১৫১৩

পরিচ্ছেদঃ ১৬৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাতের বৈশিষ্ট্য

১৫১৩. যুরারা (রাহি.) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, সাদ ইবন হিশাম ইবন আমির (রাহি.) (আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার ইচ্ছা করে) তার স্ত্রীকে তালাক দিলেন এবং মদীনায় এসে তাঁর সম্পত্তি বিক্রি করে তা যূদ্ধাস্ত্র ও ঘোড়া সংগ্রহে ব্যয় করতে মনস্থ করলেন। তারপর আনসারদের একটি দলের সাথে তার সাক্ষাত হলে তাঁরা তাঁকে বললেন, ’আমাদের মধ্যকার ছয় জন লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায় এরুপ করার ইচ্ছা করেছিলো । তখন তিনি তাদের নিষেধ করেন এবং বলেন, “আমার মধ্যে কি তোমাদের জন্য কোন আদর্শ নেই?” এরপর তিনি বছরায় চলে গেলেন এবং তিনি আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (সেখানে) আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে বিতর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তিনি (ইবন আব্বাস) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিতর সম্পর্কে সর্বাধিক অবগত ব্যক্তি সম্পর্কে কি তোমাকে বলে দিব না?

আমি বললাম, অবশ্যই। তিনি (ইবন আব্বাস) বললেন, তিনি হলেন উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ)। তাঁর কাছে গিয়ে তুমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করবে, এরপর তোমাকে তিনি যা বলেন, সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করবে। আমি তখন হাকীম ইবনু আফলাহ (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে তাকে বললাম: তুমি আমার সঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে চলো। তিনি বললেন, আমি তো তাঁর নিকট যাই না। কেননা (বিবাদমান) এ দু’টি দল থেকে আমি তাকে বারণ করেছিলাম, কিন্তু তিনি তা হতে নিবৃত্ত থাকতে অস্বীকার করেন। আমি বললাম, আমি তোমাকে (সেখানে) যাওয়ার জন্য কসম দিলাম। তখন (তিনি যেতে রাজী হলেন এবং) আমরা (আয়েশা রাঃ-এর উদ্দেশ্যে) চললাম এবং (তাঁর কাছে গিয়ে) তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি হাকিম এর কণ্ঠস্বর চিনতে পারলেন এবং বললেন, এটি কে? উত্তরে আমি বললাম, সা’দ ইবনু হিশাম।

তিনি (আয়িশা রা:) বললেন, কোন হিশাম ? আমি বললাম, হিশাম ইবনু আমির।

তিনি (আয়িশা রাঃ) বললেন, (হিশাম ইবনু আমির) অতি উত্তম লোক। তিনি উহুদের যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন।

আমি (সা’দ) বললাম, আপনি আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আখলাক (স্বভাব-চরিত্র) সস্পর্কে অবহিত করুন!

তিনি বললেন, তুমি কি কুরআন পাঠ কর না ? আমি বললাম, হাঁ, অবশ্যই।

তিনি বললেন, সেটা (কুর’আন)-ই তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আখলাক।

(সা’দ বলেন,) তখন আমার ইচ্ছে হলো যে, আমি উঠে যাই এবং আল্লাহর সাথে সাক্ষাত না করা (মৃত্যু) পর্যন্ত কাউকে কোন বিষয় জিজ্ঞাসা না করি। তখনই আমার (মনের) কাছে ’ক্বিয়াম’-এর কথা আবির্ভূত হলো (মনে পড়লো), তাই আমি বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ’ক্বিয়াম’ (রাতের সালাত) সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন!

