৫৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৪০) ইচ্ছাকৃতভাবে নামায পরিত্যাগ করা ও অলসতা বশতঃ নামাযের সময় পার করে দেয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

৫৭৮. (সহীহ্) সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ অধিকাংশ সময় রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করতেন তোমাদের মধ্যে কেউ কি কোন স্বপ্ন দেখেছে? তখন যিনি দেখেছেন তিনি -আল্লাহ্‌ যা চান তা- তাঁর নিকট বর্ণনা করতেন। একদিন প্রভাতে তিনি আমাদেরকে বললেনঃ

’’আজ রাতে আমার নিকট দু’জন ফেরেশতা আগমণ করে আমাকে নিয়ে চললেন। তারা আমাকে বললেন, চলুন। আমি তাঁদের সাথে চলতে লাগলাম। চলতে চলতে আমরা এমন একজন লোকের নিকট পৌঁছলাম, যে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। আরেকজন লোক পার্শ্বে একটি পাথর হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সে পাথরটি তার মাথায় নিক্ষেপ করছে, ফলে মাথাটি পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর পাথরটি দূরে ছিটকে পড়ছে। সে ওটিকে কুড়িয়ে নিয়ে আসছে। কিন্তু ফিরে আসার আগেই মাথাটি পূর্বের মত ঠিক হয়ে যাচ্ছে। তখন প্রথমবার যেভাবে তাকে আঘাত করছিল সেভাবে আঘাত করছে। তিনি বলেন, আমি বললামঃ সুবহানাল্লাহ্! এরা দু’জন কারা? তাঁরা দু’জন আমাকে বললেনঃ আগে চলুন, আগে চলুন।

আমরা এমন একজন লোকের কাছে আসলাম যে লোকটি চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। আর তার পাশে একজন লোহার কাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে শুয়ে থাকা মানুষটির একদিকের চোয়ালে ঢুকিয়ে দিচ্ছে এবং তা চিরে ঘাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আবার নাকের ছিদ্রের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে তা চিরে ঘাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। চোখের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে তা চিরে ঘাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। (আওফ বলেন, বর্ণনাকারী আবু রাজা সম্ভবতঃ চিরে ফেলতো শব্দের পরিবর্তে কেটে ফেলতো শব্দ ব্যবহার করেছেন) এরপর আরেক পার্শ্বে গিয়ে অনুরূপভাবে চিরে ফেলছে যেভাবে আগের পার্শ্ব চিরে ফেলছিল। তিনি বললেন, এক পার্শ্বের কাজ শেষ করে আরেক পার্শ্বে যেতেই আগেরটি পূর্বের মত সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে বারবার করছে যেরূপ প্রথম করেছিল। তিনি বলেন, আমি বললামঃ সুবহানাল্লাহ্ এরা দু’জন কে? তাঁরা আমাকে বললেনঃ সামনে চলুন, সামনে চলুন।

আমরা চলতে থাকলাম এবং তন্দুরের মত একটি গর্তের কাছে গিয়ে পৌঁছলাম। বর্ণনাকারী বলেন আমার মনে হয় তিনি বলছিলেনঃ ওর মধ্যে থেকে শোরগোলের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তিনি বলেন, আমরা উঁকি দিয়ে দেখলাম ভিতরে একদল উলঙ্গ নারী ও পুরুষ। হঠাৎ নীচের দিক থেকে লেলিহান আগুন তাদের দিকে ধাবিত হয়ে আসছে। যখন আগুনের শিখা আসছে তখন তারা ভয়ংকরভাবে চিৎকার করে উঠছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা। তাঁরা দু’জন আমাকে বললেনঃ সামনে চলুন, সামনে চলুন।

