৪৭৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাম রাখা

৪৭৫৯-[১০] সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুনযির ইবনু আবূ উসায়দ যখন ভূমিষ্ঠ হলো, তখন তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আনা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে নিজের রানের উপর রাখলেন এবং জিজ্ঞেস করলেনঃ তাঁর নাম কী? উত্তরদাতা বলল : ’’অমুক’’। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ’’না’’; বরং তাঁর নাম ’’মুনযির’’। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْأَسَامِىْ

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ أُتِيَ بِالْمُنْذِرِ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ وُلِدَ فَوَضعه على فَخذه فَقَالَ: «وَمَا اسْمه؟» قَالَ: فلَان: «لاولكن اسْمه الْمُنْذر» . مُتَّفق عَلَيْهِ

وعن سهل بن سعد قال اتي بالمنذر بن ابي اسيد الى النبي صلى الله عليه وسلم حين ولد فوضعه على فخذه فقال وما اسمه قال فلان لاولكن اسمه المنذر متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) অর্থাৎ সা‘দ আস্ সা‘ইদী আল আনসারী, সাহল-এর নাম ছিল حزن (হুয্ন), অর্থাৎ- দুঃখিত, ব্যথিত, বিষণ্ণ হওয়া। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম রাখলেন سهل (সাহল), তার থেকে তার ছেলে عباس (‘আব্বাস) ও الزهرى (যুহরী)। আর ابو حازم (আবূ হাযিম) বর্ণনা করেন আল মুনযির ইবনু আবূ উসায়দ (রাঃ) তাকে الساعدى (সা‘দী)-ও বলা হয়। তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলে তার জন্মের পর তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রানের উপর রাখা হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে শিশুকে যে উপস্থিত করেছেন তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তার নাম কি? তিনি বললেন, উমুক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, না। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ)-এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেনঃ তোমরা যে নাম এ শিশুটির রেখেছ তাতে আমি সন্তুষ্ট নই। বরং আমি সন্তুষ্ট হব তার নাম হবে المنذر (মুনযির)। সম্ভবত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালো মনে করে এরূপ করেছেন। ফাতহুল বারী ও শারহুন নাবাবীসহ সব শারহাতে শাব্দিক কিছু পার্থক্যসহ সব হাদীসগুলো একইরূপ উল্লেখ করা হয়েছে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬১৯১; শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২১৪৯/২৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)