৪০৬৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪০৬৫-[২] উক্ত রাবী [’আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমরা প্রশিক্ষিত কুকুর (শিকারের প্রতি) ছেড়ে থাকি। (এ ব্যাপারে কি বিধান?) তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি কুকুর শিকার ধরে তোমার জন্য রেখে দেয়, তবে তা খেতে পার। আমি জিজ্ঞেস করলাম, যদি তারা শিকারকে মেরে ফেলে। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, আমরা তো (কখনো কখনো তীর-বর্শার ফলক নিক্ষেপ করেও শিকার) করি। (তার বিধান কি?) তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যা তীরের ধারে ক্ষত করে সেটা খাও। আর যা তীরের চোট লেগে মরে যায় তা খাবে না। কেননা তা প্রহারে মৃত। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نُرْسِلُ الْكِلَابَ الْمُعَلَّمَةَ قَالَ: «كُلْ مَا أَمْسَكْنَ عَلَيْكَ» قُلْتُ: وَإِنْ قَتَلْنَ؟ قَالَ: «وَإِنْ قَتَلْنَ» قُلْتُ: إِنَّا نَرْمِي بِالْمِعْرَاضِ. قَالَ: «كُلُّ مَا خزق وَمَا أصَاب بعرضه فَقتله فَإِنَّهُ وقيذ فَلَا تَأْكُل»

وعنه قال: قلت: يا رسول الله إنا نرسل الكلاب المعلمة قال: «كل ما أمسكن عليك» قلت: وإن قتلن؟ قال: «وإن قتلن» قلت: إنا نرمي بالمعراض. قال: «كل ما خزق وما أصاب بعرضه فقتله فإنه وقيذ فلا تأكل»

ব্যাখ্যাঃ (معراض) হলো ভারি কাঠ কিংবা লাঠি যার প্রান্তে থাকে লোহা, এটা কখনও লোহা ছাড়া অন্য কিছুও হয়ে থাকে। আর এটাই তার সঠিক ব্যাখ্যা। কারো মতে এটি এমন কাঠ, যার দুই পার্শ্ব পাতলা বা ধারালো এবং মাঝ বরাবর মোটা, যখন শিকারের জন্য নিক্ষেপ করা হয় তখন সোজা ছুটে যায়। ইমাম শাফি‘ঈ, মালিক, আবূ হানীফাহ্ ও আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ)-সহ জামহূর ‘উলামার মতে পালকহীন তীরের ধারালো অংশের আঘাতে শিকারীর প্রাণী যদি মারা যায় তবে তা ভক্ষণ করা হালাল, আর যদি মোটা অংশের আঘাতে মারা যায় তবে উক্ত প্রাণী ভক্ষণ করা হালাল নয়। তবে মাকহূল, আওযা‘ঈসহ সিরিয়ার ফকীহদের মতে উক্ত প্রাণীর গোশত সর্বাবস্থায় হালাল। আর অধিকাংশ ‘উলামাসহ ইবনু আবী লায়লা (রহিমাহুল্লাহ)-এর মতে বন্দুকের গুলিতে মারা যাওয়া প্রাণী ভক্ষণ হালাল। সা‘ঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রহিমাহুল্লাহ) হতেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘উলামার মতে বন্দুকের গুলির আঘাতে মারা যাওয়া প্রাণী (‘বিসমিল্লা-হ’র সাথে যাবাহ করা ছাড়া) কোনক্রমেই হালাল নয়।

আর শিকারীর জন্য প্রেরণকৃত প্রাণী যদি তার শিকারকৃত প্রাণীর কিছু অংশ খেয়ে ফেলে তাহলে অবশিষ্ট অংশ ভক্ষণ করা হারাম। আর এটাই অধিকাংশ ‘উলামার মত। তাদের মধ্যে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস, আবূ হুরায়রা, ‘আত্বা, সা‘ঈদ ইবনুয্ যুবায়র, হাসান বাসরী, শা‘বী, নাখ‘ঈ, ‘ইকরামাহ্, কতাদাহ্সহ ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) ও তার অনুসারীগণ, আহমাদ, ইসহকব, সাওর (রহিমাহুল্লাহ) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অপরদিকে সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস, সালমান আল ফারিসী, ইবনু ‘উমার (রাঃ) ও মালিক (রহিমাহুল্লাহ)-এর মতে উক্ত প্রাণীর গোশত হালাল, তবে ইমাম শাফি‘ঈ (রহিমাহুল্লাহ)-এর মতে এ কথাটি অত্যন্ত দুর্বল। (শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ [১৯২৯]-২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح)