৪৬৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন

৪৬৮৮-[১২] যারি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। যিনি ’আবদুল কায়স প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। তিনি বলেন, যখন আমরা মদীনায় আগমন করলাম তখন আমরা তাড়াহুড়া করে সওয়ারী হতে অবতরণ করলাম এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাত ও পা চুম্বন করলাম। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن زارع
وَكَانَ فِي وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ: لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرجله. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن زارعوكان في وفد عبد القيس قال لما قدمنا المدينة فجعلنا نتبادر من رواحلنا فنقبل يد رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجله رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ হাফিয আবূ বকর ইস্পাহানী মাকরী (রহিমাহুল্লাহ) হাতে চুম্বন করা জায়িযের ব্যাপারে একটি খন্ড রচনা করেন। সেখানে তিনি ইবনু ‘উমার, ইবনু ‘আব্বাস, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ, বুরয়দাহ্ ইবনু হাসিব, সফওয়ান ইবনু ‘আসসাল, বুরয়দাহ্ আল ‘আবদী, যারি‘ ইবনু ‘আমির ‘আবদী প্রমুখদের হাদীস উল্লে­খ করেন। তিনি সেখানে আরো সাহাবী ও তাবি‘ঈদের সহীহ আসার তুলে ধরেছেন।

কেউ কেউ বলেন, মালিক (রহিমাহুল্লাহ) উপরোক্ত মতকে এবং এ বিষয়ের হাদীস মানেননি। তবে অন্যরা এটাকে জায়িয বলেছেন।

আবহুরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মূলত ইমাম মালিক তাকে অপছন্দ করেছেন যখন চুম্বন অহংকারবশতঃ ও সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্য হয়। অতএব যখন তা গোপনাঙ্গ ব্যতীত কারো হাত, মুখমণ্ডলে বা শরীরের অন্য কোন অঙ্গ চুম্বন করা, তার ‘ইলম, দীন, মর্যাদার কারণে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য হয়ে থাকে তখন জায়িয। আল্লাহর রসূলের হাতে চুম্বন করা আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের সহায়ক। আর যা কোন পার্থিব উদ্দেশে অথবা কোন নেতার উদ্দেশে বা অনুরূপ কোন অহংকারবশতঃ হয়ে থাকে তবে তা নাজায়িয। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫২১৪)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যারি' (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)