২৩ সূরাঃ আল-মুমিনুন | Al-Mu'minun | سورة المؤمنون - আয়াত নং - ৭ - মাক্কী

২৩ : ৭ فَمَنِ ابۡتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡعٰدُوۡنَ ۚ﴿۷﴾

অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। আল-বায়ান

এদের অতিরিক্ত যারা কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। তাইসিরুল

সুতরাং কেহ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা হবে সীমালংঘনকারী, মুজিবুর রহমান

But whoever seeks beyond that, then those are the transgressors - Sahih International

৭. অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারাই হবে সীমালংঘনকারী(১),

(১) অর্থাৎ বিবাহিত স্ত্রী অথবা যুদ্ধলব্ধ দাসীর সাথে শরীআতের বিধি মোতাবেক কামবাসনা করা ছাড়া কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থকরার আর কোন পথ হালাল নয়। স্ত্রী অথবা দাসীর সাথে হায়েয-নেফাস অবস্থায় কিংবা অস্বাভাবিক পন্থায় সহবাস করা অথবা কোন পুরুষ অথবা বালক অথবা জীব-জন্তুর সাথে কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করা-এগুলো সব নিষিদ্ধ ও হারাম। অধিক সংখ্যক আলেমের মতে হস্তমৈথুনও এর অন্তর্ভুক্ত। [দেখুন, ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৭) সুতরাং কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা হবে সীমালংঘনকারী। [1]

[1] এখান থেকে বোঝা যায় যে, ইসলামে ‘মুত্আর’ (কিছু টাকা-কড়ি দিয়ে কোন মহিলাকে সাময়িকভাবে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করার, অনুরূপ হস্তমৈথুন করার) কোন অনুমতি নেই। যৌন বাসনা পূর্ণ করার রাস্তা মাত্র দুটি; স্ত্রী-সঙ্গম অথবা ক্রীতদাসীর সাথে মিলন। বরং বর্তমানে এ বাসনা পূরণের জন্য কেবল স্ত্রীই রয়ে গেছে। কারণ, অধিকারভুক্ত যুদ্ধবন্দিনী বা ক্রীতদাসীর অস্তিত্ব বর্তমানে বিলুপ্ত। কিন্তু যদি কখনও এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়, যখন ক্রীতদাসী বিদ্যমান থাকবে, তখন তাদের সাথে স্ত্রীর মতই মিলন বৈধ হবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান