৪৮২৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে

৪৮২৫-[১৪] উম্মু কুলসূম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে ব্যক্তি মিথ্যুক নয়, যে লোকেদের মধ্যে মীমাংসা করে, ভালো কথা বলে এবং ভালো কথা আদান-প্রদান করে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ حِفْظِ اللِّسَانِ وَالْغِيبَةِ وَالشَّتَمِ

وَعَنْ أُمِّ كُلْثُومٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ وَيَقُولُ خيرا وينمي خيرا» . مُتَّفق عَلَيْهِ

وعن ام كلثوم رضي الله عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس الكذاب الذي يصلح بين الناس ويقول خيرا وينمي خيرا متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ মিথ্যা সর্বদাই নিন্দনীয় এবং মিথ্যুক ব্যক্তি আল্লাহর অপ্রিয় বান্দা। তবে মিথ্যা যদি মানুষের মধ্যকার পারস্পারিক দ্বন্দ্ব-কলহ নিরসনের নিমিত্তে হয় তখন তা নিন্দনীয় নয় এবং ঐ মিথ্যুক ব্যক্তি প্রকৃত মিথ্যাবাদী নয়। সে যদি বাহ্যিক দৃষ্টিতে মিথ্যা কথা বলেও থাকে। কিন্তু তার কথার অন্তর্নিহিত অর্থ হবে সত্য অথবা তার উদ্দেশ্য হবে মহৎ। যেমন যায়দ এবং ‘আমর-এর মধ্যকার দ্বন্দ্ব-কলহ নিরসনে কোন ব্যক্তি ‘আমরকে গিয়ে (মিথ্যাভাবে) বলল, ওহে ‘আমর! যায়দ তোমাকে সালাম জানিয়েছে। সে তোমার প্রশংসা করে বলল, আমি ‘আমরকে ভালোবাসি। অনুরূপ যায়দ-এর কাছে গিয়েও ‘আমর সম্পর্কে অনুরূপ কথা বলল, ফলে উভয় উভয়ের প্রতি শত্রুভাব এবং আত্মকলহ দূর হয়ে বন্ধুত্বের মানসিকতা সৃষ্টি হয়ে গেল। (মিরকাত; ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৯২; শারহুন নাবাবী ১৬শ খন্ড, হাঃ ২৬০৫/১০১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)