৪৬৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন

৪৬৭৮-[২] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (নিজ দৌহিত্র) হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ)-কে চুম্বন করলেন, তখন তাঁর কাছে আকরা’ ইবনু হাবিস (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। আকরা’ (রাঃ) বললেনঃ আমার দশ দশটি সন্তান আছে, আমি তাদের কাউকে চুম্বন করিনি। এতদশ্রবণে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দিকে তাকালেন। অতঃপর বললেনঃ ’’যে ব্যক্তি অনুগ্রহ করে না, তার ওপর অনুগ্রহ করা হয় না’’। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

গ্রন্থকার বলেনঃ আবূ হুরায়রা বর্ণিত أَثَمَّ لُكَعُ বাক্য বিশিষ্ট হাদীসটি ইনশা-আল্লাহ مَنَاقِبِ أَهْلِ بَيْتِ النَّبِىِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ অধ্যায়ে অতি সত্বর উল্লেখ করব এবং উক্ত বিষয়বস্তুর উপর উম্মু হানী (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটি اَلْأَمَانُ অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

بَابُ الْمُصَافَحَةِ وَالْمُعَانَقَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَبْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ وَعِنْدَهُ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ. فَقَالَ الْأَقْرَعُ: إِنَّ لِي عَشَرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ مِنْهُمْ أَحَدًا فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: «مَنْ لَا يَرْحَمْ لَا يُرْحَمْ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ أَبِي هُرَيْرَةَ: «أَثَمَّ لُكَعُ» فِي «بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ بَيْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ» إِنْ شَاءَ تَعَالَى
وَذَكَرَ حَدِيثَ أمِّ هَانِئ فِي «بَاب الْأمان»

وعن ابي هريرة قال قبل رسول الله صلى الله عليه وسلم الحسن بن علي وعنده الاقرع بن حابس فقال الاقرع ان لي عشرة من الولد ما قبلت منهم احدا فنظر اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال من لا يرحم لا يرحم متفق عليهوسنذكر حديث ابي هريرة اثم لكع في باب مناقب اهل بيت النبي صلى الله عليه وعليهم اجمعين ان شاء تعالىوذكر حديث ام هانى في باب الامان

ব্যাখ্যাঃ (مَا قَبَّلْتُ مِنْهُمْ أَحَدًا) হয়ত বা তিনি নিজেকে বড় মনে করে অথবা তুচ্ছতাহেতু কাউকে চুম্বন করতেন না। আকরা‘ (রাঃ)-এর কথার প্রেক্ষিতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীতে যা বুঝা যায় তা হলো সন্তান, স্ত্রী মাহরাম বা অন্যান্য ব্যক্তিকে চুম্বন দেয়া যায়। তবে হ্যাঁ যেন এটা দয়া স্নেহবশতঃ হয়। কিন্তু উত্তেজনা এবং উপভোগবশতঃ না হয়। অনুরূপ বিধান আলিঙ্গন বা কোলাকুলি ও ঘ্রাণ নেয়ার ক্ষেত্রে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৯৯৭)

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) কোন ব্যক্তির তার ছোট সন্তানকে চুম্বন করাকে ওয়াজিব বলেছেন। অনুরূপভাবে অন্যদেরকে স্নেহ, দয়া ও আত্মীয়তার মুহাববাত স্বরূপ চুম্বন করা সুন্নাত। কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ চুম্বন ওয়াজিব হওয়ার জন্য স্পষ্ট হাদীসের স্মরণাপন্ন হতে হবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)