৪১০৭

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১০৭-[৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের (যুদ্ধের) দিন গৃহপালিত গাধার মাংস হারাম করেছেন এবং ঘোড়ার মাংস সম্পর্কে অনুমতি দিয়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يَحِلُّ أَكْلُهُ وَمَا يَحْرُمُ

وَعَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى يَوْمَ خَيْبَرَ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ وَأَذِنَ فِي لُحُومِ الْخَيْلِ

وعن جابر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى يوم خيبر عن لحوم الحمر الاهلية واذن في لحوم الخيل

ব্যাখ্যাঃ ঘোড়ার গোশত খাওয়ার বৈধতার ব্যাপারে ‘উলামার মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। জামহূর সালাফ এবং তাদের পরবর্তী ‘উলামার মতে তা বৈধ এতে কোন কারাহিয়্যাত বা অপছন্দনীয়তা নেই। আর এটাই ‘আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র, ফাজালাহ্ ইবনু ‘উবায়দ, আনাস ইবনু মালিক, আসমা বিনতু আবূ বকর, সুওয়াইদ ইবনু গাফলাহ্, ‘আলকামাহ্, আসওয়াদ, ‘আত্বা, শুরাইহ, সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র, হাসান বাসরী, ইবরাহীম নাখ‘ঈ, হাম্মাদ ইবনু সুলায়মান, আহমাদ, ইসহক, আবূ সুর, আবূ ইউসুফ, মুহাম্মাদ দাঊদ (রহিমাহুমুল্লাহ)-সহ জামহূর মুহাদ্দিসগণের বক্তব্য। তবে ‘উলামার একদল এটাকে মাকরূহ মনে করেন তাদের মধ্যে ইবনু ‘আব্বাস, হাকাম, মালিক ও আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুমুল্লাহ) রয়েছেন। আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ঘোড়ার গোশত খাওয়াতে পাপ হবে, তবে তিনি হারাম উল্লেখ করেননি। তারা দলীল দিয়েছেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ তোমাদের আরোহণের জন্য ও শোভার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর, গাধা। এখানে খাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও তারা খালিদ ইবনু ওয়ালীদ বর্ণিত একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া, খচ্চর ও গাধার গোশত এবং প্রত্যেক দাঁতধারী হিংস্র প্রাণীর গোশত খেতে নিষেধ করেছেন- (আবূ দাঊদ)। সকল মুহাদ্দিসের মতে এ হাদীসটি য‘ঈফ। আবার কারো মতে হাদীসটি মানসূখ। (শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ ১৯৪১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح)