৫৯২৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯২৭-[৬০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন একটি বাঘ বকরির রাখালের নিকট এসে (বকরির) পাল হতে একটি বকরি ধরে নিয়ে গেল। এদিকে রাখাল তার অনুসন্ধানে বের হলো, শেষ পর্যন্ত সে বাঘের কবল হতে বকরিটিকে ছিনিয়ে নিল। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর বাঘটি একটি টিলার উপর উঠল এবং লেজ গুটিয়ে বলতে লাগল, আমি খাদ্যের অনুসন্ধানে বের হয়েছিলাম, আর আল্লাহ তা’আলাও আমাকে রিযক দান করেছিলেন, অতঃপর (হে রাখাল!) তুমি আমার কাছ থেকে তা ছিনিয়ে নিয়েছ। তা শুনে (রাখাল) লোকটি বলে উঠল, আল্লাহর শপথ আজকের মতো এমন আশ্চর্যের ব্যাপার আমি আর কখনো দেখিনি। বাঘে (মানুষের ন্যায়) কথা বলছে। তখন বাঘটি বলে উঠল! এটা অপেক্ষা অধিকতর আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এক লোক দু’টি পাথরের মাঝে খেজুর বাগানে অবস্থান করছে। সে তোমাদেরকে অতীতে যা হয়ে গেছে তা এবং পরবর্তীতে যা কিছু হবে তার সংবাদ দেয়। বর্ণনাকারী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] বলেন, উক্ত (রাখাল) লোকটি ছিল ইয়াহুদী। সে নবী (সা.) -এর কাছে এসে উক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করে সাথে সাথে ইসলাম গ্রহণ করল। তার কথা শুনে নবী (সা.) বললেন, লোকটি সত্য কথাই বলেছেন।
অতঃপর নবী (সা.) বললেন, এটা এবং এর মতো আরো অন্যান্য বহু নিদর্শন কিয়ামতের আগে সংঘটিত হবে। তিনি আরো বলেছেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, এমন একদিন আসবে, কোন লোক তার ঘর হতে বাইরে কোথাও যাবে এবং তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবার (স্ত্রী) কি অপকর্ম করেছে, সে ফিরে আসতেই তার (পায়ের) জুতা ও (হাতের) লাঠি তাকে বলে দিবে। (শারহুস্ সুন্নাহ্)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)

وَعَن أبي هريرةَ قَالَ جَاءَ ذِئْبٌ إِلَى رَاعِي غَنَمٍ فَأَخَذَ مِنْهَا شَاةً فَطَلَبَهُ الرَّاعِي حَتَّى انْتَزَعَهَا مِنْهُ قَالَ فَصَعِدَ الذئبُ على تل فأقعى واستذفر فَقَالَ عَمَدت إِلَى رزق رزقنيه الله عز وَجل أخذتُه ثمَّ انتزعتَه مِنِّي فَقَالَ الرَّجُلُ تَاللَّهِ إِنْ رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ ذئبا يَتَكَلَّمُ فَقَالَ الذِّئْبُ أَعْجَبُ مِنْ هَذَا رَجُلٌ فِي النَّخَلَاتِ بَيْنَ الْحَرَّتَيْنِ يُخْبِرُكُمْ بِمَا مَضَى وَبِمَا هُوَ كَائِن بعدكم وَكَانَ الرجل يَهُودِيّا فجَاء الرجل إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأسلم وَخَبره فَصَدَّقَهُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهَا أَمارَة من أَمَارَاتٌ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ قَدْ أَوْشَكَ الرَّجُلُ أَن يخرج فَلَا يرجع حَتَّى تحدثه نعلاه وَسَوْطه مَا أَحْدَثَ أَهْلُهُ بَعْدَهُ . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السُّنَّةِ

صحیح ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (15 / 87 ح 4282) [و احمد (2 / 306 ح 8049 و سندہ حسن)] * ولہ شاھد عند احمد (3 / 83 ۔ 84) و صححہ الحاکم (4 / 467 ۔ 468) و وافقہ الذھبی و اصلہ فی سنن الترمذی (2181 وھو حدیث صحیح) ۔
(صَحِيح)

وعن ابي هريرة قال جاء ذىب الى راعي غنم فاخذ منها شاة فطلبه الراعي حتى انتزعها منه قال فصعد الذىب على تل فاقعى واستذفر فقال عمدت الى رزق رزقنيه الله عز وجل اخذته ثم انتزعته مني فقال الرجل تالله ان رايت كاليوم ذىبا يتكلم فقال الذىب اعجب من هذا رجل في النخلات بين الحرتين يخبركم بما مضى وبما هو كاىن بعدكم وكان الرجل يهوديا فجاء الرجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فاسلم وخبره فصدقه النبي صلى الله عليه وسلم ثم قال النبي صلى الله عليه وسلم انها امارة من امارات بين يدي الساعة قد اوشك الرجل ان يخرج فلا يرجع حتى تحدثه نعلاه وسوطه ما احدث اهله بعده رواه في شرح السنةصحیح رواہ البغوی فی شرح السنۃ 15 87 ح 4282 و احمد 2 306 ح 8049 و سندہ حسن ولہ شاھد عند احمد 3 83 ۔ 84 و صححہ الحاکم 4 467 ۔ 468 و وافقہ الذھبی و اصلہ فی سنن الترمذی 2181 وھو حدیث صحیح ۔صحيح

ব্যাখ্যা: একটি বাঘ একটি রাখালের ছাগলের পালের কাছে এসে সেখান থেকে একটি ছাগলকে ধরল। তারপর ছাগলের পালের রাখাল বাঘের কাছ থেকে সে ছাগলকে ছাড়িয়ে নিল। তখন বাঘটি সেখান থেকে সরে গিয়ে একটি উঁচু টিলাতে উঠে নিতম্বের ওপর ভর করে দু’হাত বিছিয়ে বসে বলল, আল্লাহ আমার জন্য যে খাবার বৈধ করেছেন তা থেকে আমি ধরেছি। তারপর তুমি আমার থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিলে। তখন তার কথা শুনে রাখাল বলল। আল্লাহর শপথ, আজকের মতো এরূপ আশ্চর্যের ঘটনা কক্ষনো দেখিনি। তুরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, সেই রাখালটির নাম ছিল হাব্বার ইবনু আওস আল খুযাই। আর তাকে বাঘের সাথে কথা-বার্তা বলা ব্যক্তি বলা হয়। লোকটি বাঘের কথা-বার্তা শুনে খুবই আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলল, আমি আজকের দিনের মতো কোন দিন দেখিনি। তাকে নবী (সা.) সম্পর্কে সংবাদ দেয়া হলে সে নবী (সা.) -এর কাছে আসলো। সে ছিল একজন ইয়াহুদী লোক। নবী (সা.) তাকে এ সংবাদ সত্যায়ন করলে সে ইসলাম গ্রহণ করে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)