৪৩২২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৩২২-[১৯] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একখানা লালবর্ণের রেশমী চাদর হাদিয়া দেয়া হলো। তিনি তা আমার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। আমি তা পরিধান করলাম, তখন আমি তাঁর চেহারায় ক্রোধের চিহ্ন দেখতে পেলাম। অতঃপর তিনি আমাকে বললেনঃ আমি তা তোমার নিকটে তোমার পরিধানের জন্য পাঠাইনি; বরং আমি তা তোমার কাছে এ উদ্দেশে পাঠিয়েছি যে, তুমি তা খন্ড করে মহিলাদের জন্য উড়না বানিয়ে তাদের দিয়ে দিবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوْلُ

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: أُهْدِيَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم حُلّة سِيَرَاءَ فَبَعَثَ بِهَا إِلَيَّ فَلَبِسْتُهَا فَعَرَفْتُ الْغَضَبَ فِي وَجْهِهِ فَقَالَ: «إِنِّي لَمْ أَبْعَثْ بِهَا إِلَيْكَ لِتَلْبَسَهَا إِنَّمَا بَعَثْتُ بِهَا إِلَيْكَ لِتُشَقِّقَهَا خُمُراً بَين النساءِ»

وعن علي رضي الله عنه قال اهديت لرسول الله صلى الله عليه وسلم حلة سيراء فبعث بها الي فلبستها فعرفت الغضب في وجهه فقال اني لم ابعث بها اليك لتلبسها انما بعثت بها اليك لتشققها خمرا بين النساء

ব্যাখ্যাঃ ‘হুল্লাহ’ বলা হয় চাদর ও লুঙ্গিকে, এটা গায়ের ও পরনের উভয় কাপড়কেই বুঝায়।

রেশমী সূতা যেহেতু পুরুষের জন্য পরিধান বৈধ নয়, তাই তিনি নারীদের ওড়নার কাজে ব্যবহারের জন্য ‘আলী (রাঃ)-এর কাছে প্রদান করেন। তিনি তা বুঝতে না পেরে নিজেই পরিধান করা শুরু করে দেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দর্শনে ভীষণভাবে রাগান্বিত হন, এমন কি রাগের চিহ্ন তার চেহারার মধ্যে ফুটে উঠে।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাগ আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ। কেননা রেশমী পোশাক পরিধানে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন যার ফলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও অসন্তুষ্ট হয়েছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একসেট পোশাক হাদিয়া দেয়া হলে তিনি তা ‘আলী (রাঃ)-কে দিয়ে দেন। যা ছিল রেশমী কাপড় মিশ্রিত লুঙ্গি ও চাদর। কেউ কেউ বলেন, ঐ পোশাক নিরেট রেশমী কাপড়ের ছিল। অথচ নিরেট রেশমী কাপড় পরিধান করা হারাম। তবে রেশমী মিশ্রিত কাপড় পরিধান সংক্রান্ত আলোচনা ইতিপূর্বে হয়েছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত পোশাক পরিহিত অবস্থায় তাকে দেখে রাগান্বিত হন। কেননা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মূলত এ পোশাক পরিধান করার জন্য ‘আলী (রাঃ)-এর নিকট পাঠাননি। আর ঐ পোশাকের অধিকাংশই রেশমী বা সিল্কের। যা পরিধান করা হারাম। অথবা ‘আলী (রাঃ) এটাকে মুত্তাক্বীদের পোশাক বহির্ভূত মনে করেননি। তাই তিনি তা পরিধান করেছেন। এটা টুকরো টুকরো করে মহিলাদের মাঝে বণ্টন করতেই পাঠানো হয়েছিল। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ফাতিমাদের মাঝে (بيت الفواطم অর্থাৎ ফাতিমা বিনতু মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ফাতিমা বিনতু আসাদ ইবনু হাশিম যিনি হলেন ‘আলী, জা‘ফার, ‘আক্বীল ও ত্বালিব -এর মা এবং ফাতিমা যিনি আসমা বিনতু হামযাহ্-এর মা, এটা মূলত সকল ফাতিমাদের বাড়ীতে তাদের মাঝে) বণ্টনের জন্যই প্রেরণ করেছিলেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫৮৪০; শারহুন নাসায়ী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ৫৩১৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )