৫৩২৮

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩২৮-[১৫] ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মসজিদের দিকে বের হয়ে মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে নবী (সা.)-এর কবরের নিকট দেখে বললেন, কিসে আপনাকে কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেন, আমাকে এমন একটি জিনিস কাঁদাচ্ছে যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি- ’রিয়া’-এর সামান্য পরিমাণও শিরক। আর যে লোক আল্লাহর বন্ধুদের সাথে শত্রুতার মনোভাব রাখে, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। বস্তুত আল্লাহ তা’আলা পুণ্যবান, আল্লাহভীরু, লোকচক্ষু হতে আত্মগোপনকারীদেরকে পছন্দ করেন। তারা হলো এমন সব ব্যক্তি যারা লোকচক্ষু হতে অনুপস্থিত থাকলে কেউ তাদের খোঁজ নেয় না এবং তাদের সম্মুখে উপস্থিত হলেও কেউ তাদেরকে (মজলিসে) আহ্বান করে না। আর তাদেরকে নিজেদের নিকট বসায় না। (অথচ) তাদের হৃদয় হলো হিদায়াতের মশাল। তারা প্রত্যেক অন্ধকারাচ্ছন্ন জীর্ণশীর্ণ কুটির হতে বের হয়। (ইবনু মাজাহ ও বায়হাক্বী’র শুআবূল ঈমান)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَن عمر بن الْخطاب أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْكِي فَقَالَ: مَا يُبْكِيكَ؟ قَالَ: يُبْكِينِي شَيْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَمَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْأَبْرَارَ الْأَتْقِيَاءَ الْأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُتَفَقَّدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُقَرَّبُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ»

اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ ابن ماجہ (3989) و البیھقی فی شعب الایمان (6812) ۔
(ضَعِيف)

وعن عمر بن الخطاب انه خرج يوما الى مسجد رسول الله صلى الله عليه وسلم فوجد معاذ بن جبل قاعدا عند قبر النبي صلى الله عليه وسلم يبكي فقال ما يبكيك قال يبكيني شيء سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ان يسير الرياء شرك ومن عادى لله وليا فقد بارز الله بالمحاربة ان الله يحب الابرار الاتقياء الاخفياء الذين اذا غابوا لم يتفقدوا وان حضروا لم يدعوا ولم يقربوا قلوبهم مصابيح الهدى يخرجون من كل غبراء مظلمة رواه ابن ماجه والبيهقي في شعب الايماناسنادہ ضعیف جذا رواہ ابن ماجہ 3989 و البیھقی فی شعب الایمان 6812 ۔ضعيف

ব্যাখ্যা : (مَا يُبْكِيكَ؟) কিসের কারণে তুমি কাঁদছ? রসূলের সাক্ষাতের আশায় নাকি কোন বিপদে পড়ে কাঁদছ? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এ থেকে শুনা একটি হাদীসের কারণে আমি কাঁদছি যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি।
(إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ) সামান্য পরিমাণ রিয়া হলেই শিরক। আর তা অন্ধকার রাত্রিতে কালো পাথরের উপর কালো পিপিলিকার পদচারণার আওয়াজ থেকেও সূক্ষ্ম। খুব কম শক্তিশালী লোকই তা থেকে দূরে থাকতে পারে। তাহলে দুর্বলের অবস্থা কি হতে পারে? আর এ কারণেই আমি কাঁদছি। অন্য আরেকটি কারণ হলো আল্লাহর ওয়ালীদেরকে কষ্ট দেয়। কেননা তাদের অধিকাংশই অপ্রকাশ্য থাকেন। মানুষ তাদেরকে কথায় ও কাজে কষ্ট দিয়ে থাকে। হাদীসের পরবর্তী অংশ এ কথার প্রমাণ বহন করে।
(مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ) যারা কথায় বা কাজে আল্লাহর কোন ওয়ালীকে রাগান্বিত করবে স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এ থেকে বুঝা যায় যে, এটা গুরুতর অপরাধ।
(إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْأَبْرَارَ الْأَتْقِيَاءَ) নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা নিজে সৎকাজ সম্পাদনকারী ও আল্লাহর সৃষ্টজীবের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশকারী বান্দাদেরকে ভালোবাসেন। যারা সকল প্রকার শিরক ও পাপাচার থেকে বেঁচে থাকে এবং মানুষের সাথে মেলামেশায় দৃষ্টির অগোচরে থাকে। অধিকাংশ মানুষের চোখের আড়ালে বসবাস করে। তারা এতই অপরিচিত যে, তারা সমাজে অনুপস্থিত থাকলে তাদেরকে খোঁজা হয় না। তারা উপস্থিত থাকলেও তাদেরকে খাওয়ার টেবিলে বসার জন্য দা'ওয়াত দেয়া হয় না এবং তাদেরকে কাছেও ডাকা হয় না।
(قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى) তাদের অন্তরগুলো হিদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারাই হলো হিদায়াতের প্রতীক। তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা সকলের উচিত।
(يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ) তাদের আবির্ভাব প্রত্যেক অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলামলিন বাসস্থানে। অর্থাৎ তাদের বাসস্থানগুলো খুবই নগণ্য হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপকরণের অভাবে ঘরগুলো ধুলামলিন হবে এবং বাতির অভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ইবনু মাজাহ ৩/৩৯৮৯)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)