৪৭৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা

৪৭৩৪-[৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দু’ ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হাঁচি দিলো। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যক্তির হাঁচির জবাব দিলেন, অপর ব্যক্তির জবাব দিলেন না। লোকটি বলল : হে আল্লাহর রসূল! আপনি এ ব্যক্তির জবাব দিলেন; কিন্তু আমার জবাব দিলেন না। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ ব্যক্তি ’’আলহামদুলিল্লা-হ’’ বলেছিল, আর তুমি ’’আলহামদুলিল্লা-হ’’ বলনি। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْعُطَاسِ وَالتَّثَاؤُبِ

وَعَن أنسٍ قَالَ: عَطَسَ رَجُلَانِ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَمَّتَ أَحَدَهُمَا وَلَمْ يُشَمِّتِ الْآخَرَ. فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ شَمَّتَّ هَذَا وَلَمْ تُشَمِّتْنِي قَالَ: «إِنَّ هَذَا حَمِدَ اللَّهَ وَلم تحمَدِ الله» . مُتَّفق عَلَيْهِ

وعن انس قال عطس رجلان عند النبي صلى الله عليه وسلم فشمت احدهما ولم يشمت الاخر فقال الرجل يا رسول الله شمت هذا ولم تشمتني قال ان هذا حمد الله ولم تحمد الله متفق عليه

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীস হতে জানা যায় যে, হাঁচি আসলে হাঁচিদাতার ‘‘আলহামদুলিল্লা-হ’’ বলতে হবে। এর হিকমাত হলো, হাঁচি আল্লাহ তা‘আলার এক বিশেষ নি‘আমাত। কেননা হাঁচি দ্বারা মস্তিষ্কের নিস্ক্রিয়তা দূরীভূত হয় এবং শারীরিক জড়তা কেটে যায়। ফলে কাজ কর্মে ও ‘ইবাদাতে উৎসাহ, আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং মনে প্রফুল্লতা আসে। তাই আল্লাহর নি‘আমাতের কৃতজ্ঞাতাস্বরূপ হাঁচিদাতাকে ‘‘আলহামদুলিল্লা-হ’’ বলতে হয়।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী : ‘‘ইয়াহদীকুমুল্ল-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম’’ বলার গুরুত্ব : হাঁচিদাতা ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ বলার পর শ্রোতা যখন ‘‘ইয়ারহামুকাল্ল-হ’’ বলে দু‘আ করল তখন হাঁচি প্রদানকারীর কর্তব্য হলো তার চেয়ে আরো উত্তম দু‘আর মাধ্যমে শ্রোতার কল্যাণ কামনা করবে আর মানুষের সবচেয়ে বড় কল্যাণ হলো হিদায়াতপ্রাপ্ত হওয়া। কেননা হিদায়াতই পরকালীন মুক্তির একমাত্র পথ। হাঁচিদাতার জবাব দেয়া প্রসঙ্গে ‘উলামাদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ‘‘ইয়াহদীকুমুল্ল-হু ওয়া ইউস্লিহু বা-লাকুম’’। আবার কেউ বলেছেন, ‘‘ইয়াগফিরুল্ল-হু লানা- ওয়ালাকুম’’।

ইমাম শাফি‘ঈ ও ইমাম মালিক (রহিমাহুমাল্লাহ) বলেছেনঃ হাঁচির জবাব দেয়া ফরযে কিফায়াহ্। কেউ কেউ বলেছেন সুন্নাহ, ওয়াজিব নয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)