৫৬০৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা

৫৬০৬-[৪১] ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এই বলেছেন: সকল মানুষ জাহান্নামে উপস্থিত হবে এবং আমলের অনুপাতে মুক্তি পাবে। তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম লোক সকলের আগে বিদ্যুতের গতিতে কেউ দ্রুতগামী ঘোড়ার গতিতে, কেউ উটের গতিতে, কেউ মানুষের দৌড়ের গতিতে, অতঃপর পায়ে হাঁটার গতিতে। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب الْحَوْض والشفاعة )

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَرِدُ النَّاسُ النَّارَ ثمَّ يصدون مِنْهَا بِأَعْمَالِهِمْ فَأَوَّلُهُمْ كَلَمْحِ الْبَرْقِ ثُمَّ كَالرِّيحِ ثُمَّ كَحُضْرِ الْفَرَسِ ثُمَّ كَالرَّاكِبِ فِي رَحْلِهِ ثُمَّ كَشَدِّ الرَّجُلِ ثُمَّ كَمَشْيِهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ

اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3159 وقال : حسن) و الدارمی (2 / 329 ح 2813) ۔
(صَحِيح)

وعن ابن مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يرد الناس النار ثم يصدون منها باعمالهم فاولهم كلمح البرق ثم كالريح ثم كحضر الفرس ثم كالراكب في رحله ثم كشد الرجل ثم كمشيه رواه الترمذي والدارمياسنادہ حسن رواہ الترمذی 3159 وقال حسن و الدارمی 2 329 ح 2813 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, সকল মানুষ (পুলসিরাত অতিক্রমের সময়) জাহান্নামে উপস্থিত হবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনুল মাজীদে বলেছেন, (وَ اِنۡ مِّنۡکُمۡ اِلَّا وَارِدُهَا...) “তোমাদের প্রত্যেককেই পুলসিরাত অতিক্রম করতে হবে"- (সূরা মারইয়াম ১৯: ৭১)। উক্ত আয়াতের মাঝে (الْوُرُودُ) শব্দের অর্থ নিয়ে সালাফগণ মতবিরোধ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, এর দ্বারা হলো (الرَّخُولُ) (প্রবেশ করা) তারা এর সমর্থনে জাবির (রাঃ) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত হাদীসকে নিয়ে এসেছেন যে, “রাসূল (সা.) বলেন, (الْوُرُودُ) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো (الرَّخُولُ) ভালো ও খারাপ সকলেই তাতে প্রবেশ করবে কিন্তু মু'মিনদের জন্য তা শীতল ও আরামদায়ক হবে। আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, (الْوُرُودُ) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো (اَلْمُمَرُّ عَلَيْهَا) “প্রত্যেকেই পুলসিরাত অতিক্রম করতে হবে”। মুহাদ্দিসগণ বলেন, প্রত্যেকের ‘আমল অনুপাতে পুরসিরাত অতিক্রমের ধরণ বিভিন্ন প্রকারের হবে। যার নেক আমল তুলনামূলক ভালো, তার গতিবেগও হবে তুলনামূলক দ্রুত। পক্ষান্তরে যার আমল তুলনামূলক মন্দ, তার গতিবেগও হবে ধীর। হাদীসে বলা হয়েছে, কেউ বিদ্যুতের গতিতে অতিক্রম করবে আবার কেউ প্রচণ্ড বাতাসের বেগে, কেউ দ্রুতগামী ঘোড়ার গতিতে; কেউ উটের গতিতে, কেউ মানুষের দৌড়ের গতিতে, কেউ পায়ে হাঁটা ব্যক্তির গতিতে অতিক্রম করবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা, ৩১৫৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)