৫৮১২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা

৫৮১২-[১২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার [রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে] প্রস্তাব করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! কাফির মুশরিকদের ওপর অভিসম্পাত করুন। উত্তরে তিনি (সা.) বললেন, আমাকে অভিসম্পাতকারী হিসেবে পাঠানো হয়নি, বরং আমাকে রহমতস্বরূপ পাঠানো হয়েছে। (মুসলিম)

الفصل الاول (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ عَلَى الْمُشْرِكِينَ. قَالَ: «إِنِّي لَمْ أُبْعَثْ لَعَّانًا وَإِنَّمَا بُعِثْتُ رَحْمَةً» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

رواہ مسلم (87 / 2599)، (6613) ۔
(صَحِيح)

وعن ابي هريرة قال قيل يا رسول الله ادع على المشركين قال اني لم ابعث لعانا وانما بعثت رحمة رواه مسلمرواہ مسلم 87 2599 6613 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: হাদীসটিতে বলা হয়েছে আমাকে অভিশাপকারী হিসাবে পাঠানো হয়নি। অর্থাৎ যদিও তা কোন নির্দিষ্ট কাফির দলের বিরুদ্ধেও হোক না কেন। মহান আল্লাহ বলেন, (لَیۡسَ لَکَ مِنَ الۡاَمۡرِ شَیۡءٌ اَوۡ یَتُوۡبَ عَلَیۡهِمۡ اَوۡ یُعَذِّبَهُمۡ)- “এ বিষয়ে তোমার কোন অধিকার নেই- হয়তো তিনি তাদেরকে ক্ষমা করবেন অথবা তিনি তাদেরকে ‘আযাব দেবেন”- (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩: ১২৮)। আরো বলা হয়েছে, “আমাকে রহমতস্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের জন্য সাধারণভাবে আর মু'মিনদের জন্য বিশেষভাবে। তাকে দয়ালু গুণে গুণান্বিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন- (وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ) “আর আমরা আপনাকে পৃথিবীবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছি”- (সূরাহ আল আম্বিয়া- ২১: ১০৭)।
ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তিনি মু'মিনদের জন্য বাহ্যিকভাবে রহমতস্বরূপ। আর কাফিরদের জন্য দুনিয়াতে শাস্তি বন্ধের কারণস্বরূপ। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, “আপনি তাদের মাঝে থাকাবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করবেন না”- (সূরাহ্ আল আনফাল ৮: ৩৩)। বরং নবী (সা.) -এর আগমনের বরকতে কিয়ামত পর্যন্ত কোন ‘আযাবে উম্মত সমূলে ধ্বংস হবে না। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি প্রেরিত হয়েছি মানুষকে আল্লাহর ও তাঁর রহমতের নিকটবর্তী করার জন্য। তাদেরকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য আমি প্রেরিত হয়নি। অভিশাপকেই তো নিষেধ করা হলো তাহলে অধিক অভিশাপ করবেন কিভাবে? (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)