৪৮১৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে

৪৮১৫-[৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইকে কাফির বলবে, তাদের দু’জনের একজন এর উপযুক্ত সাব্যস্ত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ حِفْظِ اللِّسَانِ وَالْغِيبَةِ وَالشَّتَمِ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ قَالَ لِأَخِيهِ كَافِرُ فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحدهمَا» . مُتَّفق عَلَيْهِ

وعن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ايما رجل قال لاخيه كافر فقد باء بها احدهما متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ কোন মুসলিম অপর কোন মুসলিমকে কাফির বলে সম্বোধন করতে পারে না। কেউ কাউকে কাফির বলে সম্বোধন করলেই (তো সত্য-মিথ্যা যাই হোক না কেন) কার্যকরীরূপে প্রতিফলিত হবে। যাকে এ সম্বোধন করা হলো সে যদি সত্যই কুফরী কর্ম করে থাকে তবে তার ওপর ঐ কথার হুকুম প্রযোজ্য হবে এবং সে সত্য সত্যই কাফির বলে বিবেচিত হবে। আর যদি সে সত্যিকার কোন কুফরী কর্ম না করে, তাকে অহেতুক কাফির বলে সম্বোধন করা হয় তাহলে তার ঐ কথাটি নিজের দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে, অর্থাৎ সেই কাফির বলে বিবেচিত হবে।

ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অহেতুক কাউকে কাফির বলে সম্বোধন করলে সে নিজে কুফরীর গুনাহ নিয়ে ফিরবে।

‘আল্লামা নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যে হাদীসগুলো ‘উলামাগণের নিকট খুব মুশকিল, এটি তার একটি। এর প্রকাশ্য বা বাহ্যিক অর্থ উদ্দেশ্য নয়। এটা এজন্য যে, একজন মুসলিমকে দীনের উপর অটুট বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও হত্যা কিংবা যিনার মতো কাবীরাহ্ গুনাহের কারণে কাফির বলা যায় না। এ কথা যখন সাব্যস্ত হলো যে, কাউকে কাফির বলা ঠিক নয় তখন অত্র হাদীসের আমরা কয়েকটি ব্যাখ্যা বা তাবীল করব। আর সেটি হলো এই যে,

প্রথমতঃ কেউ যখন কাউকে কাফির বলা হালাল বা বৈধ মনে করবে তখন তার ওপর (এই কাফির বলার অনভিপ্রেত বিরূপ প্রতিক্রিয়া হিসেবে) কুফরীর হুকুম বর্তাবে।

দ্বিতীয়টি হলো : তার ওপর গুনাহের বোঝা চেপে বসবে এবং ঈমানের ঘাটতি সংঘটিত হবে।

তৃতীয়টি হলো : এটা খারিজীদের ব্যাপারে প্রযোজ্য, কেননা তারা মু’মিনদের কাফির বলে থাকে, তাই সেটা ফিরে গিয়ে তাদের ওপর পতিত হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)