৪৮২১

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে

৪৮২১-[১০] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি বলে যে, মানুষ ধ্বংস হোক, তখন সে নিজেই সবচেয়ে বেশি ধ্বংসপ্রাপ্ত। (মুসলিম)[1]

بَابُ حِفْظِ اللِّسَانِ وَالْغِيبَةِ وَالشَّتَمِ

وَعَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا قَالَ الرَّجُلُ: هَلَكَ النَّاسُ فَهُوَ أَهْلَكُهُمْ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

وعنابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا قال الرجل هلك الناس فهو اهلكهم رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ কোন ব্যক্তির এই কথা বলা যে ‘মানুষের ধ্বংস হোক’ এর অর্থ হলো : অন্যদের খারাপ ‘আমলের কারণে জাহান্নামে যাওয়াকে আবশ্যক বলে মনে করা, এটিও একটি অভিসম্পাত। সুতরাং কারো জন্য বা কোন জাতির জন্য এরূপ অভিসম্পাত করা আদৌ বৈধ নয়।

হাদীসের শব্দ فَهُوَ أَهْلَكُهُمْ ‘সেই সর্বাধিক ধ্বংসপ্রাপ্ত, এর "كُ" বর্ণে পেশ এবং যবর উভয় চিহ্ন যোগে পাঠ সিদ্ধ। যবরযোগে পাঠ করলে তা فِعْلٌ مَاضٍ অতীতকালের ‘সীগাহ্’ বা শব্দ হিসেবে অর্থ প্রদান করবে। তখন এর অর্থ হয় সীমালঙ্ঘনকারী তারাই যারা মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ করে থাকে এবং বলে থাকে, ‘মানুষ ধ্বংস হোক’। মানুষ যখন এ কথা বলেই ফেলে তখন আল্লাহ নয় বরং সে নিজে তার জন্য ধ্বংস আবশ্যক করে নেয়। "ك" বর্ণে পেশ যোগে পাঠ করলে এর অর্থ হয়, যে এ কথা বলবে সেই হবে অধিক ধ্বংসশীল। কেননা সে নিজেকে অপরের চেয়ে অধিক ভালো মনে করেছে আর আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে অন্যকে বঞ্চিত মনে করে নিজের জন্য কেবল নির্ধারণ করে নিয়েছে।

ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত আছে, যদি কেউ অন্যকে হেয় এবং তুচ্ছ মনে করে নিজেকে বেশী ভালো মনে করে এ কথা বলে থাকে, তবে নিঃসন্দেহে তা অপছন্দনীয় এবং নিষিদ্ধ। আর যদি অন্যকে তুচ্ছ জ্ঞান করে নয়, বরং অন্যের মধ্যে দীনের ত্রুটি লক্ষ্য করে তাদের শাসন হিসেবে এ কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে তা দোষণীয় নয়, এটা জামহূরেরও মত।

কেউ কেউ বলেছেন, এটা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো বিদ্‘আতী দল, যারা মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ করে থাকে এবং (গুনাহের কারণে) চিরজাহান্নামী বলে মনে করে থাকে।

(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; শারহুন নাবাবী ১৬শ খন্ড, হাঃ [২৬২৩]-১৩৯; ‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৯৭৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)