে সম্পদ দিয়েছি তা বৈধ। আর আমি আমার সকল বান্দাকেই একনিষ্ঠ দ্বীনের উপর সৃষ্টি করেছি। তারপর তাদের কাছে শয়তানরা এসে তাদেরকে তাদের দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদের উপর তা হারাম করে দেয় যা আমি তাদের জন্য হালাল করেছিলাম।” [মুসলিম: ২৮৫৬] (অর্থাৎ তারা সেগুলোকে দেব-দেবীর নামে উৎসর্গ করে সেগুলোকে হারাম বানিয়ে ফেলে)

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৬৮) হে লোক সকল! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে, তা থেকে তোমরা আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, [1] নিঃসন্দেহ সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

[1] অর্থাৎ, শয়তানের অনুসরণ করে আল্লাহর হালাল করা জিনিসকে হারাম করো না, যেমন মুশরিকরা করেছিল। তারা তাদের মূর্তির নামে উৎসর্গীকৃত পশুকে নিজেদের উপর হারাম করে নিত। এর বিস্তারিত আলোচনা সূরা আনআমে (১৩৬-১৪০ আয়াতে) আসবে। হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার সমস্ত বান্দাদেরকে একনিষ্ঠ (মুসলিম) হিসেবে সৃষ্টি করেছি। তারপর তাদের নিকট শয়তান এসে তাদেরকে দ্বীন থেকে বিচ্যুত করে দেয়। আমি যে সমস্ত জিনিস তাদের জন্য হালাল করেছিলাম, সেসব জিনিস তাদের উপর হারাম করে দেয়। (সহীহ মুসলিম ২৮৬৫নং)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান