৫০৬১

পরিচ্ছেদঃ ১৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আত্মসংযম ও কাজে ধীরস্থিরতা

৫০৬১-[৯] জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি কোন কথা বলে, অতঃপর এদিক-ওদিক দৃষ্টিপাত করে, তবে তা (শ্রোতার জন্য) আমানাত তথা গচ্ছিত বস্তু। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا حَدَّثَ الرَّجُلُ الْحَدِيثَ ثُمَّ الْتَفَتَ فَهِيَ أَمَانَةٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

وعن جابر بن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا حدث الرجل الحديث ثم التفت فهي امانة رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যাঃ ‘আলকামাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তোমার নিকট কেউ কোন কথা বলার পর চলে গেলে সে কথাটি তোমার জন্য আমানাত হয়ে যায়। সে আমানাত নষ্ট করা তোমার জন্য জায়িয নয়। তিনি এদিক-সেদিক তাকানো (الْتَفَتَ) এর অর্থ করেছেন, চলে যাওয়া غاب; তবে প্রথম মতটিই অধিক বিশুদ্ধ।

ইবনু রসলান (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ কেননা তার এদিক-সেদিক তাকানো এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, যার কাছে সে কথাটি বলেছে সে ছাড়া অন্য কেউ কথাটি না শুনুক। আর সে এ কথাকে গোপন রাখার চেষ্টা করছে। তার এদিক-সেদিক চাওয়া প্রমাণ করে যে, তুমি এ কথা আমার থেকে নাও আর গোপন রাখ। এ কথাটি তোমার জন্য আমানাত, অর্থাৎ তুমি কথাটি কারো কাছে বলবে না।

(فَهِيَ أَمَانَةٌ) অর্থাৎ যখন কোন ব্যক্তি কারো নিকট কোন কথা বলে গোপন রাখার ইচ্ছায় এদিক সেদিক তাকায়, যাতে কেউ না শুনতে পায় তবে যার কাছে সে কথাটি বলছে, তার জন্য আমানাত স্বরূপ হবে। এ কথাটির হুকুম তখন আমানাতের হুকুমে হবে। তখন যার কাছে কথা বলা হয়েছে তার জন্য এ কথা প্রচার করে আমানাতকে নষ্ট করা বৈধ নয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৮৬০; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯৫৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)