৪৬৯১

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন

৪৬৯১-[১৫] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হলো, তিনি তাকে চুম্বন করে বললেনঃ এরাই কার্পণ্যের হেতু, ভীরুতার কারণ। আর এরাই আল্লাহর সুগন্ধিতুল্য একটি অন্যতম নি’আমাত। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ
رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِصَبِيٍّ فَقَبَّلَهُ فَقَالَ: «أَمَا إِنَّهُمْ مَبْخَلَةٌ مَجْبَنَةٌ وَإِنَّهُمْ لَمِنْ ريحَان الله» . رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»

وعن عاىشةرضي الله عنها ان النبي صلى الله عليه وسلم اتي بصبي فقبله فقال اما انهم مبخلة مجبنة وانهم لمن ريحان الله رواه في شرح السنة

ব্যাখ্যাঃ সন্তান-সন্ততি কৃপণতা ও ভীরুতার কারণ। কেননা তারা পিতা-মাতাকে কৃপণ বানিয়ে দেয়। ফলে তারা তাদের জন্য ধন-সম্পদে কৃপণ হয়ে পড়ে। ফলে সে কিছু দেয় না। ভীরুতার কারণ, তারা এজন্যে যুদ্ধে যেতে ভয় পায় যে, যুদ্ধে সে মারা গেলে তার সন্তানরা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াবে। এ হাদীস থেকে সন্তানের প্রতি পিতামাতার পূর্ণ ভালোবাসা ও অত্যধিক হৃদ্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি অধিকাংশ মানুষ ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনে তাদের জন্য উপকারী একনিষ্ঠ শারী‘আতের নির্দেশিত বিষয়সমূহ ও সন্তোষজনক প্রশংসনীয় যাবতীয় কর্মকাণ্ড-র উপরে সন্তানদের প্রতি ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

(لَمِنْ ريحَان الله) অর্থাৎ আল্লাহর রিজিক। কারণ রিযক্বের মাধ্যমে তার উন্নতি ঘটে। অথবা ريحان দ্বারা এমন কিছু হতে পারে যার ঘ্রাণ নেয়া হয়। কারণ ঘ্রাণ নেয়া হয় এমন বস্তুকে ريحان বলা হয়। তখন এর অর্থ হবে আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে এর দ্বারা সম্মানিত করেছেন এবং তাদেরকে দান করেছেন। কারণ তাদের ঘ্রাণ নেয়া হয় এবং চুম্বন করা হয়। সুতরাং যেন তারা আল্লাহ সৃষ্ট ঘ্রাণ সমষ্টির অংশ। ভাষ্যকার বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো রিজিক অথবা সুঘ্রাণ। এর দ্বারা আল্লাহ মানুষের অন্তরকে আনন্দিত করেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)