তিনি বললেন, তুমি কি সূরা “ইয়া আয়্যুহাল মুযৃযামিল” পড়ো না? আমি বললাম, হাঁ।

তিনি বললেন, সেটাই ছিলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ’ক্বিয়াম’। এ সূরার প্রথমাংশ নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ (তাহাজ্জুদের জন্য) রাত্রি জাগরণ করলেন, এমনকি তাঁদের পদ্বসমূহ ফুলে যেতে লাগলো। আর এ সূরার শেষ অংশ ষোল মাস পর্যন্ত আসমানে আটকে রাখা হলো। অতঃপর তা (এ সূরার শেষ অংশ) নাযিল হলো। ফলে রাত্রি জাগরণ ফরয হওয়ার পরে আবার নফলে পরিণত হলো । (সা’দ বলেন,) তখন আমার ইচ্ছে হলো যে, আমি উঠে যাই এবং আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করা (মৃত্যু) পর্যন্ত কাউকে কোন বিষয় জিজ্ঞাসা না করি। তখনই আমার (মনের) ভেতরে ’বিতর’-এর কথা আবির্ভাব হলো, তাই আমি বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ’বিতর’ সালাত সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন! তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঘুমাতেন, তখন তাঁর মিসওয়াক আমার নিকট রেখে দিতেন। এরপর আল্লাহ যখন ইচ্ছা করতেন, তখন তাঁকে জাগিয়ে দিতেন । এরপর তিনি নয় রাকা’আত সালাত আদায় করতেন। তিনি অষ্টম রাকা’আতে ব্যতীত এর মাঝে আর বসতেন না। তখন তিনি আল্লাহর ’হামদ’ (প্রশংসা) করতেন, এবং তাঁর রবের কাছে দু’আ করতেন। তারপর সালাম না করেই উঠে পড়তেন এবং নবম রাকা’আত আদায় করে বসতেন এবং আল্লাহর হামদ (প্রশংসা) করতেন এবং তাঁর রবের কাছে দুআ করতেন। আর একবার সালাম ফিরাতেন যা আমরা শুনতে পেতাম। এরপর বসে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতেন। ফলে, হে বৎস, এ হলো মোট এগার রাকা’আত।

পরে যখন তিনি বয়ো:বৃদ্ধ হলেন এবং স্থুলদেহী হয়ে গেলেন, তখন সাত রাকাআত সালাত আদায় করতেন, যার ষষ্ঠ রাকা’আতে ব্যতীত তিনি (আর কোনও রাকা’আতে) বসতেন না। তখন তিনি আল্লাহর ’হামদ’ (প্রশংসা) করতেন, এবং তাঁর রবের কাছে দু’আ করতেন। তারপর সালাম না করেই উঠে পড়তেন এবং সপ্তম রাকা’আত আদায় করে বসতেন এবং আল্লাহর হামদ (প্রশংসা) করতেন এবং তাঁর রবের কাছে দুআ করতেন। আর একবার মাত্র সালাম ফিরাতেন যা আমরা শুনতে পেতাম। এরপর বসে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতেন। ফলে, হে বৎস, এ হলো মোট নয় রাকা’আত।

আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিদ্রা প্রবল হতো, অথবা, তাঁর অসুস্থতা প্রবল হতো, তিনি দিনের বেলা বার রাক’আতসালাত আদায় করে নিতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো নীতি বা আচরণ অবলম্বন করতেন তখন তাতে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা পসন্দ করতেন। আর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভোর পর্যন্ত সারা রাত সালাতে দাঁড়ান নি (আদায় করেননি) এবং এক রাতে পূর্ণ কুরআন পাঠ করেননি এবং এবং রমযান ব্যতীত অন্য কোন মাসে পুরো মাস সাওম পালন করেননি।

(সাদ র) বলেন,) এরপর আমি ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে গেলাম এবং (আয়িশা রাঃ বর্ণিত হাদীস) তাঁর কাছে বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, তিনি তোমাকে যথার্থই বলেছেন। জেনে রাখো, আমি যদি তাঁর নিকট যেতে পারতাম, তাহলে অবশ্যই আমি (তাঁর কাছে গিয়ে) সরাসরি তাঁর মুখে এ হাদীস শুনে আসতাম। তিনি (সা’দ রাহি.) বলেন, আমি বললাম, জেনে রাখুন, আমি যদি বুঝতে পারতাম যে, আপনি তাঁর কাছে যান না, তবে তাঁর হাদীস আমি আপনার নিকট বর্ণনা করতাম না।[1]

