৫৩১১

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫৩১১-[১৭] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন এক ব্যক্তি তার পরিবার-পরিজনের নিকট এসে দেখল তারা ক্ষুধা ও উপবাসে পড়ে আছে, তখন সে (দিশেহারা হয়ে) ময়দানের দিকে বের হয়ে গেল। অতঃপর তার স্ত্রী যখন দেখল তার স্বামী খাদ্যের সন্ধানে বাইরে চলে গেছে। তখন সে আটা পেষার চাক্কির কাছে গেল এবং চাক্কির এক পাট আরেক পাটের উপর রাখল, অতঃপর চুলার কাছে গিয়ে তাতে আগুন জ্বালাল। এরপর দু’আ করল, হে আল্লাহ! তুমি আমাদের রিযক দান কর। এরপর সে চাক্কির নীচের তাগারীটির (বিরাট পাত্র) প্রতি লক্ষ্য করে দেখল তা ভর্তি হয়ে রয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর সে রুটি তৈরি করার জন্য চুলার কাছে গিয়ে দেখে যে, সেখানে পাত্রটি রুটির দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে আছে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর স্বামী ঘরে ফিরে (স্ত্রীকে) জিজ্ঞেস করল, আমার চলে যাওয়ার পর তোমরা কি কারো নিকট হতে কিছু পেয়েছ? স্ত্রী বলল, হ্যাঁ পেয়েছি। আমরা আমাদের রবের নিকট হতে পেয়েছি। অতঃপর সে (লোকটি) চাক্কির নিকট গিয়ে তার পাটটি খুলে রাখল এবং নবী (সা.) -এর নিকট ঘটনাটি বর্ণনা করা হলে তিনি বললেন, যদি সে চাক্কির পাটটি না সরাত, তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত তা ঘুরতে থাকত (এবং তা হতে আটা বের হতে থাকত)। (আহমাদ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

وَعَنْهُ قَالَ: دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى أَهْلِهِ فَلَمَّا رَأَى مَا بِهِمْ مِنَ الْحَاجَةِ خَرَجَ إِلَى الْبَرِيَّةِ فَلَمَّا رَأَتِ امْرَأَتُهُ قَامَتْ إِلَى الرَّحَى فَوَضَعَتْهَا وَإِلَى التَّنُّورِ فَسَجَرَتْهُ ثُمَّ قَالَتْ: اللَّهُمَّ ارْزُقْنَا فَنَظَرَتْ فَإِذَا الْجَفْنَةُ قَدِ امْتَلَأَتْ. قَالَ: وَذَهَبَتْ إِلَى التَّنُّورِ فَوَجَدَتْهُ مُمْتَلِئًا. قَالَ: فَرَجَعَ الزَّوْجُ قَالَ: أَصَبْتُمْ بَعْدِي شَيْئًا؟ قَالَتِ امْرَأَتُهُ: نَعَمْ مِنْ رَبِّنَا وَقَامَ إِلَى الرَّحَى فَذُكِرَ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَمَا إِنَّهُ لَوْ لَمْ يَرْفَعْهَا لَمْ تَزَلْ تَدور إِلَى يَوْم الْقِيَامَة» . رَوَاهُ أَحْمد

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (2 / 513 ح 10667) [و الطبرانی فی الاوسط (5584)] * ھشام بن حسان مدلس و عنعن عن محمد بن سرین الخ ۔
(ضَعِيف)

وعنه قال دخل رجل على اهله فلما راى ما بهم من الحاجة خرج الى البرية فلما رات امراته قامت الى الرحى فوضعتها والى التنور فسجرته ثم قالت اللهم ارزقنا فنظرت فاذا الجفنة قد امتلات قال وذهبت الى التنور فوجدته ممتلىا قال فرجع الزوج قال اصبتم بعدي شيىا قالت امراته نعم من ربنا وقام الى الرحى فذكر ذلك الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال اما انه لو لم يرفعها لم تزل تدور الى يوم القيامة رواه احمداسنادہ ضعیف رواہ احمد 2 513 ح 10667 و الطبرانی فی الاوسط 5584 ھشام بن حسان مدلس و عنعن عن محمد بن سرین الخ ۔ضعيف

ব্যাখ্যা : (دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى أَهْلِهِ) এক ব্যক্তি তার পরিবার-পরিজনের নিকট প্রয়োজনীয় সামগ্রীর খোঁজখবর নেয়ার জন্য গৃহে প্রবেশ করল, যখন সে দেখল সবাই ক্ষুধায় দারিদ্রে জর্জরিত তখন সে জমিনে কাজের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ল। যখন তার স্ত্রী দেখল তার স্বামী লজ্জা-শরম ফেলে দিয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেছে তখন সে আটা ভাঙানো জাঁতাকল পরিষ্কার করে এক অংশ আরেক অংশের উপর রাখল এবং চুলায় আগুন জ্বালিয়ে গরম করল। এরপর আল্লাহর দরবারে দু'আ করতে শুরু করল; হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রিযক প্রদান করুন, কেননা আমাদের খাদ্য শেষ হয়ে গেছে। আমরা শুধু আপনার কল্যাণেরই আশা করছি।
(فَنَظَرَتْ فَإِذَا الْجَفْنَةُ قَدِ امْتَلَأَتْ) অতঃপর স্ত্রী পেষণ যন্ত্রের দিকে তাকিয়ে দেখল যে, একটি বড় পাত্র আটায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর সে চুলার কাছে গিয়ে দেখল তা রুটিতে পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে।

(قَالَ: فَرَجَعَ الزَّوْجُ) বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তার স্বামী বাড়িতে ফিরে এসে জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি কিছু খেয়েছ? অথবা খাওয়ার কিছু পেয়েছ? তখন তার স্ত্রী বলল : হ্যা, আমাদের রবের পক্ষ থেকে পেয়েছি। স্বামী আশ্চর্য হয়ে পেষণ যন্ত্রের দিকে গেল এবং তা উঠিয়ে ভালো করে লক্ষ্য করতে লাগল।
(فَذُكِرَ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) অতঃপর নবী (সা.) -এর নিকট গিয়ে তা বর্ণনা করল। নবী (সা.) সব ঘটনা শুনে বললেন, হায়! যদি সে পেষণ যন্ত্রটি না উঠাত তাহলে তা কিয়ামাত পর্যন্ত ঘুরতে থাকত এবং তা হতে আটা বের হতে থাকত।
এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, বান্দা যদি সাধ্যানুযায়ী হালাল কাজে আত্মনিয়োগ করে আল্লাহর দরবারে দুআ করে তাহলে আল্লাহ তার রিকের ব্যবস্থা করে দেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)