আমরা অগ্রসর হলাম এবং একটি নদীর কিনারে উপনীত হলাম। আমার যদ্দুর মনে পড়ে তিনি বলেছিলেন, নদীর পানি ছিল রক্তের মত লাল। দেখলাম নদীর মধ্যে একজন মানুষ সাঁতার কাটছে। আরো দেখলাম নদীর কিনারে একজন লোক নিজের কাছে অনেকগুলো পাথর একত্রিত করে রেখেছে। নদীর মাঝের ঐ লোকটি সাঁতার কাটতে কাটতে যখন কিনারের লোকটির নিকট আসছে যে নিজের কাছে পাথর একত্রিত করে রেখেছে। তার কাছে এসে মুখ খুলে দিচ্ছে। আর ঐ লোকটি একটি পাথর তার মুখে নিক্ষেপ করছে। তখন সে আবার সাঁতার কাটতে কাটতে চলে যাচ্ছে। এভাবে বারবার সে ফেরত এসে মুখ ফাঁক করছে। আর ঐ লোকটি তার মুখে একটি পাথর নিক্ষেপ করছে। আমি সেই দু’জনকে বললামঃ এরা দু’জন কারা? তাঁরা বললেন, এগিয়ে চলুন, এগিয়ে চলুন।

আমরা সামনে এগিয়ে গেলাম এবং এমন একজন বিভৎস চেহারার লোক দেখতে পেলাম। যেরূপ বিভৎস চোহারার কোন লোক তুমি দেখে থাক। তার নিকট ছিল আগুন। সে আগুন প্রজ্জলিত করছে এবং তার চতুর্দিকে দৌড়াচ্ছে। আমি বললামঃ কে এ লোক? তাঁরা দু’জন বললেনঃ সামনে চলুন, সামনে চলুন।

আমরা চলতে চলতে একটি উদ্যানের মধ্যে এসে পড়লাম। যাতে ছিল লম্বা লম্বা গাছ-গাছালী। বসন্তের সবধরণের ফুলের সমাহার তাতে শোভা পাচ্ছিল। আর উদ্যানের মধ্যে একজন দীর্ঘকায় লোককে দেখলাম। তিনি এত উঁচু যে তাঁর মাথা প্রায় দেখতে পাচ্ছিলাম না। লোকটির চতুর্পার্শ্বে এত বালক ছিল যে এতগুলো বালক একসাথে আমি কখনো দেখিনি। তিনি বলেন, আমি বললামঃ এ লোকটি কে এবং এরা কারা? তাঁরা দু’জন বললেনঃ এগিয়ে যান, এগিয়ে যান।

আমরা এগিয়ে গেলাম এবং একটি বিশাল বৃক্ষের নিকট এসে পৌঁছলাম। এত বিশাল ও এরকম সুন্দর বৃক্ষ আমি কখনো দেখিনি। তিনি বলেন, তাঁরা আমাকে বললেন, এর উপর আরোহণ করুন। আমরা আরোহণ করে একটি শহরে প্রবেশ করলাম। যা ছিল সোনা-রূপার ইট দিয়ে তৈরী। আমরা শহরের দরজায় পৌঁছলাম। দরজা খোলার অনুমতি চাইলাম। আমাদের জন্য দরজা খুলে দেয়া হল। ভিতরে প্রবেশ করলাম। সেখানে আমরা কিছু লোককে দেখলাম। যাদের শরীরের অর্ধেক খুবই সৌন্দর্যমন্ডিত ছিল। যেরূপ তোমরা খুব সুন্দর কাউকে দেখে থাক। আর অর্ধেক ছিল খুবই কুৎসিত। যেরূপ খুব কুৎসিত তোমরা কাউকে দেখে থাক। তিনি বলেন, আমার সাথীদ্বয় তাদেরকে বললেন, তোমরা গিয়ে ঐ নদীতে নেমে পড়। তিনি বলেন, নদীটি প্রশস্ত দিকে বইছে। তার পানি যেন খাঁটি দুধের মত শুভ্র-সাদা। তারা নদীর মধ্যে গিয়ে সেখানে গোসল করলো। তারপর তারা আমাদের কাছে ফিরে এলে দেখলাম তাদের কুৎসতি অংশটি মিটে গিয়ে তারা অতিব সুন্দরে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁরা দু’জন আমাকে বললেন, এটা (এই শহরটি হচ্ছে) ’আ’দন’ নামক জান্নাত। এটা আপনার বাসস্থান। তিনি বলেন, আমি উপরের দিকে দৃষ্টিপাত করলাম। দেখলাম মেঘমালার ন্যায় শুভ্র একটি প্রাসাদ। তিনি বলেন, তাঁরা দু’জন আমাকে বললেন, এটাই আপনার বাসগৃহ। আমি তাঁদেরকে বললামঃ আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে বরকত দিন। আমাকে ছেড়ে দাও আমি তাতে প্রবেশ করি। তাঁরা বললেন, এখন নয়; তবে আপনি অবশ্যই তাতে প্রবেশ করবেন। তিনি বলেন, আমি তাঁদেরকে বললাম, সারারাত ধরে আমি অনেক আশ্চর্য বিষয় দেখেছি। এগুলোর তাৎপর্য কি?

