৫৫০৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ -‘ঈসা আলায়হিস সালাম-এর অবতরণ

৫৫০৭-[৩] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার উম্মতের একদল লোক সত্যের উপর দৃঢ় থেকে (বাতিলের বিরুদ্ধে বিজয়ীরূপে কিয়ামত পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকবে। তিনি (সা.) বলেন, অতঃপর ’ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) অবতরণ করবেন। সে সময়ের লোকেদের আমীর বা নেতা (ইমাম মাহদী) তাকে বলবেন, আপনি এদিকে আসুন এবং লোকদেরকে সালাত আদায় করিয়ে দিন। তিনি বলবেন না; বরং তোমরা একে অপরের ইমাম। আল্লাহ তা’আলা এ উম্মাতকে মর্যাদা দান করেছেন। (মুসলিম)।

الفصل الاول (بَاب نزُول عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَام)

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَة» . قا ل: فَينزل عِيسَى بن مَرْيَمَ فَيَقُولُ أَمِيرُهُمْ: تَعَالَ صَلِّ لَنَا فَيَقُولُ: لَا إِنَّ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ أُمَرَاءُ تَكْرِمَةَ الله هَذِه الْأمة . رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَهَذَا الْبَابُ خَالٍ عَنِ الْفَصْلِ الثَّانِي

رواہ مسلم (247 / 156)، (395) ۔
(صَحِيح)

وعن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تزال طاىفة من امتي يقاتلون على الحق ظاهرين الى يوم القيامة قا ل فينزل عيسى بن مريم فيقول اميرهم تعال صل لنا فيقول لا ان بعضكم على بعض امراء تكرمة الله هذه الامة رواه مسلم وهذا الباب خال عن الفصل الثانيرواہ مسلم 247 156 395 ۔صحيح

ব্যাখ্যা: (يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ) সঠিক পন্থা অবলম্বন করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। অথবা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য চেষ্টা সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
(ظَاهِرِينَ) শত্রুর ওপর বিজয় লাভ করবে। যেহেতু আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন, (فَاِنَّ حِزۡبَ اللّٰهِ هُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ) “সাবধান, নিশ্চয় আল্লাহর দলই বিজয় লাভ করবে।” (সূরাহ্ আল মায়িদাহ্ ৫: ৫৬)

(فَينزل عِيسَى بن مَرْيَمَ فَيَقُولُ أَمِيرُهُمْ: تَعَالَ صَلِّ لَنَا) ঈসা ইবনু মারইয়াম আলায়হিস সালাম কিয়ামতের পূর্বে অবতরণ করবেন। তখন তাদের (মুসলিমদের) আমীর বলবেন, আসুন, সালাতের ইমামতি করুন। কেননা, ইমামের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি হচ্ছেন যিনি সবচেয়ে উত্তম। আর আপনি হলেন নবী, আপনিই উপযুক্ত। তখন তিনি বলবেন, না আমি ইমাম হব না, কেননা এর দ্বারা মানুষ ধারণা করবে তোমাদের ধর্ম রহিত হয়ে গেছে। অথবা, তিনি ইমামতি করবে না, যেহেতু তোমাদের ইমামের জন্য ইকামত দেয়া হয়েছে। তাই তিনিই ইমামের জন্যে উত্তম ব্যক্তি। প্রথম মতটিই সঠিক। হাদীসের পরবর্তী বাক্যে এ কথার সমর্থন পাওয়া যায়:
(إِنَّ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ أُمَرَاءُ تَكْرِمَةَ الله هَذِه الْأمة) নিশ্চয় তোমাদের কতকের ওপর কতককে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণার্থে আমীর নিযুক্ত করা হয়েছে। আর আমার ওপর দায়িত্ব হলো ঐ আমীরকে সহায়তা করা।
(تَكْرِمَةَ الله هَذِه الْأمة) এই উম্মতে মুহাম্মাদীকে আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মানিত করার জন্য।
কাযী ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ কথার অর্থ হলো, আল্লাহর বিধান হলো মুসলিমদের ইমাম হবেন তাদেরই একজন এবং তাদের আমীর হবেন তাদের অপরজন তাদের সম্মানের জন্য ও তাদের মর্যাদাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা, ২২২৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)