পরিচ্ছেদঃ
১৯২৭। যে ব্যক্তি ক্ষুধার্ত হবে এবং মুখাপেক্ষী হবে, অতঃপর সে লোকদের থেকে তা গোপন করবে আর গোপনেই তার সংবাদ আল্লাহর নিকট পৌছে দেয়া হবে। আল্লাহ্ তা’য়ালা তার জন্য এক বছরের হালাল রুযির পথ বের করে দিবেন।
হাদীসটি মুনকার।
এটিকে তাম্মাম (১/২৯) ইসমাঈল ইবনু রাজা হতে, তিনি মূসা ইবনু আইউন হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি সাঈদ ইবনু জুবায়ের হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। ইসমাঈল ইবনু রাজা ছাড়া এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য, শাইখাইনের বর্ণনাকারী। তাকে দারাকুতনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর তার সূত্রেই ইবনু হিব্বান হাদীসটিকে "আযযুয়াফা" গ্রন্থে, ওকাইলী "আযযুয়াফা" গ্রন্থে, ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে, সুলাইম রাযী তার “ফাওয়াইদ” গ্রন্থে ও বাইহাৰী “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বান (১/১৩০) বলেনঃ এ হাদীসটি বাতিল। আমাশ এটিকে বর্ণনা করেননি। সাঈদ এটিকে বর্ণনা করেননি আর আবু হুরাইরাহ (রাঃ) এ হাদীস বর্ণনা করেননি। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও এটি বলেননি। এর সমস্যা হচ্ছে ইসমাঈল ইবনু রাজা হুসানী।
ইবনুল জাওযী তার অনুসরণ করে "আলমাওয়ূয়াত" গ্রন্থে (২/১৫২) তার কথাকে সমর্থন করেছেন আর সুয়ূতী “আললাআলী” গ্রন্থে (২/৭২) বাইহাকীর কথার দ্বারা তার সমালোচনা করেছেন হাদীসটি দুর্বল। এটিকে ইসমাঈল এককভাবে বর্ণনা করেছেন আর তিনি হচ্ছেন দুর্বল। খতীব "আলমুত্তাফিক অলমুফতারিক" গ্রন্থে হাদিসটিকে বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি গারীব। আমরা এটিকে মূসা হতে একমাত্র ইসমাঈল ইবনু রাজার বর্ণনাতেই লিখেছি।
আমি হাদীসটিকে “আললিসান” এবং “আলজামে’উল কাবীর” (২/২৩৯/২) হতে নকল করেছি। প্রথমজন ইসমাঈলের জীবনীতে উল্লেখ করেছেন যে, ওকাইলী হাদীসটিকে "আযযুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে এটিকে তার মুনকারগুলোর মধ্যে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমি এ ব্যক্তির জীবনী “আযযুয়াফা” গ্রন্থের আলমাকতাবাতুয যাহেরিয়ার কপিতে পাচ্ছি না। সম্ভবত কপিকারকের নিকট হতে তা পড়ে গেছে। হয়তো তার জীবনী সম্বলিত পাতা বাধাই করার সময় পড়ে গেছে...।
সুয়ূতী হাদীসটির একটি সংক্ষিপ্ত শাহেদ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার সনদও দুর্বল। যেমনটি (৪৪৫২) নম্বরে সেটি সম্পর্কে আলোচনা আসবে।
من جاع واحتاج فكتمه الناس حتى يفضى به إلى الله عز وجل، فتح الله له رزق سنة من حلال
منكر
-
رواه تمام (29 / 1) عن إسماعيل بن رجاء: حدثنا موسى بن أعين عن الأعمش عن سعيد بن جبير عن أبي هريرة مرفوعا. قلت: وهذا سند ضعيف، رجاله ثقات رجال الشيخين، غير إسماعيل بن رجاء ضعفه الدارقطني، ومن طريقه أخرجه ابن حبان في " الضعفاء " والعقيلي في " الضعفاء " والطبراني في " الأوسط " وسليم الرازي في " فوائده " والبيهقي في " شعب الإيمان "، عن أبي هريرة. وقال ابن حبان (1 / 130) : " هذا حديث باطل، لم يحدث به الأعمش، ولا رواه سعيد ولا حدث به أبو هريرة رضي الله عنه، ولا قاله رسول الله صلى
الله عليه وسلم، آفته إسماعيل بن رجاء الحصني وتبعه ابن الجوزي، فأقره في " الموضوعات " (2 / 152) وتعقبه السيوطي في " اللآلئ " (2 / 72) بقول البيهقي: " ضعيف، تفرد به إسماعيل وهو ضعيف ". ورواه الخطيب في " المتفق والمفترق "، وقال: " غريب، لم نكتبه إلا من رواية إسماعيل بن رجاء عن موسى ". نقلته من " اللسان "، و" الجامع الكبير " (2 / 239 / 2) وذكر الأول في ترجمة إسماعيل أن العقيلي ذكره في " الضعفاء "، وأورد له من المناكير هذا الحديث. ولم أجد هذه الترجمة في نسخة " الضعفاء " المحفوظة في المكتبة
الظاهرية، فلعلها سقطت من الناسخ، ويحتمل أنه استدركها بعد في قصاصة ورق، ثم سقطت القصاصة عند التجليد أوغيره. ولم ترد أيضا في النسخة المطبوعة بتحقيق القلعجي، ولم يذكر الحديث في الفهرست، على ما فيه من أخطاء وخلط ونقص! ثم ذكر السيوطي للحديث شاهدا قاصرا، وسنده ضعيف أيضا، كما سيأتي برقم (4452) . والله أعلم