৪৯৫৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ

৪৯৫৬-[১০] উক্ত [আবূ মূসা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, যখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কোন ভিক্ষুক বা অভাবী লোক আসত, তখন তিনি সাহাবায়ি কিরামকে বলতেন, তোমরা সুপারিশ করো, তাহলে তোমাদের সুপারিশের সাওয়াব দেয়া হবে। আল্লাহ তা’আলা যে আদেশ জারি করতে চান, তা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জবানিতে জারি করেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الشَّفَقَةِ وَالرَّحْمَةِ عَلَى الْخَلْقِ

وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا أَتَاهُ السَّائِلُ أَوْ صَاحِبُ الْحَاجَةِ قَالَ: «اشْفَعُوا فَلْتُؤْجَرُوا وَيَقْضِي اللَّهُ عَلَى لِسَان رَسُوله مَا شَاءَ» . مُتَّفق عَلَيْهِ

وعنه عن النبي صلى الله عليه وسلم انه كان اذا اتاه الساىل او صاحب الحاجة قال اشفعوا فلتوجروا ويقضي الله على لسان رسوله ما شاء متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীস থেকে বুঝা যায় কোন মুসলিম ভাই যদি বিভিন্ন বৈধ কর্মকাণ্ডের তার সাথীদের সুপারিশের প্রয়োজনবোধ করে থাকেন তাহলে তার জন্য সুপারিশ করা মুস্তাহাব। সে সুপারিশটা বাদশাহর নিকটে হোক অথবা মন্ত্রী অথবা সচিবের কাছে হোক। কোন ভাই যদি কোন প্রকার সুপারিশের দাবি করে, আর যার কাছে দাবি করবে সে যদি ঐ সুপারিশ করার অধিকার বা সক্ষমতা রাখে তাহলে সে সুপারিশ করবে। চাই বাদশাহর জুলুম থেকে পরিত্রাণ পাওয়া অথবা শাস্তি মার্জনা করা অথবা নিঃস্ব মানুষের দান-দখিনা ইত্যাদি বিষয় হোক। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি তার উপরে হাদ্দ ফরয হয়েছে, আর সে সুপারিশ চাচ্ছে যে, আপনি রাষ্ট্রপতির কাছে আমার জন্য একটু সুপারিশ করুন যেন আমার ওপরে তিনি হাদ্দ প্রতিষ্ঠা না করেন। অনুরূপ কোন বাতিল, অবান্তর বিষয়কে লাভ করার জন্য সুপারিশ কামনা করা অথবা অন্যের কোন প্রাপ্যকে বাতিলের জন্য সুপারিশ করা বা চাওয়া সম্পূর্ণভাবে হারাম; এ থেকে বেঁচে থাকা খুবই জরুরী। (শারহুন নাবাবী ১৬শ খন্ড, হাঃ ২৬২৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)