তাঁরা দু’জন বললেনঃ অবশ্যই আমরা সে সম্পর্কে আপনাকে জানাব।

প্রথম যে ব্যক্তির নিকট আপনি এসেছিলেন যার মাথা পাথর দিয়ে থেতলে দেয়া হচ্ছিল সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে কুরআন মুখস্ত করেছিল, অতঃপর (তার উপর আমল না করে) তা প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং ফরয নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকতো।

আর যে লোকটির চোয়াল কাঁধ পর্যন্ত, নাককে কাঁধ পর্যন্ত এবং চোখকে কাঁধ পর্যন্ত ফেড়ে ফেলা হচ্ছিল, সে হচ্ছে এমন লোক যে সকাল সকাল নিজ গৃহ থেকে বের হত এবং চতুর্দিকে মিথ্যার বেশাতী করে বেড়াতো।

আর যে সমস্ত উলঙ্গ নারী-পুরুষকে তন্দুরের মধ্যে দেখেছেন তারা হচ্ছে যেনাকারী পুরুষ ও নারী।

যে লোকটিকে নদীতে সাঁতারাতে দেখেছেন এবং তাকে পাথরের লোকমা খাইয়ে দেয়া হচ্ছে, সে হচ্ছে সুদখোর।

কুৎসিত আকৃতির যে মানুষটিকে আগুন জ্বালাতে এবং তার চারদিকে দৌড়াতে দেখেছেন, তিনি হচ্ছেন মালেক ফেরেশতা জাহান্নামের দারোগা।

আর উদ্যানের মধ্যে যে দীর্ঘকায় লোকটিকে দেখেছেন তিনি হচ্ছেন ইবরাহীম (আঃ)। তাঁর চতুর্পার্শ্বে যে বালকদের দেখেছেন তারা হচ্ছে প্রত্যেক সেই বালক যারা ফিৎরাতের (স্বভাব ধর্ম ইসলামের) উপর মৃত্যু বরণ করেছে।

মুসলমানদের মধ্যে কোন ব্যক্তি প্রশ্ন করলঃ হে আল্লাহর রাসূল! মুশরিকদের বাচ্চাদের কি পরিণতি হবে? রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এবং মুশরিকদের বাচ্চারাও সেখানে।

আর যে সমস্ত মানুষের অর্ধেকাংশ অত্যন্ত সুন্দর ও অন্য অর্ধেক অত্যন্ত কুৎসিত তারা এমন লোক যারা সৎ আমলের সাথে অসৎ আমল মিশ্রিত করেছিল। আল্লাহ্‌ তাদের ত্রুটি সমূহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী ১৩৮৬)

আবু মুহাম্মাদ ইবনে হাযম [মুহাল্লা] গ্রন্থে বলেনঃ ওমার, আবদুর রহমান বিন আওফ, মুআ’য বিন জাবাল, আবু হুরায়রা প্রমুখ সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে প্রমাণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ফরয নামায পরিত্যাগ করবে এমনকি তার সময়ও পার হয়ে যাবে, তবে সে কাফের মুরতাদ।

হাফেয আবুদল আযীম বলেনঃ ’একদল সাহাবী এবং তাঁদের পর একদল বিদ্বান মত প্রকাশ করেছেন যে, ইচ্ছাকৃতভাবে নামায পরিত্যাগকারী কাফের- এমনকি নামাযের সকল সময় শেষ হয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ওমার বিন খাত্তাব, আবদুল্লাহ বিন মাসউদ, আবদুল্লাহ বিন আব্বাস, মুআ’য বিন জাবাল, জাবের বিন আবদুল্লাহ ও আবু দারদা (রাঃ)। সাহাবী ছাড়া অন্যদের মধ্যে হচ্ছেনঃ ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, ইসহাক বিন রাহুওয়াই, আবদুল্লাহ বিন মুবারক, নাখাঈ, হাকাম বিন উতাইবা, আইয়্যুব সুখতিয়াণী, আবু দাউদ তায়ালেসী, আবু বকর ইবনে আবী শায়বা, যুহাইর বিন হারব প্রমূখ (রহঃ)।[1]

الترهيب من ترك الصلاة تعمدا وإخراجها عن وقتها تهاونا

(صحيح) وَعَنْ سَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ ، قَالَ : كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا يَقُولُ لأَصْحَابِهِ : هَلْ رَأَى أَحَدٌ مِنْكُمْ رُؤْيَا ، فَيَقُصُّ عَلَيْهِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُصَّ ، وإنه قَالَ لَنَا ذَاتَ غَدَاةٍ : إنَّهُ أَتَانِي اللَّيْلَةَ اثْنَانِ، وَإِنَّهُمَا ابْتَعَثَانِي ، وَإِنَّهُمَا قَالَا لِيَ: انْطَلِقْ، وَإِنِّي انْطَلَقْت مَعَهُمَا ، وَإِنَّا أَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُضْطَجِعٍ وَإِذَا آخَرُ قَائِمٌ عَلَيْهِ بِصَخْرَةٍ ، وَإِذَا هُوَ يَهْوِي بِالصَّخْرَةِ لِرَأْسِهِ ، فَيَثْلَغُ رَأْسَهُ فَيَتَدَهْدَهُ الْحَجَرُ فَيَأْخُذُهُ ، فَلَا يَرْجِعُ إلَيْهِ حَتَّى يَصِحَّ رَأْسُهُ كَمَا كَانَ ، ثُمَّ يَعُودُ عَلَيْهِ فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ الْمَرَّةِ الأُولَى ، قَالَ : قُلْتُ: سُبْحَانَ اللهِ مَا هَذَا فَقَالاَ لِي : انْطَلِقْ. انْطَلِقْ
فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُسْتَلْقٍ قَفَاهُ، وَإِذَا آخَرُ قَائِمٌ عَلَيْهِ بِكَلُّوبٍ مِنْ حَدِيدٍ، وَإِذَا هُوَ يَأْتِي أَحَدُ شِقَّيْ وَجْهِهِ، فَيُشَرْشِرُ شِدْقَهُ إِلَى قَفَاهُ، وَمَنْخِرَهُ إِلَى قَفَاهُ، وَعَيْنَهُ إِلَى قَفَاهُ، قَالَ: ثُمَّ يَتَحَوَّلُ إِلَى الْجَانِبِ الْآخَرِ فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ بِالْجَانِبِ الْأَوَّلِ، فَمَا يَفْرَغُ مِنْ ذَلِكَ الْجَانِبِ حَتَّى يَصِحَّ ذلك الجانب كَمَا كَانَ، ثُمَّ يَعُودُ عليه فَيَفْعَلُ مِثْلَ مَا فَعَلَ الْمَرَّةَ الْأُولَى "، قَالَ: قُلْتُ: " سُبْحَانَ اللهِ مَا هَذَانِ ؟ قَالَا لِي: انْطَلِقْ انْطَلِقْ فَانْطَلَقْنَا، فَأَتَيْنَا عَلَى مِثْلِ التَّنُّورِ قَالَ: فَأَحْسَبُ أَنَّهُ كان يقول : فَإِذَا فِيهِ لَغَطٌ وَأَصْوَاتٌ، قَالَ: " فَاطَّلَعْناَ
فيه فَإِذَا فِيهِ رِجَالٌ وَنِسَاءٌ عُرَاةٌ، فَإِذَا هُمْ يَأْتِيهِمْ لَهِيبٌ مِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ، فَإِذَا أَتَاهُمْ ذَلِكَ اللهَبُ ضَوْضَوْا "، قَالَ: قُلْتُ: " مَا هَؤُلَاءِ ؟ قَالَا لِي: انْطَلِقْ انْطَلِقْ، قال فَانْطَلَقْتُ فَأَتَيْنَا عَلَى نَهَرٍ، حَسِبْتُ أَنَّهُ كان يقول أَحْمَرَ مِثْلِ الدَّمِ، وَإِذَا فِي النَّهَرِ رَجُلٌ سَابح، يَسْبَحُ وَإِذَا عَلَى شَاطِّ النَّهَرِ رَجُلٌ قَدْ جَمَعَ عِنْدَهُ حِجَارَةً كَثِيرَةً ، وَإِذَا ذَلِكَ السَّابِحُ يَسْبَحُ مَا سَبَحَ ، ثُمَّ يَأْتِي ذَلِكَ الَّذِي قَدْ جَمَعَ عِنْدَهُ الْحِجَارَةَ فَيَفْغَرُ فَاهُ فَيُلْقِمُهُ حَجَرًا فينطلق فيسبح ثم يرجع إليه كلما رجع إليه فغر فاه فألقمه حجرا قلت لهما مَا هَذَا أن؟ قَالاَ لِي : انْطَلِقَ انْطَلِقْ. فَانْطَلَقْنَا ، فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ كَرِيهِ الْمَرْآةِ كَأَكْرَهِ مَا أَنْتَ رَاءٍ رَجُلاً مَرْآةً ، وَإِذَا عِنْدَ نَارٍ يَحشُهَا وَيَسْعَى حَوْلَهَا ، قَالَ : قُلْتُ لَهُمَا : مَا هَذَا ؟قاَلَ: قَالاَ لِي : انْطَلِقَ انْطَلِقْ. فَانْطَلَقْنَا، فَأَتَيْنَا عَلَى رَوْضَةٍ مُعْتَمَّةٍ، فِيهَا مِنْ كُلِّ نَوْرِ الرَّبِيعِ، وَإِذَا بَيْنَ ظَهْرَيِ الرَّوْضَةِ رَجُلٌ طُوِيلٌ لاَ أَكَادُ أَرَى رَأْسَهُ طُولاً فِي السَّمَاءِ، وَإِذَا حَوْلَ الرَّجُلِ مِنْ أَكْثَرِ وِلْدَانٍ رَأَيْتُهُمْ [قَطُّ] قَالَ: قُلْتُ: مَا هذَا مَا هؤُلاَءِ قَالاَ لِي: انْطَلِقْ، انْطَلِقْ .
فَانْطَلَقْنَا فأتينا على دوحة عظيمة لم أر دوحة قط أعظم ولا أحسن منها، قال قَالاَ لِي: ارْقَ فِيهَا فَارْتَقَيْنَا إِلَى مَدِينَةٍ مَبْنِيَّةٍ، بِلَبِنِ ذَهَبٍ وَلَبِنِ فِضَّةٍ، فَأَتَيْنَا بَابَ الْمَدِينَةِ، فَاسْتَفْتَحْنَا، فَفُتِحَ لَنَا، فَدَخَلْنَاهَا، فَتَلَقَّانَا رِجَالٌ، شَطْرٌ مِنْ خَلْقِهِمْ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ، وَشَطْرٌ كَأَقْبَحِ مَا أَنْتَ رَاءٍ، قَالَ: قَالاَ لَهُمُ: اذهَبُوا فَقَعُوا فِي ذلِكَ النَّهَرِ، قَالَ: وَإِذَا نَهَرٌ مُعْتَرِضٌ يَجْرِي كَأَنَّ مَاءَهُ الْمَحْضُ فِي الْبَيَاضِ فَذَهَبُوا فَوَقَعُوا فِيهِ ثُمَّ رَجَعُوا إِلَيْنَا، قَد ذَهَبَ ذَلِكَ السُّوءُ عَنْهُمْ فَصَارُوا فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ قَالَ:
قَالاَ لِي: هذِهِ جَنَّةُ عَدْنٍ، وَهذَا مَنْزِلكَ قَالَ: فسَمَا بَصَرِي صُعُدًا، فَإِذَا قَصْرٌ مِثْلُ الرَّبَابَةِ الْبَيْضَاءِ قَالَ: قَالاَ لِي: هذَا مَنْزِلُكَ، قَالَ: قُلْتُ لَهُمَا: بَارَكَ اللهُ فِيكُمَا، ذَرَانِي فَأَدْخلَهُ قَالاَ: أَمَّا الآنَ فَلاَ وَأَنْتَ دَاخِلُهُ قَالَ:
قُلْتُ لَهُمَا: فَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ مَنْذُ اللَّيْلَةِ عَجَبًا فَمَا هذَا الَّذِي رَأَيْتُ قَالَ: قَالاَ لِي: أَمَا إِنّا سَنُخْبِرُكَ:
أَمَّا الرَّجُلُ الأَوَّلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يُثْلَغُ رَأْسُهُ بِالْحَجَرِ، فَإِنَّهُ الرَّجُلُ يَأْخُذُ الْقُرْآنَ فَيَرْفِضُهُ، وَيَنَامُ عَنِ الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ
وَأَمَّا الرَّجُلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يُشَرْشَرُ شِدْقُهُ إِلَى قَفَاهُ، وَمَنْخِرُهُ إِلَى قَفَاهُ، وَعَيْنُهُ إِلَى قَفَاهُ، فَإِنَّهُ الرَّجُلُ يَغْدُو مِنْ بَيْتِهِ فَيَكْذِبُ الْكَذْبَةَ تَبْلُغُ الآفَاقَ
وَأَمَّا الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ الْعُرَاةُ، الَّذِينَ فِي مِثْلِ بِنَاءِ التَّنُّورِ، فَإِنَّهُمُ الزُّنَاةُ وَالزَّوَانِي.
وَأَمَّا الرَّجُلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يَسْبَحُ فِي النَّهَرِ وَيُلْقَمُ الْحَجَرَ، فَإِنَّهُ آكِلُ الرِّبَا.
وَأَمَّا الرَّجُلُ الْكَرِيهُ الْمَرْآةِ، الَّذِي عِنْدَ النَّارِ، يَحُشُّهَا وَيَسْعى حَوْلَهَا، فَإِنَّهُ مَالِكٌ، خَازِنُ جَهَنَّمَ .
وَأَمَّا الرَّجُلُ الطَّوِيلُ الَّذِي فِي الرَّوْضَةِ فَإِنَّهُ إِبْرَاهِيمُ .
وَأَمَّا الْوِلْدَانُ الَّذِينَ حَوْلَهُ فَكُلُّ مَوْلُودٍ مَاتَ عَلَى الْفِطْرَةِ"
قَالَ: فَقَالَ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ: يَا رَسُولَ اللهِ وَأَوْلاَدُ الْمُشْرِكِينَ فَقاَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :
"وَأَوْلاَدُ الْمُشْرِكِينَ".
وَأَمَّا الْقَوْمُ الَّذِينَ كَانُوا، شَطْرٌ مِنْهُمْ حَسَنًا وَشَطْرٌ مِنْهُمْ قَبِيحًا، فَإِنَّهُمْ قَوْمٌ خَلَطُوا عَمَلاً صَالِحًا وَآخَرَ سَيِّئًا، تَجَاوَزَ اللهُ عَنْهُمْ".
. رواه البخاري

صحيح وعن سمرة بن جندب قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم مما يقول لاصحابه هل راى احد منكم رويا فيقص عليه ما شاء الله ان يقص وانه قال لنا ذات غداة انه اتاني الليلة اثنان وانهما ابتعثاني وانهما قالا لي انطلق واني انطلقت معهما وانا اتينا على رجل مضطجع واذا اخر قاىم عليه بصخرة واذا هو يهوي بالصخرة لراسه فيثلغ راسه فيتدهده الحجر فياخذه فلا يرجع اليه حتى يصح راسه كما كان ثم يعود عليه فيفعل به مثل المرة الاولى قال قلت سبحان الله ما هذا فقالا لي انطلق انطلقفاتينا على رجل مستلق قفاه واذا اخر قاىم عليه بكلوب من حديد واذا هو ياتي احد شقي وجهه فيشرشر شدقه الى قفاه ومنخره الى قفاه وعينه الى قفاه قال ثم يتحول الى الجانب الاخر فيفعل به مثل ما فعل بالجانب الاول فما يفرغ من ذلك الجانب حتى يصح ذلك الجانب كما كان ثم يعود عليه فيفعل مثل ما فعل المرة الاولى قال قلت سبحان الله ما هذان قالا لي انطلق انطلق فانطلقنا فاتينا على مثل التنور قال فاحسب انه كان يقول فاذا فيه لغط واصوات قال فاطلعنا فيه فاذا فيه رجال ونساء عراة فاذا هم ياتيهم لهيب من اسفل منهم فاذا اتاهم ذلك اللهب ضوضوا قال قلت ما هولاء قالا لي انطلق انطلق قال فانطلقت فاتينا على نهر حسبت انه كان يقول احمر مثل الدم واذا في النهر رجل سابح يسبح واذا على شاط النهر رجل قد جمع عنده حجارة كثيرة واذا ذلك السابح يسبح ما سبح ثم ياتي ذلك الذي قد جمع عنده الحجارة فيفغر فاه فيلقمه حجرا فينطلق فيسبح ثم يرجع اليه كلما رجع اليه فغر فاه فالقمه حجرا قلت لهما ما هذا ان قالا لي انطلق انطلق فانطلقنا فاتينا على رجل كريه المراة كاكره ما انت راء رجلا مراة واذا عند نار يحشها ويسعى حولها قال قلت لهما ما هذا قال قالا لي انطلق انطلق فانطلقنا فاتينا على روضة معتمة فيها من كل نور الربيع واذا بين ظهري الروضة رجل طويل لا اكاد ارى راسه طولا في السماء واذا حول الرجل من اكثر ولدان رايتهم قط قال قلت ما هذا ما هولاء قالا لي انطلق انطلق فانطلقنا فاتينا على دوحة عظيمة لم ار دوحة قط اعظم ولا احسن منها قال قالا لي ارق فيها فارتقينا الى مدينة مبنية بلبن ذهب ولبن فضة فاتينا باب المدينة فاستفتحنا ففتح لنا فدخلناها فتلقانا رجال شطر من خلقهم كاحسن ما انت راء وشطر كاقبح ما انت راء قال قالا لهم اذهبوا فقعوا في ذلك النهر قال واذا نهر معترض يجري كان ماءه المحض في البياض فذهبوا فوقعوا فيه ثم رجعوا الينا قد ذهب ذلك السوء عنهم فصاروا في احسن صورة قال قالا لي هذه جنة عدن وهذا منزلك قال فسما بصري صعدا فاذا قصر مثل الربابة البيضاء قال قالا لي هذا منزلك قال قلت لهما بارك الله فيكما ذراني فادخله قالا اما الان فلا وانت داخله قال قلت لهما فاني قد رايت منذ الليلة عجبا فما هذا الذي رايت قال قالا لي اما انا سنخبركاما الرجل الاول الذي اتيت عليه يثلغ راسه بالحجر فانه الرجل ياخذ القران فيرفضه وينام عن الصلاة المكتوبةواما الرجل الذي اتيت عليه يشرشر شدقه الى قفاه ومنخره الى قفاه وعينه الى قفاه فانه الرجل يغدو من بيته فيكذب الكذبة تبلغ الافاق واما الرجال والنساء العراة الذين في مثل بناء التنور فانهم الزناة والزواني واما الرجل الذي اتيت عليه يسبح في النهر ويلقم الحجر فانه اكل الربا واما الرجل الكريه المراة الذي عند النار يحشها ويسعى حولها فانه مالك خازن جهنم واما الرجل الطويل الذي في الروضة فانه ابراهيم واما الولدان الذين حوله فكل مولود مات على الفطرة قال فقال بعض المسلمين يا رسول الله واولاد المشركين فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم واولاد المشركين واما القوم الذين كانوا شطر منهم حسنا وشطر منهم قبيحا فانهم قوم خلطوا عملا صالحا واخر سيىا تجاوز الله عنهم رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)