بَاب صِفَةِ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَأَتَى الْمَدِينَةَ لِبَيْعِ عَقَارِهِ فَيَجْعَلَهُ فِي السِّلَاحِ وَالْكُرَاعِ فَلَقِيَ رَهْطًا مِنْ الْأَنْصَارِ فَقَالُوا أَرَادَ ذَلِكَ سِتَّةٌ مِنَّا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَنَعَهُمْ وَقَالَ أَمَا لَكُمْ فِيَّ أُسْوَةٌ ثُمَّ إِنَّهُ قَدِمَ الْبَصْرَةَ فَحَدَّثَنَا أَنَّهُ لَقِيَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلَهُ عَنْ الْوِتْرِ فَقَالَ أَلَا أُحَدِّثُكَ بِأَعْلَمِ النَّاسِ بِوِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ بَلَى قَالَ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ فَأْتِهَا فَاسْأَلْهَا ثُمَّ ارْجِعْ إِلَيَّ فَحَدِّثْنِي بِمَا تُحَدِّثُكَ فَأَتَيْتُ حَكِيمَ بْنَ أَفْلَحَ فَقُلْتُ لَهُ انْطَلِقْ مَعِي إِلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ قَالَ إِنِّي لَا آتِيهَا إِنِّي نَهَيْتُ عَنْ هَذِهِ الشِّيعَتَيْنِ فَأَبَتْ إِلَّا مُضِيًّا قُلْتُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ لَمَا انْطَلَقْتَ فَانْطَلَقْنَا فَسَلَّمْنَا فَعَرَفَتْ صَوْتَ حَكِيمٍ فَقَالَتْ مَنْ هَذَا قُلْتُ سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ قَالَتْ مَنْ هِشَامٌ قُلْتُ هِشَامُ بْنُ عَامِرٍ قَالَتْ نِعْمَ الْمَرْءُ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ قُلْتُ أَخْبِرِينَا عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ أَلَسْتَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ قُلْتُ بَلَى قَالَتْ فَإِنَّهُ خُلُقُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرَدْتُ أَنْ أَقُومَ وَلَا أَسْأَلَ أَحَدًا عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أَلْحَقَ بِاللَّهِ فَعَرَضَ لِي الْقِيَامُ فَقُلْتُ أَخْبِرِينَا عَنْ قِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ أَلَسْتَ تَقْرَأُ يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ قُلْتُ بَلَى قَالَتْ فَإِنَّهَا كَانَتْ قِيَامَ رَسُولِ اللَّهِ أُنْزِلَ أَوَّلُ السُّورَةِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ حَتَّى انْتَفَخَتْ أَقْدَامُهُمْ وَحُبِسَ آخِرُهَا فِي السَّمَاءِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا ثُمَّ أُنْزِلَ فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ أَنْ كَانَ فَرِيضَةً فَأَرَدْتُ أَنْ أَقُومَ وَلَا أَسْأَلَ أَحَدًا عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أَلْحَقَ بِاللَّهِ فَعَرَضَ لِي الْوِتْرُ فَقُلْتُ أَخْبِرِينَا عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَامَ وَضَعَ سِوَاكَهُ عِنْدِي فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ لِمَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ فَيُصَلِّي تِسْعَ رَكَعَاتٍ لَا يَجْلِسُ إِلَّا فِي الثَّامِنَةِ فَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيَدْعُو رَبَّهُ ثُمَّ يَقُومُ وَلَا يُسَلِّمُ ثُمَّ يَجْلِسُ فِي التَّاسِعَةِ فَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيَدْعُو رَبَّهُ وَيُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَيَّ فَلَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَمَلَ اللَّحْمَ صَلَّى سَبْعَ رَكَعَاتٍ لَا يَجْلِسُ إِلَّا فِي السَّادِسَةِ فَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيَدْعُو رَبَّهُ ثُمَّ يَقُومُ وَلَا يُسَلِّمُ ثُمَّ يَجْلِسُ فِي السَّابِعَةِ فَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيَدْعُو رَبَّهُ ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَتِلْكَ تِسْعٌ يَا بُنَيَّ وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا غَلَبَهُ نَوْمٌ أَوْ مَرَضٌ صَلَّى مِنْ النَّهَارِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَخَذَ خُلُقًا أَحَبَّ أَنْ يُدَاوِمَ عَلَيْهِ وَمَا قَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً حَتَّى يُصْبِحَ وَلَا قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ وَلَا صَامَ شَهْرًا كَامِلًا غَيْرَ رَمَضَانَ فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ صَدَقَتْكَ أَمَا إِنِّي لَوْ كُنْتُ أَدْخُلُ عَلَيْهَا لَشَافَهْتُهَا مُشَافَهَةً قَالَ فَقُلْتُ أَمَا إِنِّي لَوْ شَعَرْتُ أَنَّكَ لَا تَدْخُلُ عَلَيْهَا مَا حَدَّثْتُكَ

