৫৯৬১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ওফাতের পর সাহাবীদের মক্কাহ্ হতে হিজরত করা সম্পর্কে

৫৯৬১-[৬] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) -এর রোগ যখন বৃদ্ধি পেল এবং তিনি বেহুঁশ হতে লাগলেন, তখন ফাতিমাহ (রাঃ) বললেন, আহা! কত কষ্ট পাচ্ছেন আমার আব্বাজান। এ কথা শুনে তিনি (সা.) বললেন, আজকের পর তোমার আব্বাজানের ওপর আর কোন কষ্ট নেই। অতঃপর যখন তিনি (সা.) মৃত্যুবরণ করলেন, তখন ফাতিমা (রাঃ) বলতে লাগলেন, ’ওগো আমার আব্বাজান! রব আপনাকে আহ্বান করেছেন এবং তাতে সাড়া দিয়ে আপনিও তাঁর সান্নিধ্যে চলে গেলেন। ওগো আমার আব্বাজান! জান্নাতুল ফিরদাওস আপনার স্থান। হায় আমার আব্বাজান! আপনার তিরোধানের খবর আমি জিবরীলকে শুনাচ্ছি।’ রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে যখন দাফন করা হলো, তখন ফাতিমা (রাঃ) বললেন, হে আনাস! তোমাদের অন্তর এটা কিভাবে সহ্য করল যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ওপর তোমরা মাটি ঢাললে। (বুখারী)

الفصل الاول (بَاب هِجْرَة أَصْحَابه صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من مَكَّة ووفاته)

وَعَن أنس قَالَ: لما ثقل النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ يَتَغَشَّاهُ الْكَرْبُ. فَقَالَتْ فَاطِمَةُ: وَاكَرْبَ آبَاهْ فَقَالَ لَهَا: «لَيْسَ عَلَى أَبِيكِ كَرْبٌ بَعْدَ الْيَوْمِ» . فَلَمَّا مَاتَ قَالَتْ: يَا أَبَتَاهُ أَجَابَ رَبًّا دَعَاهُ يَا أَبَتَاهُ مَنْ جَنَّةُ الْفِرْدَوْسِ مَأْوَاهُ يَا أَبَتَاهُ إِلَى جِبْرِيلَ نَنْعَاهُ. فَلَمَّا دُفِنَ قَالَتْ فَاطِمَةُ: يَا أَنَسُ أَطَابَتْ أَنْفُسُكُمْ أَنْ تَحْثُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التُّرَابَ؟ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

رواہ البخاری (4462) ۔
(صَحِيح)

وعن انس قال لما ثقل النبي صلى الله عليه وسلم جعل يتغشاه الكرب فقالت فاطمة واكرب اباه فقال لها ليس على ابيك كرب بعد اليوم فلما مات قالت يا ابتاه اجاب ربا دعاه يا ابتاه من جنة الفردوس ماواه يا ابتاه الى جبريل ننعاه فلما دفن قالت فاطمة يا انس اطابت انفسكم ان تحثوا على رسول الله صلى الله عليه وسلم التراب رواه البخاريرواہ البخاری 4462 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: (لَيْسَ عَلَى أَبِيكِ كَرْبٌ بَعْدَ الْيَوْمِ) “তোমার আব্বাজানের ওপর আজকের পর আর কোন কষ্ট নেই।” অর্থাৎ কষ্ট ছিল কঠিন ব্যথা ও খুব যন্ত্রণার কারণে। আর আজকের দিনের পর থেকে তা থাকবে না। কারণ কষ্ট ব্যথা মানুষের শরীরের সাথে সম্পর্কিত। আর আজকের পর থেকে সব গঠনগত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। আর মৃত্যুর পর রূহের কোন সমস্যা বা দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। তিরমিযী বৃদ্ধি করেছেন, তোমার পিতার কাছে এমন জিনিস পৌছেছে যার থেকে কিয়ামত পর্যন্ত কোন কেউ পালাতে পারে না।
আলোচ্য হাদীসটি থেকে বুঝা যায় যে, নবী (সা.) হায়াতুন্ নবী নন। বরং তাকে সাহাবীরা কবর দিয়েছিলেন এমতাবস্থায় যে, তিনি মৃত। তার দুনিয়ার জীবন শেষ হয়েছিল। তাইতো ফাতিমাহ্ (রাঃ) বলেন, হে আনাস! তোমরা কিভাবে আমার পিতার বুকের উপর মাটি চাপাতে পেরেছ! (সম্পাদকীয়)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)