৫৯৭৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - অধ্যায় [রাসূলুল্লাহ (সা.) কোন প্রকার আর্থিক ওয়াসিয়্যাত করেননি- মর্মে আলোচনা]

৫৯৭৫-[৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার ওয়ারিসগণ দীনার ভাগ-বণ্টন করবে না। আমি যা রেখে যাব, স্ত্রীদের খোরপোশ এবং আমার কর্মচারীদের পারিশ্রমিক দেয়ার পর তা (মুসলিমদের জন্য) সাদাকা্। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (2776) و مسلم (55 / 1760)، (4583) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يقتسم ورثتي دينارا ما تركت بعد نفقة نساىي ومونة عاملي فهو صدقة متفق عليهمتفق علیہ رواہ البخاری 2776 و مسلم 55 1760 4583 ۔متفق عليه

ব্যাখ্যা: (لَا نُورَثُ مَاتَرَكْنَاهُ صَدَقَةٌ) অর্থাৎ আমরা নবীগণ কোন সম্পদের উত্তরাধিকারী করে যাই না। কারণ আমাদের সকল সম্পদ ফকীরদের। আর আমরা সবাই ফকীর। আর সুফীদের নিকট ফকীরের শর্ত হলো তারা কোন কিছুর মালিক নয়। হয়তো তার সম্পদ আমানাত, নতুবা ওয়াক্‌ফ, নতুবা সদাকাহ স্বরূপ তাঁর মরার পর। আর হাদীসের সারাংশ হলো- ফকীর-মিসকীনদের অবস্থানুযায়ী তাদের মাঝে সকল সম্পদ দিয়ে যাওয়া। যেমন অন্য হাদীসে এসেছে- রাসূল (সা.) -এর ছেড়ে যাওয়া সম্পদ কেবল মুসলিম মিসকীনদের মাঝে উত্তরাধিকার হিসেবে বণ্টিত হবে। কথিত আছে যে, যাতে তাঁর মৃত্যুর পর তার কোন উত্তরসূরী তার ছেড়ে যাওয়া অংশের জন্য আনন্দিত না হয়। তবে হাসান বসরী (রহিমাহুল্লাহ) সাধারণ মাসআলায় বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেবল আমাদের নবীর জন্য খাস। কারণ মহান আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, (یَّرِثُنِیۡ وَ یَرِثُ مِنۡ اٰلِ یَعۡقُوۡبَ) “যে আমার উত্তরাধিকারী হবে আর উত্তরাধিকারী হবে ইয়াকূব পরিবারের”- (সূরা মারইয়াম ১৯: ৬)। তিনি বলেন, এটা হলো সম্পদের উত্তরাধিকারী নুবুওয়্যাতের উত্তরাধিকারী নন। নতুবা তিনি বলতেন না- (وَ اِنِّیۡ خِفۡتُ الۡمَوَالِیَ مِنۡ وَّرَآءِیۡ) “আমার পরে আমার স্বগোত্রীয়রা (কী করবে) সে সম্পর্কে আমি আশঙ্কাবোধ করছি”- (সূরাহ্ মারইয়াম ১৯: ৫)। তবে জমহুর ‘উলামাগণ তার বিপরীত মত পোষণ করেছেন, কারণ নাসায়ীর বর্ণনায় এসেছে- (أنامعشر الأ نبياءلانورث) “নিশ্চয় আমরা নবীরা কোন উত্তরাধিকারী করে যাই না।” আয়াত থেকে উদ্দেশ্য হলো- নুবুওয়্যাতের উত্তরাধিকারী সম্পদের নয়। বাজী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আহলুস্ সুন্নাহ এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, এ হুকুম সকল নবীর ক্ষেত্রে। ইবনু 'উলাইয়্যাহ্ বলেন, এ হুকুম কেবল আমাদের নবীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইমামিয়্যাহ্ বলেন, নিশ্চয় সকল নবী উত্তরাধিকারী করে যান এ কথা বলেছেন, সুয়ুত্বী (রহিমাহুল্লাহ)। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)