১০ সূরাঃ ইউনুস | Yunus | سورة يونس - আয়াতঃ ৪৩
১০:৪৩ وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّنۡظُرُ اِلَیۡکَ ؕ اَفَاَنۡتَ تَهۡدِی الۡعُمۡیَ وَ لَوۡ کَانُوۡا لَا یُبۡصِرُوۡنَ ﴿۴۳﴾
و منهم من ینظر الیک افانت تهدی العمی و لو کانوا لا یبصرون ۴۳

আর তাদের মধ্যে কেউ আছে এমন, যে তোমার দিকে তাকায়। তবে কি তুমি অন্ধকে পথ দেখাবে, তারা না দেখলেও? আল-বায়ান

তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমার দিকে তাকায়, তুমি কি অন্ধকে পথ দেখাবে, তারা না দেখলেও? তাইসিরুল

আর তাদের কতক এমনও আছে যারা তোমাকে দেখছে; তুমি কি অন্ধকে পথ দেখাতে পারবে, যদি তাদের অর্ন্তদৃষ্টি না থাকে? মুজিবুর রহমান

And among them are those who look at you. But can you guide the blind although they will not [attempt to] see? Sahih International

৪৩. আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে। তবে কি আপনি অন্ধকে পথ দেখাবেন, তারা না দেখলেও?(১)

(১) তাদের এ তাকানোর দ্বারা তারা আপনার কাছে নবুওয়াতের যে দলীল-প্রমাণাদি আছে তা দেখতে পায়, কিন্তু তারা এর দ্বারা উপকৃত হয় না। পক্ষান্তরে মুমিনগণ আপনার প্রতি দৃষ্টিপাত করেই আপনার সততার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে পারে। তাই আপনার প্রতি সম্মানে তাদের চোখ ভরে যায়। কাফেরগণ আপনার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেও সম্মানের সাথে দেখে না। [ইবন কাসীর] আর যারা সম্মানের সাথে দেখবে না তাদের হিদায়াত তাওফীক হবে না। [কুরতুবী] আল্লাহ্ তা'আলা অন্য আয়াতে আরও বলেনঃ “তারা যখন আপনাকে দেখে তখন তারা আপনাকে শুধু ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্ররূপে গণ্য করে এবং বলে, এই-ই কি সে, যাকে আল্লাহ রাসূল করে পাঠিয়েছেন? সে তো আমাদেরকে আমাদের দেবতাগণ হতে দূরে সরিয়ে দিত, যদি না আমরা তাদের আনুগত্যে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকতাম। যখন তারা শাস্তি দেখতে পাবে তখন তারা জানবে কে বেশী পথভ্রষ্ট।” [সূরা আল-ফুরকানঃ ৪১–৪২]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৩) আর তাদের মধ্যে কিছু লোক আছে, যারা তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তবে কি তুমি অন্ধকে পথ দেখাবে; যদিও তাদের দৃষ্টিশক্তি না থাকে?[1]

[1] অনুরূপ কিছু মানুষ তোমার দিকে তাকিয়ে দেখে, কিন্তু যেহেতু তাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু থাকে, ফলে তাদেরও অন্ধ ব্যক্তিদের মত কোন লাভ হয় না। বিশেষ করে সেই অন্ধ ব্যক্তি, যে চোখ থাকতেও অন্ধ হয়। কারণ অনেক অন্ধ লোক আছে, যারা অন্তর-দৃষ্টি দ্বারা দেখে। তারা চোখের দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পরেও, অনেক কিছু বুঝে নিতে পারে। কিন্তু এরা সেই অন্ধের মত যে অন্ধ অন্তর-দৃষ্টি থেকেও বঞ্চিত। এসব কথার উদ্দেশ্য হল, নবী (সাঃ)-কে সান্তনা দেওয়া। যেমন একজন ডাক্তার যখন জেনে নেন যে, রোগী চিকিৎসা করানোর ব্যাপারে অধৈর্য এবং সে আমার নির্দেশনা ও চিকিৎসার কোন পরোয়া করে না, তখন তিনি তার প্রতি ভ্রূক্ষেপ করেন না এবং তার জন্য সময় নষ্ট করতে পছন্দ করেন না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান