২৩. আল-মুমিনুন
২৩:৯৭ وَ قُلۡ رَّبِّ اَعُوۡذُ بِکَ مِنۡ هَمَزٰتِ الشَّیٰطِیۡنِ ﴿ۙ۹۷﴾

আর বল, ‘হে আমার রব, আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই’। আল-বায়ান

আর বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তাইসিরুল

আর বলঃ হে আমার রাব্ব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শাইতানের প্ররোচনা হতে। মুজিবুর রহমান

And say, "My Lord, I seek refuge in You from the incitements of the devils, Sahih International

৯৭. আর বলুন, হে আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা থেকে।(১)

(১) همز শব্দের অর্থ পশ্চাদ্দিক থেকে চাপ দেয়া। [কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর] শয়তানের প্ররোচনা ও চক্রান্ত থেকে আত্মরক্ষার জন্যে এটা একটা সুদুরপ্রসারী অর্থবহ দোআ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদেরকে এই দোআ পড়ার আদেশ করেছেন, যাতে ক্রোধ ও গোস্‌সার অবস্থায় মানুষ যখন বাহ্যজ্ঞান বিলুপ্ত হয়ে পড়ে, তখন শয়তানের প্ররোচনা থেকে এই দো’আর বরকতে নিরাপদ থাকতে পারে। এ ছাড়া শয়তান ও জিনদের অন্যান্য প্রভাব ও আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্যেও দোআটি পরীক্ষিত। এক সাহাবীর রাত্রিকালে নিদ্রা আসত না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম-তাকে নিম্ন বর্ণিত দো’আটি পাঠ করে শোয়ার আদেশ দিলেন। তিনি পড়া শুরু করলে অনিদ্রার কবল থেকে মুক্তি পান। দোয়াটি এইঃ

 أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ، وَمِنْ شَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَنْ يَحْضُرُونِ

[আবু দাউদঃ ৩৮৯৩, মুসনাদে আহমাদঃ ৪/৫৭, ৬/৬]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৯৭) আর বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানদের প্ররোচনা হতে।[1]

[1] সূতরাং নাবী (সাঃ) শাইত্বান হতে এই বলে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন, ‘‘আউযু বিল্লাহিস সামীইল আ’লীম মিনাশ শাইত্বানির রজীম, মিন হামযিহী অনাফখিহী ওয়া নাফসিহ।’’ অর্থাৎ, আমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শাইত্বান হতে তার প্ররোচনা ও ফুৎকার হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

(আবু দাউদঃ নামায অধ্যায়, তিরমিজি)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
২৩. আল-মুমিনুন
২৩:৯৮ وَ اَعُوۡذُ بِکَ رَبِّ اَنۡ یَّحۡضُرُوۡنِ ﴿۹۸﴾

আর হে আমার রব, আমার কাছে তাদের উপস্থিতি হতে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ আল-বায়ান

আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আমার প্রতিপালক! যাতে তারা আমার কাছে আসতে না পারে।’ তাইসিরুল

হে আমার রাব্ব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট ওদের উপস্থিতি হতে। মুজিবুর রহমান

And I seek refuge in You, my Lord, lest they be present with me." Sahih International

৯৮. আর হে আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে৷

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৯৮) হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট ওদের (শয়তানদের) উপস্থিতি হতে।’[1]

[1] এই কারণে নবী (সাঃ) প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করার পূর্বে আল্লাহর নাম নিতেন; অর্থাৎ, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করতেন। কারণ, আল্লাহর স্মরণ শয়তান বিতাড়িত করে। সেই জন্য তিনি এই দু’আও করতেন,

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْهَدْمِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ التَّرَدِّي وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ الْغَرَقِ وَالْحَرَقِ وَالْهَرَمِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِي الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ فِي سَبِيلِكَ مُدْبِرًا وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দেওয়াল চাপা পড়া, উপর থেকে পড়ে যাওয়া, পানিতে ডুবে যাওয়া, আগুনে পুড়ে যাওয়া এবং বার্ধক্যের স্থবিরতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, যাতে আমার মৃত্যুর সময় শয়তান আমাকে স্পর্শ না করে, আমি যেন তোমার পথে (জিহাদে) পলায়ন অবস্থায় না মরি এবং সর্প দংশনেও যেন আমার মৃত্যু না হয়। (আবূ দাউদঃ বিতর অধ্যায়) ঘুমন্ত অবস্থায় ভয় পেলে তিনি এই দু’আটি পাঠ করতেন,

أَعُوْذُ بِكَلمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيْطَانِ وَأَنْ يَحْضُرُوْنَ

অর্থাৎ, আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের অসীলায় তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি হতে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট হতে, শয়তানের প্ররোচনাদি এবং আমার নিকট ওদের হাজির হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আহমাদ ২/১৮১, আবু দাউদঃ চিকিৎসা অধ্যায়, তিরমিযীঃ দু’আ অধ্যায়)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে