পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪৪. (হাসান লি গাইরিহী) ইবনে আবু আউফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে তারাই উত্তম যারা আল্লাহর যিকির করার জন্য সূর্য, চন্দ্র ও তারকার প্রতি খেয়াল রাখে।’’[1]
(ত্বাবরানী, বাযযার ও হাকেম ১/৫১ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। হাদীছের বাক্য ত্বাবরানী থেকে চয়ন করা। হাকেম বলেন, হাদীছটির সনদ সহীহ।)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح لغيره) وَعَنْ ابن أبي أوفى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: إن خيار عباد الله الذين يراعون الشمس والقمر والنجوم لذكر الله. رواه الطبراني واللفظ له والبزار والحاكم وقال صحيح الإسناد
শায়খ আলবানী বলেনঃ কিন্তু বর্তমান যুগের অধিকাংশ মুআয্যিন হাদীছে উল্লেখিত উক্ত প্রশংসার হকদার হবে না। কেননা তারা সূর্য, চন্দ্রের প্রতি খেয়াল করে আযান দেন না। তারা সরকারী ভাবে নির্ধারিত সময় অনুসরণ করেন। যার ভিত্তি হল জ্যোতিষ শাস্ত্রের হিসাব-নিকাশের উপর। অথচ এই হিসাব শরঈ হিসাব থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এমনকি কোন কোন দেশে ফজরের আযান সময়ের প্রায় আধা ঘন্টা আগে দেয়া হয়। আবার কোন কোন দেশে মাগরিবের আযানের ক্ষেত্রে প্রায় দশ মিনিট দেরী করা হয়। এটা সুন্নাতের খেলাফ। আর এসব কথা বলতে গেলে আহলে সুন্নাত ও সালাফীদের সাথে শুরু হয় তাদের শত্রুতা।