حدثنا اسحق بن ابراهيم حدثنا معاذ بن هشام حدثني ابي عن قتادة عن زرارة بن اوفى عن سعد بن هشام انه طلق امراته واتى المدينة لبيع عقاره فيجعله في السلاح والكراع فلقي رهطا من الانصار فقالوا اراد ذلك ستة منا على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فمنعهم وقال اما لكم في اسوة ثم انه قدم البصرة فحدثنا انه لقي عبد الله بن عباس فساله عن الوتر فقال الا احدثك باعلم الناس بوتر رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت بلى قال ام المومنين عاىشة فاتها فاسالها ثم ارجع الي فحدثني بما تحدثك فاتيت حكيم بن افلح فقلت له انطلق معي الى ام المومنين عاىشة قال اني لا اتيها اني نهيت عن هذه الشيعتين فابت الا مضيا قلت اقسمت عليك لما انطلقت فانطلقنا فسلمنا فعرفت صوت حكيم فقالت من هذا قلت سعد بن هشام قالت من هشام قلت هشام بن عامر قالت نعم المرء قتل يوم احد قلت اخبرينا عن خلق رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت الست تقرا القران قلت بلى قالت فانه خلق رسول الله صلى الله عليه وسلم فاردت ان اقوم ولا اسال احدا عن شيء حتى الحق بالله فعرض لي القيام فقلت اخبرينا عن قيام رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت الست تقرا يا ايها المزمل قلت بلى قالت فانها كانت قيام رسول الله انزل اول السورة فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم واصحابه حتى انتفخت اقدامهم وحبس اخرها في السماء ستة عشر شهرا ثم انزل فصار قيام الليل تطوعا بعد ان كان فريضة فاردت ان اقوم ولا اسال احدا عن شيء حتى الحق بالله فعرض لي الوتر فقلت اخبرينا عن وتر رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا نام وضع سواكه عندي فيبعثه الله لما شاء ان يبعثه فيصلي تسع ركعات لا يجلس الا في الثامنة فيحمد الله ويدعو ربه ثم يقوم ولا يسلم ثم يجلس في التاسعة فيحمد الله ويدعو ربه ويسلم تسليمة يسمعنا ثم يصلي ركعتين وهو جالس فتلك احدى عشرة ركعة يا بني فلما اسن رسول الله صلى الله عليه وسلم وحمل اللحم صلى سبع ركعات لا يجلس الا في السادسة فيحمد الله ويدعو ربه ثم يقوم ولا يسلم ثم يجلس في السابعة فيحمد الله ويدعو ربه ثم يسلم تسليمة ثم يصلي ركعتين وهو جالس فتلك تسع يا بني وكان النبي صلى الله عليه وسلم اذا غلبه نوم او مرض صلى من النهار ثنتي عشرة ركعة وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اخذ خلقا احب ان يداوم عليه وما قام نبي الله صلى الله عليه وسلم ليلة حتى يصبح ولا قرا القران كله في ليلة ولا صام شهرا كاملا غير رمضان فاتيت ابن عباس فحدثته فقال صدقتك اما اني لو كنت ادخل عليها لشافهتها مشافهة قال فقلت اما اني لو شعرت انك لا تدخل عليها ما حدثتك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)