৪২৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে

৪২৪৪-[২] আবূ শুরয়হ আল কা’বী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার মেহমানের সম্মান করে। অতিথির জন্য উত্তম খানা-পিনার ব্যবস্থা করা চাই এক দিন ও এক রাত। আর মেহমানদারী হলো তিন দিন। এটার পর যা করবে তা হবে সাদাকা। মেহমানের জন্য জায়িয নয় এত সময় মেজবানের গৃহে অবস্থান করা যাতে তার কষ্ট হয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الضِّيَافَةِ

وَعَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْكَعْبِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ جَائِزَتُهُ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَالضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ فَمَا بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ وَلَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَثْوِيَ عِنْدَهُ حَتَّى يُحَرِّجَهُ»

وعن ابي شريح الكعبي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من كان يومن بالله واليوم الاخر فليكرم ضيفه جاىزته يوم وليلة والضيافة ثلاثة ايام فما بعد ذلك فهو صدقة ولا يحل له ان يثوي عنده حتى يحرجه

ব্যাখ্যাঃ (جَائِزَتُهٗ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ) এর ব্যাখ্যায় সুহায়লী বলেনঃ অর্থাৎ সে তার মেহমানকে এক দিন ও এক রাত ভালো খাবার খাওয়াবে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬১৩৫)

(وَالضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ فَمَا بَعْدَ ذٰلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ) ইবনু বাত্ত্বল (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ প্রসঙ্গে মালিক (রহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, একদিন একরাত তাকে সম্মান করবে ও উপহার দিবে। আর তিনদিন মেহমানদারী করবে।

ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তিনদিন কী প্রথমদিন বাদে না প্রথমদিন সহ? এ নিয়ে মতভেদ আছে। আবূ ‘উবায়দ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, প্রথমদিন তার প্রতি সদ্ব্যবহার করা জরুরী। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন তাদের স্বাভাবিক খাবার তাকেও খেতে দিবে, বেশি কিছু জোগার করবে না। অতঃপর তাকে একদিন ও রাতের দূরত্বের খাবার দিয়ে দিবে একে বলে "الجيزة" (আল জীযাহ্)।

খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এর অর্থ হলো যখন কোন মেহমান আসে তখন তাকে একদিন একরাত ভালো খেতে দিবে ও উত্তম আচরণ করবে, আর বাকী দু’দিন তাকে স্বাভাবিক খাবার খেতে দিবে। যখন তিন দিন অতিবাহিত হয়ে গেল তখন তাকে যাই খাওয়াবে তা সাদাকা হবে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬১৩৫)

(حَتّٰى يُحَرِّجَهٗ) ‘‘যাতে তার কষ্ট হয়’’ যাতে সে সংকীর্ণতায় পড়ে যায়।

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মুসলিম-এর এক বর্ণনায় حَتّٰى يؤثمه ‘‘যাতে সে পাপে লিপ্ত হয়’’, কারণ সে অনেক দিন থাকার কারণে তাঁর গীবত করে বসবে, অথবা সে এমন আচরণ করবে যাতে মেহমান কষ্ট পাবে। অথবা মেহমান সম্পর্কে তার খারাপ ধারণা হবে। তবে যদি মেহমান তার মেজবানের (বাড়ীর মালিকের) অনুমতি নিয়ে থাকে অথবা তার ইচ্ছা সে বুঝতে পারে তবে কোন সমস্যা নেই। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬১৩৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ শুরায়হ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة)