৫০১৫

পরিচ্ছেদঃ ১৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ভালোবাসা এবং আল্লাহ তা‘আলার জন্য বান্দার প্রতি ভালোবাসা

৫০১৫-[১৩] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন মুসলিম তার কোন ভাইয়ের রোগ দেখতে যায় অথবা সাক্ষাৎ করতে যায়, তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমার জীবন সুখের হলো, তোমার চলন উত্তম হলো এবং তুমি জান্নাতে একটি ইমারত বানিয়ে নিলে। [তিরমিযী; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব][1]

وَعَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا عَادَ الْمُسْلِمُ أَخَاهُ أَوْ زَارَهُ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: طِبْتَ وَطَابَ مَمْشَاكَ وَتَبَوَّأْتَ مِنَ الْجَنَّةِ مَنْزِلًا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث غَرِيب

وعن ابيهريرة ان النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا عاد المسلم اخاه او زاره قال الله تعالى طبت وطاب ممشاك وتبوات من الجنة منزلا رواه الترمذي وقال هذا حديث غريب

ব্যাখ্যাঃ (إِذَا عَادَ الْمُسْلِمُ أَخَاهُ) অর্থাৎ যখন কোন মুসলিম তার অপর কোন মুসলিম ভাইকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে গেল। তার সেবা করল, তার খোঁজ-খবর নিল।

(طِبْتَ وَطَابَ مَمْشَاكَ) যখন কোন মুসলিম তার কোন মুসলিম ভাইয়ের পরিচর্যা করতে যায় অথবা কোন সুস্থ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করতে যায়, তখন মহান আল্লাহ বলেন, তোমার জন্য ইহকাল ও পরকালে অফুরন্ত কল্যাণ রয়েছে। ইহকালীল জীবনের সে ব্যক্তি যেমন আত্মতৃপ্তি ও শান্তি লাভ করবে ঠিক তেমনিভাবে সে পরকলের জীবনেও জান্নাত লাভে ধন্য হবে। তার মনের সকল কামনা-বাসনা সেখানে পূর্ণ হবে। طِبْتَ দ্বারা সেদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর তার পার্থিব জীবনের প্রত্যেকটি পদচিহ্ন হবে পরকালীন সাফল্যময় জীবনের কারণস্বরূপ অর্থাৎ তার হাঁটা-চলা উত্তম কাজের জন্যই হবে, যার ফলে সে পরকালে দীর্ঘস্থায়ী সুখসময় জীবনের অধিকারী হবে।

(وَتَبَوَّأْتَ مِنَ الْجَنَّةِ مَنْزِلًا) অর্থাৎ তুমি জান্নাতের মধ্যে অনেক বড় মর্তবা বা সম্মান লাভ করলে। কেননা কোন মু’মিনের অন্তরে প্রশান্তি সৃষ্টি করা মানুষ ও জিনের যত রকমের ‘ইবাদাত রয়েছে তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ ‘ইবাদাত। বিশেষ করে রোগীর দেখাশুনা করা ফার্য়ে কিফায়াহ্ আর এর মধ্যে অনেক উপদেশ ও সতর্কতা, শিক্ষণীয় বিষয় আছে সুস্থ ব্যক্তিদের জন্য, তা হলো সুস্থ ব্যক্তি তার সুস্থতার ও জীবনের নি‘আমাত ভালোভাবে বুঝতে পারে। আর বেশি বেশি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে পারে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)