৫৫৮৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা

৫৫৮৩-[১৮] (সহীহ মুসলিম-এর) অপর এক বর্ণনায় আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর উক্তি, “হে আদম সন্তান! কবে নাগাদ আমি তোমার চাহিদা থেকে রেহাই পাব? তা থেকে শেষ পর্যন্ত হাদীসের অংশটি তিনি বর্ণনা করেননি। অবশ্য এ কথাগুলো বেশি আছে যে, আল্লাহ তা’আলা তাকে স্মরণ করিয়ে বলবেন, তুমি আমার কাছে এটা চাও, ওটা চাও। সবশেষে যখন তার আকাঙ্ক্ষা ফুরিয়ে যাবে, তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, যাও, তোমার চাহিদানুযায়ী যা তা তো তোমাকে দিলামই এবং অনুরূপ আরো দশগুণ প্রদান করলাম। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সে জান্নাতে তার ঘরে প্রবেশ করবে এবং সাথে প্রবেশ করবে হুরুল’ঈন (ডাগর নয়নাবিশিষ্ট) থেকে তার দু’জন স্ত্রী। তখন হূরদ্বয় বলবে, সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে আমাদের জন্য এবং আমাদেরকে তোমার জন্য জীবিত রেখেছেন। তিনি (সা.) এটাও বলেছেন, তখন লোকটি বলবে, আমাকে যা কিছু দেয়া হয়েছে, তা আর কাউকেও দেয়া হয়নি।

الفصل الاول (بَاب الْحَوْض والشفاعة )

وَفِي رِوَايَة لَهُ عَن أبي سعيدٍ نَحْوَهُ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ فَيَقُولُ: يَا ابْنَ آدَمَ مَا يَصْرِينِي مِنْكَ؟ إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ وَزَادَ فِيهِ: وَيَذْكُرُهُ اللَّهُ: سَلْ كَذَا وَكَذَا حَتَّى إِذَا انْقَطَعَتْ بِهِ الْأَمَانِيُّ قَالَ اللَّهُ: هُوَ لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ قَالَ: ثُمَّ يَدْخُلُ بَيْتَهُ فَتَدْخُلُ عَلَيْهِ زَوْجَتَاهُ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ فَيَقُولَانِ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَاكَ لَنَا وَأَحْيَانَا لَكَ. قَالَ: فَيَقُولُ: مَا أَعْطَى أَحَدٌ مثلَ مَا أَعْطَيْت

رواہ مسلم (311 / 188)، (464) ۔
(صَحِيح)

وفي رواية له عن ابي سعيد نحوه الا انه لم يذكر فيقول يا ابن ادم ما يصريني منك الى اخر الحديث وزاد فيه ويذكره الله سل كذا وكذا حتى اذا انقطعت به الاماني قال الله هو لك وعشرة امثاله قال ثم يدخل بيته فتدخل عليه زوجتاه من الحور العين فيقولان الحمد لله الذي احياك لنا واحيانا لك قال فيقول ما اعطى احد مثل ما اعطيترواہ مسلم 311 188 464 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের ব্যাখ্যা পূর্বের হাদীসের মতোই। আল্লাহ তা'আলা এই সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারীকে জান্নাতের সাধারণ নি'আমাতরাজী দেয়ার পরও নিজের পক্ষ থেকে তাকে জান্নাতের বিভিন্ন নি'আমাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলবেন, এটা চাও ওটাও। এমনকি তার আশা-আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা শেষ হয়ে গেলে আল্লাহ বলবেন, যাও এগুলো তোমার জন্য এর সাথে আরো এর দশগুণ।
এরপর ঐ বান্দা যখন তার বালাখানায় প্রবেশ করবে তখন তাঁর নিকট হুরুল'ঈন থেকে দু’জন স্ত্রী তার কক্ষে প্রবেশ করবে। তারা বলবে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আপনাকে আমাদের জন্য জীবিত করেছেন এবং আমাদেরকে আপনার জন্য জীবিত করেছেন।
এখানে জীবিত করার অর্থ সৃষ্টি করা। জীবিত শব্দটি চিরস্থায়ী জান্নাতে রাখার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কেননা আল্লাহ তাদেরকে সেখানে মিলিত করে দিয়েছে যেখানে আর কোন মৃত নেই, আনন্দই শুধু কষ্ট নেই, চিরস্থায়ী জীবন আর আনন্দ। আল্লাহ বলেন, (وَ اِنَّ الدَّارَ الۡاٰخِرَۃَ لَهِیَ الۡحَیَوَانُ...)
“নিশ্চয় আখিরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন...।” (সূরা আল আনকাবুত ২৯: ৬৪)

এসব পেয়ে লোকটি বলবে, আমাকে যা দেয়া হলো এ পরিমাণ আর কাউকেই দেয়া হয়নি। এ কথা বলবে সে তার ধারণা অনুসারে, অন্যথায় অন্যকে যে আরো বেশি দেয়া হয়েছে কিন্তু সে সম্পর্কে তার ধারণা এবং অবগতি না থাকায় এ কথা বলবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ, শারহুন নাবাবী ৩য় খণ্ড, ৪৪ পৃ. হা. ৩১১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)